পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে এক খোলা বিদ্রোহ। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা আমাদের প্রাণাধিক প্রিয়তম মাতৃভূমি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা নিয়ে পাহাড়ি উপজাতিরা মিয়ানমারে সহায়তায় একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যে স্বপ্নের উন্মাদনায় ষোল কোটি মানুষের বিজয়ের প্রতীক স্বাধীন বাংলার বুকেই তারা 'জুম্মল্যান্ড' নামে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের মানচিত্রকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে নিতে চায় আমাদের 'রত্নভূমি' পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়িদের এই অনৈতিক উদ্যোগ এবং একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভেতর নতুন আরেকটি রাষ্ট্র সৃষ্টির পাঁয়তারাকে আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র থেকে একটা অংশকে আলাদা করে আরেকটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার পরিকল্পনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিপক্ষে এক গভীর হুমকিও বঠে। এমন পরিকল্পনা বা উদ্যেগের সাথে যারা জড়িত, নিঃসন্দেহে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। আমাদের সবার প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী। লাল-সবুজ পতাকার শত্রু।
এই উপজাতি পাহাড়িদের কতো বড় দুঃসাহস যে, তারা বাংলাদেশের খেয়ে-বেঁচে এবং এদেশের আলো-বাতাস ভোগ করে এদেশের সীমানার ভেতর বসেই তৈরি করছে তাদের পরিকল্পিত পৃথক রাষ্ট্রের মানচিত্র ও স্বতন্ত্র মুদ্রার আল্পনা। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাগণের বুকের তাজা লাল খুনের বিনীময়ে অর্জিত এই মানচিত্র তো কারো খয়রাতে পাওয়া নয়। আমাদের মূদ্রার স্বাতন্ত্র্য আমাদের গর্ব। সুতরাং এগুলো নিয়ে কাউকে মশকারি করতে দেওয়া যায় না। এক ইঞ্চি মাটির বেলায়ও কারো প্রতি কোনো ছাড় নয়। আমরা জানি বাঙালির হাজার বছরের যেই লালিত স্বপ্ন ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এক যাদু বাস্তবতায় অভ্যুদিত হয় তার নাম 'বাংলাদেশ'। এ মাটির বীর সন্তানেরা পাকিস্তানী হানাদারদের কাছ থেকে এক দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক আজকের 'স্বাধীন-সার্বভৌম' ভূ-খণ্ডটি সেদিন ছিনিয়ে এনেছিলেন। তারাই আমাদের হাতে সেদিন তুলে দিয়েছেন এবং রেখে গিয়েছেন প্রিয় লাল-সবুজের পতাকা। আমাদের এই মহান সম্পদ কোনো শকুন ছিড়ে খাবে তা আমরা শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা সত্বেও মেনে নিতে পারি না। সহ্য করতে পারবো না।
বাঙালি জনগণ জানেন-- স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম থেকেই একদল শত্রু আমাদের স্বাধীনতা এবং লাল-সবুজের পতাকাকে সহ্য করতে কেবই ব্যর্থ হচ্ছে। কোনোভাবেও মেনে নিতে পারছে না। যাদের কাঁধে ভর করে স্বাধীনতার পর থেকেই নানা অপশক্তি সবসময় বাংলাদেশকে পরাধীন বা কারো করদরাজ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সময়সময় দেশের ভেতর নানারকমের অরাজকতা সৃষ্টির পেছনেও এই এদেরই কূটচাল কাজ করেছে। এবার শত্রুশক্তির সকল ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে পৃথক রাষ্ট্র তৈরির নীল নকশা থেকে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। যা কিছুতেই বিনা চ্যাল্যাঞ্জে ছেড়ে দেওয়ার নয়। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাক্কালে এবং বিশেষভাবে ১৯৭১-এর মহান বিজয়ের পর থেকে কিছু বৈদেশিক অপশক্তি আড়ালে থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছিলো যে, তারা আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক করে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠন করবে। আর তারাই এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে এই রাষ্ট্রগত কল্পনাকে নিয়ে ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে নতুন দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখতো। অনুরূপ একই লক্ষ্যকে টার্গেট করেই তারা বহু বছর ধরে আমাদের পাহাড়ের অধিবাসীদের মাঝে অশান্তি জিইয়ে রাখছে। রাষ্ট্রদ্রোহীতা ও বিদ্রোহের উস্কানি দিচ্ছে। অথচ, আমরা নীরবতা পালন করছি। আমরা এখনো একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের করণীয় ধার্য করছি না।
বাংলাদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার এই টার্গেট বাস্তবায়নের জন্য নানাভাবে ইন্ধন প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাহাড়ে তারা সবসময় একটা থমথমে অবস্থা বিরাজিত করে রাখছে। অতীব দুর্ভাগ্য জনক সত্য হলো, মাঝেমধ্যে আমাদের ক্ষমতায় আসা নানা সরকার তাদের সাময়িক স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে নতজানু পদক্ষেপে এটাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করলেও কোনো সরকারই এর স্থায়ী নিরসনের পথে হাটেন নি। যে কারণে এবার পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে আবারো পরিস্থিতি গরম হয়ে ওঠেছে। পাহাড়িদের দুঃসাহসের মাত্রাও অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। যার প্রাথমিক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সরকারে নিকট পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা এখন পার্বত্য জেলার স্বায়ত্তশাসন দাবি করছে। সেনাক্যাম্প গুলো সরিয়ে নিতে বলছে। সুযোগ পেলেই তারা পাহাড়ি বাঙালিদের ওপর হামলে পড়ছে। কক্সবাজার সহ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান-- তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে সাংঘর্ষিক 'স্বায়ত্তশাসন' চেয়ে দাবি উত্থাপন করছে জনসংহতি সমিতি। যার সংক্ষেপ জেএসএস। সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ঘূরে জানাযায় এই সংগঠনের দু'টি গ্রুপ রয়েছে। উভয় গ্রুপের মাঝে জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী যারা তারাও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে 'ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট' পার্বত্য জেলার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করছে। যার সংক্ষেপ ইউপিডিএফ। তারা মূলতঃ পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে সম্পূর্ণ পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা চায় এই অঞ্চলের পূর্ণ স্বাধীনতা। বাঙালি মুক্ত পাহাড়। বৃহত্তর চট্রগ্রামসহ আমাদের পার্বত্য বাঙালিরা জানান-- বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের সীমারেখার ভেতরে কিছু অংশকে পৃথক করে নিয়ে আরেকটি 'স্বাধীন রাষ্ট্র' গড়ার জন্য আলোচিত তিনটি গ্রুপই নানাধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ড সর্বদা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে এখনো নির্বিকার রয়েছেন। আবার তাদের মুখেই দেশপ্রেমের খই ফুটে সবচেয়ে বেশি। তারাই নিজেদেরকে এককভাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে জোড় গলায় দাবি করেন।
আমাদের রত্নভূমি 'রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি সহ কক্সবাজার' জেলা চতুষ্টয়কে নিয়ে সম্পূর্ণ পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভেতর ও বাইরের শত্রুদের ইন্ধনে পাহাড়ি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান উপজাতিরা একজোট হয়ে 'রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক' যে নতুন চক্রান্ত চালাচ্ছে ; সে ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি দেশের সর্বস্থরের শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ সচেতনতা আবশ্যক বলে আমরা মনে করছি। এই ষড়যন্ত্রকারী পাহাড়ি উপজাতিদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, নির্ধারিত জেলা নিয়ে 'জুম্মল্যান্ড' নামে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিলাসে তারা উন্নত দেশগুলো থেকে অত্যাধুনিক নানারকমের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে। নানা দেশ থেকে অস্ত্রের চোরাচালান এনে পাহাড়িদের তিনটি দলই নিজেদের নিকট অবৈধ সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলছে। আর এভাবে তারা ধীরে ধীরে তৈরি করে নিচ্ছে তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী।
উপজাতি পাহাড়িদের সংগঠন 'জেএসএস'-এর সামরিক শাখা কক্সবাজার বাদে বাকি তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে সাতশ’রও বেশি প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য। এভাবে জেএসএস সংস্কারপন্থীদের রয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ প্রশিক্ষিত যোদ্ধা সদস্য। তেমনই ইউপিডিএফ-এরও আছে নয়শ’ সদস্যের বিশাল সামরিক বাহিনী। এই সংগঠনগুলোর সামরিক শাখার সদস্যরা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও দেশ এবং দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব ও সরকার বিরোধী নানা কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এই