
তারপরেও যুক্তির খাতিরে তাদের অস্ত্রের বৈধতা মেনে নিলাম। এখন বলুন এই অস্ত্র তারা কি কাজে কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে? এই সংগঠনগুলো যাদের অধিকার আদায়ের জন্য কথিত আন্দোলন, সংগ্রাম করে যাচ্ছে বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা পার্বত্য নির্যাতিতের অর্থাৎ যাদের জন্য আন্দোলন তাদের বুকেই সেই অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। এমন কোন দিন খুজে পাবেন না এই সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাধারন মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে না। এই সন্ত্রাসীদের কারনে মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ, জীবন নিরাপত্তাহীন। ব্যবসার জন্য পাহাড়ে যাবেন? একটু হিমসিম হলেই মাটিতে বয়ে যাবে আপনার রক্তের স্রোতধারা। চাঁদা না দিয়ে দিন মজুরের কাজ করবেন? যে কোন মুহূর্তে আপনি হবে অপহৃত, এর পরে পাওয়া যাবে আপনার লাশ।
টোকেন না নিয়ে জীপ, মোটরসাইকেল, অটো, মাহেদ্র চালাবেন? যে কোন সময় আপনি হয়ে যেতে পারেন নয়ন, ছাদিকুল, শান্ত। নিরাপদে ঘরে থাকবেন? যে কোন সময় সন্ত্রাসীদের লালসায় হয়ে যেতে পারেন বিশাখা চাকমার মতো পানিতে পচা লাশ!!! সরকারি চাকরি করবেন? তাতেও এই সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দিয়ে চলার উপায় নেই। তাহলে এটাই কি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের নমুনা? পৃথিবীর ইতিহাস এমন কোন অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ধরণ আপনি খুজে পাবেন না, যা পার্বত্য উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা করছে।
এতো গেলো যাদের জন্য আন্দোলন তাদের কথা। কিন্তু, রাষ্ট্রের কি অপরাধ? কি অপরাধ রাষ্ট্রের মানচিত্রের? রাষ্ট্র তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে তাদের সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের যথাযথ কর্মসংস্থান দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ দিয়েছে। উপজাতীয় নেতা শন্তুকে উপমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন। তাদের জন্য আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ডের বড় বড় পদ রয়েছে, রয়েছে তিন সার্কেলে তিন রাজার পাশাপাশি হ্যাডমেন, কার্বারী। তাদের জন্য রয়েছে এমপি, মন্ত্রীত্ব্য। সেদিনের উপজাতীয় নেতারা আজ ঢাকায়, দেশে - বিদেশে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। এসব কি রাষ্ট্রীয় সুবিধা নয়? এসব সুবিধা নিয়ে কেন তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ঝনঝনানী সৃষ্টি করছে? কেন তারা বৈদেশিক অপশক্তির সহায়তায় রাষ্ট্রের মানচিত্রকে দ্বিখন্ডিত করতে চাইছে?
যদি আপনার মাথায়, সুস্থ মস্তিস্ক্যে এসব প্রশ্নের উত্তর মেলে তবে আপনি বুঝতে পারবেন পার্বত্য বাঙ্গালীরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাকি উগ্র ভূমিদস্যু। পার্বত্য বাঙ্গালীরা সেই ১৯৭৯ হতে রক্তের সাগর পারী দিয়ে রাষ্ট্রের মানচিত্র পাহারা দিয়ে আসছে, সেটা আপনার বিবেকে ভেসে উঠবে।