রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় নয়ন হত্যা ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাড়িতে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে আলোচনার ঝড় উঠে।রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংস্থা পর্যন্তও নড়েচড়ে বসে বিষয়টি নিয়ে। উল্লেখ্য যে,গত ১জুন বৃহসপ্রতিবার মটর সাইকেল চালক নয়নকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা হত্যা করে রাস্তায় ফেলে যায়।তার মৃত্যুর সংবাদ সমগ্র উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ার পর,আতংকিত হয়ে পড়ে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীরা।এর মধ্যে নয়নের জানাযার জন্য সমবেত হতে থাকে সাধারন মানুষগণ।নয়নের জানাযা শেষ হবার মূহুর্তেই হঠাৎ পাহাড়ি অধ্যসিত এলাকার মধ্যে পাহাড়িদের বসত ঘরে আগুন ধরে যায়।
তৎক্ষনে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতা পাহাড়িদের ঘরে আগুন দিয়েছে।চারদিকে আগুনের সংবাদ ছড়ানোর মূহুর্তেই সেনা বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। তারপর থেকে নয়ন হত্যার বিচার চাপা পড়ে যায় পাহাড়িদের বাড়িতে আগুনের ঘটনা দিয়ে।সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া বড় করে তুলে ধরলো পাহাড়িদের ঘরে লাগা আগুনকে।এরমধ্যেই পুলিশ হয়রানীর ভয়ে আত্মগোপন করতে লাগলো সকল বাঙ্গালিরা।সুশিলরা দোষী করলো বাঙ্গালীদের কে।বিশেষ করে বিএনপি মহা সচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে হতাশ হয়ে পড়েন সাধারন বাঙ্গালীরা।এব্যপারে স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী বলেন,পার্বত্য এলাকার রাজনীতি সম্পর্কে মির্জা সাহেব না জেনে কিছু বলা ঠিক না।ঢাকায় এসি রুমে না বসে থেকে স্বরজমিনে এসে দুদিন থেকে দেখে যান আমারা কেমন আছি,পাহাড়ের বাঙ্গালীররা কত কষ্টে আছে তা এই পাহাড়ি জঙ্গলে এসেই দেখতে হবে ঢাকায় নয়।পাহাড়িদের বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় আমারাও কষ্ট পেয়েছি,সরকার পর্যাপ্ত ক্ষতি পূরন দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।কিন্তু যে নয়ন কে হত্যা করা হলো তা কতটুকু ক্ষতি পূরণ দিয়ে সমাধান করা যাবে এটাই আমাদের একমাত্র প্রশ্ন?