পাহাড়িদের মাধ্যমেই পার্বত্য জেলাগুলোর পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ আজ নানা জাতের মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের এই তিনটি দেশ বিদ্রোহী গ্রুপকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন রাষ্ট্র। এই সময়ে পাহাড়িদের অস্ত্রসহায়তা দানের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মায়ানমারের নাম বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। স্থানীয়দের মাঝে সচেতন অনেকের দাবি-- মায়ানমার সরকার কর্তৃক সেদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমগণের ওপর গণহত্যা ও গণধর্ষণকে উস্কে দেওয়ার পর হতে পাড়িদের মাঝে বেশকিছু অত্যাধুনিক মারনাস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। পাহাড়ি বৌদ্ধদের হাতে নাকি এ সুযোগে অস্ত্রের ভাণ্ডার তুলে দেওয়া হচ্ছে। যে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কর্তৃপক্ষ এখনো হয়তোবা ঘুমের ঘোরে।
ইতোমধ্যে মিডিয়ায় প্রচার পেয়ে গেছে যে, চট্রগ্রামের পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড়ি উপজাতিদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী এসব গ্রুপের মজুদ কৃত অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে--- এম কে-১১, জার্মানির তৈরি এইচ কে-৩৩, রাশিয়ার জি-৩, একে-৪৭, একে-২২, এম-১৬ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, চায়নিজ সাব মেশিনগান, এসবিবিএল বন্দুকসহ অত্যাধুনিক সকল সমরাস্ত্র। এসকল অস্ত্রের সবগুলোই বিদেশে তৈরিকৃত। মাঝেমধ্যে এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ধরাও পড়েছে। আমাদের পার্বত্য জেলা গুলোকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা করতে এবং বৈদেশিক শত্রুশক্তির এজেণ্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে কিছু এনজিও। যেসব এনজিও পাহাড়ে সবসময় সক্রিয় রয়েছে। ধর্মান্তরিত করণের কাজেও তারা একদম পিছিয়ে নেই। পাহাড়ি উপজাতিদের দারিদ্রতার সুযোগকে উপলক্ষ্য করে এনজিওগুলো পাহাড়িদের ধীরে ধীরে খ্রিস্টানও বানাচ্ছে।
আমাদের নানাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে-- খ্রিস্টান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ (সিসিডিবি), অ্যাডভানটেজ ক্রুশ অব বাংলাদেশ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, গ্রিন হিল, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস), ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান ক্রুশ, শান্তিরানী ক্যাথলিক চার্চ, জাইনপাড়া আশ্রম, তৈদান, আশার আলো, মহামনি শিশু সদন, কৈনানিয়া, তৈমু প্রভৃতি এনজিও’র বিরুদ্ধে তিন পার্বত্য জেলায় খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এনজিওগুলো নানা প্রলোভনে পড়ে দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে পাহাড়ি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। এসব এনজিও প্রতি সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল বিতরণের পাশাপাশি পাহাড়িদের মাঝে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের শর্ত সাপেক্ষে মাসিক অর্থও সাহায্য করছে।
এভাবে নানা কায়দায় বাংলাদেশ বিদ্ধেষী অপশক্তি গুলো আমাদের পার্বত্য জেলাগুলোকে দিয়ে স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র গঠন করে মূলতঃ বাংলাদেশের বুকের ওপর ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের ন্যায় একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রের জন্ম নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশের সাথে যার সম্পর্ক হবে সেরকম, যেরকম সম্পর্ক রয়েছে ফিলিস্তিনের সাথে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাঈলের। সুতরাং এব্যাপারে আমাদের সরকারকে যথেষ্ট সচেতনতার পাশাপাশি প্রথমেই পার্বত্য অঞ্চলকে অস্ত্রমুক্ত করার শক্তিশালী এবং কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। কোনোভাবেও যেনো আমাদের পার্বত্য এলাকাগুলো আমাদের হাতছাড়া না হতে পারে সেজন্য যা যা করার তাই করতে হবে।
সবশেষে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের আলোকে দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমির প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই মহান শিক্ষা আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই আমাদেরকে দিয়ে গেছেন।
লেখক:-খন্দকার রশীদ, অনলাইন এক্টিভিস্ট।