কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়ি বাঙালীদের অধিকার হরন করেছে। এতে করে পাহাড়ি বাঙালী জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়ছে। পাহাড়ে সমধিকার প্রতিষ্ঠা করতে শান্তি চুক্তি পূর্ণমূল্যায়ন করতে হবে। তানা হলে পাহাড়ি অঞ্চল আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধাণীর একটি মিলনায়তনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য সসমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গনপরিষদ,পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ, জাগো পার্বত্য বাসীর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য কালো চুক্তি ও বিতর্কিত ভুমি কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন রত পাঁচ সংগঠনের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভ’ইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ন্যাপভাসানীর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাসানী,কণ্যান পার্টির সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলনের(একাংশের)মহাসচিব,মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির, পার্বত্য গন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী,জাগো পার্বত্য বাসীর কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা,পার্বত্য গনপরিষদের মহাসচিব এডভোকেট আলমখান,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহমেদ রাজু,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের উপদেষ্টা মো:আবদুল হামিদ রানা,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল নবী শাওন ,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত)মো:আবদুল মজিদ,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম মনির, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার জাহানখান প্রমুখ। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সাহাদাৎ ফরাজী সাকিব।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন,পার্বত্য শান্তি চুক্তির নামে বাঙালীদের অধিকার হরন করেছে। এতে করে পাহাড়ি বাঙালী জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়ছে। পাহাড়ে সমধিকার প্রতিষ্ঠা করতে শান্তি চুক্তি পূর্ণমূল্যায়ন করতে হবে। তানা হলে পাহাড়ি অঞ্চল আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন,এই চুক্তির মাধ্যমে বাঙালীরা আজ পিছিয়ে পড়ছে। কি কারনে সরকার বাঙালীদের বিরুদ্ধে এই চুক্তি করলোতা নতুন প্রজম্মকে জানাতে হবে।পার্বত্য অঞ্চলের ইতিহাস নাজানলে নতুন প্রজম্ম কিভাবে আন্দোলনে যুক্ত হবেন।
তিনি আরও বলেন আমরাও পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন চাই। কিন্তু সে উন্নয়ন যেন এক কেন্দ্রিক না হয়। এতে নতুন করে বৈষাম্যে সৃষ্টি হচ্ছে। বাঙালীরা পিছিয়ে পড়ছে। যে উদ্দেশ্যে শান্তি চুক্তি করা হয়ে ছিল তা এখনও সফল হয়নি। তাই এই চুক্তি পুর্নমূল্যায়ন করা রসময় এসেছে। তানা হলে পাহাড়ি অঞ্চল আবার ও অশান্তির সৃষ্টি হবে। এ সময় তিনি আরওব লেন, ভূমি কমিশন আইন বিতর্কিত। এই আইন বালিত করতে হবে। এই আইন ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি না করে উল্টো আরো অশান্তির সৃষ্টি করেছে। এই আইন বালিত করে সবার কাছে গ্রহন যোগ্য একটি ভুমি আইন করতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা শুধু সেখানের বসবাস কারী বাঙালীদের সমস্যা নয় উল্লেখ্য করে বলেন, এ সমস্যা একটি জাতি গত সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের যে ভাে বসুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে অনুরূপ ভাবে বাঙালিদের কে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এদেশে কোন আদিবাসী নেই।তথাকথিত আদিবাসী নামে যারা পার্বত্য চট্রগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে,তাদেরকে সরকারী ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।
সভাপতি আলকাছ আল মামুন ভঁইয়া বলেন,১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য কালো চুক্তির ১৯ তম বৎসর পরেও শান্তি আসেনি।যা জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি নিধি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এ চুক্তি সম্পাদন করে ছিলেন।সে দিন জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে জন মনের তোয়াক্কা না করে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে ছিলেন,এ চুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলার সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত করেছে। এ চুক্তিকে পার্বত্য বাসী সহ সারাদেশের মানুষ ঘৃনা ভরে প্রত্যাখ্যান করে বাড়ি বাড়ি কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারন করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল।যে চুক্তি আজও কোন শান্তি আনতে পারেনি।সেই কালো চুক্তি এবং বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ বাতিল করতে হবে। গন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ পারভেজ তালুকদার কলেন, সন্তু লারমা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। তার বাংলাদেশে কোন ভোটার আইডি নাই। তিনি কোন জাতীয় দিবসে যোগ দেননী আজ পর্যন্ত । শান্তি চুক্তির সময় কোন সাধারন উপজাতী তাকে সমর্থন করেনি । পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন পাহাড়ী তার পক্ষে কথা বলেনি।
নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী বলেন,কালোচুক্তির ধারাবাহিকতাই ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন ২০০১ বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা ছাত্র পরিষদকে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরী করেছে । পার্বত্য ভূমি কমিশনে বাঙ্গালীদের অন্তর্ভুক্ত করে ভুমি কমিশন আইন সংশোধন করা না হলে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে ।
বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবি, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তি পূর্ণমূল্যায়নের সময় এসেছে ---সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]