রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

খাগড়াছড়ির প্রথম হানাদার মুক্ত অঞ্চল রামগড়



১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির সীমান্তঘেঁষা তৎকালীন মহুকুমা শহর রামগড় হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে রামগড়ের মুক্তিকামী পাহাড়ি-বাঙালি জনতা। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে রামগড়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিকামী মানুষ রামগড়ে আসতে শুরু করে। যুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে রামগড়ের মুক্তিকামী মানুষ গঠন করেছিল সংগ্রাম কমিটি। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ প্রয়াত কাজী রুহুল আমীনকে আহ্বায়ক ও প্রয়াত সাংবাদিক সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরাকে যুগ্ম আহ্বয়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। ধীরে ধীরে ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত তৎকালীন মহকুমা শহর রামগড় ১নং সেক্টরের আওতাধীন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

রামগড়কে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে ২ মে প্রথমবারের মতো রামগড়ে হামলা চালায় পাক বাহিনী। সে সময় মুক্তিযুদ্ধে রামগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সব যুদ্ধসামগ্রী সীমান্তের ওপারে স্থানান্তর করা হয়। সে দিনই হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে রামগড় শহর ও আশপাশ এলাকা জ্বালিয়ে দেয়। এতে পাক বাহিনীর হাতে রামগড়ের সাময়িক পতন ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষের দিকে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে রামগড়ের শত্রু ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করা হলে পাক সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাতের আঁধারে রামগড় ত্যাগ করে। এরপর ৮ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় দুটি ভারতীয় জঙ্গী বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে রামগড়কে পুরোপুরি হানাদার মুক্ত করে।

রামগড় খাগড়াছড়ির প্রথম হানাদার মুক্ত অঞ্চল। ৮ ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকেলে রামগড় ডাকঘরের শীর্ষে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রয়াত সুলতান আহম্মদ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন এবং রামগড়কে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন।

রামগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে রামগড় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রামগড় লেকপাড়ে স্থাপিত বিজয় ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অপর্ণ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে ইসরাত।

লেখক : মুজিবুর রহমান ভুইয়া

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]