বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

টার্গেট বাঙ্গালীরাদের পার্বত্যাঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা

[ বি: দ্র: উপরোল্লেখিত কিছু শব্দ এভাবে পড়ে নিবেন। ‘আমরা’ = সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা, ‘ওরা’ = নিরীহ পার্বত্য বাঙ্গালীরা, ‘আদিবাসী’ = ভিনদেশী উপজাতী, ‘সেটেলার’ = এদেশের ভূমিপুত্র বাঙ্গালী ] 

পার্বত্যাঞ্চল আমাদের। এই এলাকা শাষণ করবো ‘আমরা’ই তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। বিগত ২-৩শ বছর আগে যখন পার্বত্যাঞ্চলে কেউ ছিলনা তখন আমাদের বাপ-দাদাদের উত্তরসুরীরা এই পার্বত্যাঞ্চলে এসে সর্বপ্রথম বসতিস্থাপন করে। বহিরাগত হলেও ‘আমরা’ই তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা যেহেতু এই নির্জন ভূখণ্ডে আগে খুঁটি গেঁড়েছি তাই ‘আমরা’ই তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা এখানকার প্রকৃত ‘আদিবাসী তথা ভিনদেশী উপজাতি’। তখন কোথায় ছিল এসব ‘সেটেলার’রা তথা এদেশের ভূমিপুত্র বাঙ্গালী। ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ’তো স্বাধীনভাবেই এখানে বসবাস করতেছিলাম। সরকার আমাদের সেই স্বাধীনতা নষ্ট করে ‘সেটেলার’দের এখানে থাকতে দিল কেন?

অনেক সহ্য করেছি। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। তাই ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ’ও স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি, এখানে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ ব্যতিত আর কাউকে থাকতে দিবনা। অনেক আগেই ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছি সেটা অনেকেই জানে। কিন্তু তারপরেও এসব ‘সেটেলার’দের দমন করা যাচ্ছেনা। ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি হল। এর পর থেকে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ নতুন কৌশলে আগাচ্ছি। ‘সেটেলারদের’কে পাহাড় থেকে বিতাড়িত করতে হলে অত্যাচার নির্যাতনের কোন বিকল্প নাই। এরপর থেকে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ তাই করি। প্রথমে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ ‘ওরা’ ব্যবসা করতে গেলে চাঁদা চাই, বাগান করতে গেলে চাঁদা চাই, কিছু চাষ করতে গেলে বা বাজারে বিক্রি করতে নিলেও চাঁদা দাবি করি। না দিলে একরাতে গিয়ে বাগান কেটে দেই। দোকান পুড়িয়ে দিই , বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেই। ভদ্রভাবে বলার পর না শুনলে কি করবো বলুন?

আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তো তবুও সম্মানের সহিত প্রথমে একটা চিঠি দিয়ে তাদেরকে জানাই। শুধু ওদেরকে নয়। উপজেলা এবং ইউপির সকল চেয়ারম্যান ও মেম্বারকেও চাঁদা দাবি করে খামে করে চিঠি পাঠাই। ওরা অবশ্য ঝামেলা করেনা। সময় মতো সঠিক ঠিকানা পাঠিয়ে দেয় টাকাটা। কিন্তু সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে কি করবো আর। আর যদি চালাকি করে কেউ প্রশাসনকে জানানোর চেষ্টা করে তাহলেতো খেল খতম। আমাদের পথে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও অপহরণ করি। মাত্র কয়েক লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অবশ্য তাদেরকে আবার বাঁচার একটা সুযোগ দেই ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’। কিন্তু এর পরও যদি কেউ প্রশাসনকে দিয়ে কোন টালবাহানা করতে চায় তাহলে তার পরিবারকে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ লাশ ছাড়া আর কিছুই ফেরত দিইনা। পরে কেউ মামলা করতে চাইলে যে তার গুষ্ঠিশুদ্ধ উড়িয়ে দেব সেটা ‘ওরা’ ভাল করে জানে। তাই ভয়ে কেউ মামলাও করেনা আমাদের নামে। আর করলেও জেলে ২দিনের বেশি কেউ আটকে রাখতে পারেনা সেটাও নিশ্চই বুঝতে পারছেন।আসলে চাঁদাবাজি বা টাকা-পয়সা আমাদের লক্ষ্য নয়। ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ চাই আমাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ‘ওরা’ ওদের জায়গা-জমি ছেড়ে চলে যাক। তাহলেই এই পার্বত্যাঞ্চলে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবো। গড়তে পারবো স্বায়ত্বশাসিত আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।

তবে মোটামুটি সুফলও পাচ্ছি ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’। ইতিমধ্যেই অনেক ‘সেটেলার’ সরকার থেকে পাওয়া তাদের বন্দোবস্তিকৃত ভূমি ও ভিটেবাড়ি রেখে পালিয়েছে। ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ পাহাড়ের সেসব ‘সেটেলার’দের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে গোপনে যেসব অত্যাচার নির্যাতন করি তা একসময় ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ প্রচার করতে পারতাম না। কিন্তু এখন ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ বুক ফুলিয়ে তা প্রচার করি। কারন ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ জানি আমাদের হাতে যে ক্ষমতা এবং বিদেশী সমর্থন আছে তাতে করে এদেশের সরকার ও প্রশাসন আমাদের ছোটখাট কিছু ক্ষতি করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। তাছাড়া এখন ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ আমাদের বিজয়ের খু্বই দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গেছি। 

দেখুন আমাদের সেই সফল কিছু অপারেশান যা বিভিন্ন মিডিয়ায়ও এসেছে। এরপর থেকে ‘আমরা তথা সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা’ তাই আরো সাহসী হয়েছি। সাহস ও মনোবল পেয়েছি এই ভেবে যে, ‘এদেশের সরকার ও প্রশাসন আমাদের কিছুই করতে পারেনা, এবং পারবে বলে মনেও হয়না’।

[ বি: দ্র: উপরোল্লেখিত কিছু শব্দ এভাবে পড়ে নিবেন।‘আমরা’ = সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা,‘ওরা’ = নিরীহ পার্বত্য বাঙ্গালীরা,‘আদিবাসী’ = ভিনদেশী উপজাতী,‘সেটেলার’ = এদেশের ভূমিপুত্র বাঙ্গালী ]

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]