পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কাজ করছেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার যে গভীর ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে তার প্রভাব পড়বে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে। একই সাথে পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারও এ থেকে রক্ষা পাবে না। তিনি বলেন, ভারতের স্বার্থে সন্তু
লারমাদের রক্ষায় একটি প্রভাবশালী মহল সক্রিয় রয়েছে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীকে দুর্বল
করার জন্য মাঠে নেমেছে। সেনা ক্যাম্প তুলে আনা এটি তারই অংশ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাস্তা মেরামত কিংবা ব্রীজ রক্ষার কাজ না করে দেশের ভূখ- রক্ষায় সক্রিয় হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সেনাবাহিনীর যে বীরত্বের অবদান ও সুনাম রয়েছে তা আরো বাড়িয়ে তোলার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।
মেজর জেনারেল (অব:) এম এ মতিন, বীর প্রতীক, পিএসসি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শত শত অফিসার ও সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা শান্তি বাহিনীর সাথে যখন যুদ্ধ করেছি তখন কোন ক্যাম্প কেউ দখল করতে পারেনি। শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্তৃত্ব হারানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা এখন রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বাঙালীদের স্বার্থও দেখতে হবে। পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে বাঙালী-পাহাড়িরা যাতে বসবাস করতে পারে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ দেশের মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবে এবং তারা এটা কখনো মেনে নেবে না।