বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে খৃষ্টান ধর্মের প্রচার চলছে

ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে টাকা পাওয়া যায় না। তাই পাহাড়ে যদি কোন ভিন্ন ধর্মী ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম কবুল করেন তবে তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। হুমকির মুখে পর্জবশিত হয় নতুন মুসলিম ভাইটির জীবন। শন্তু লারমা এবং সমতলের মুসলিম নামধারী পশ্চিমা চেতনা ব্যবসায়ীরা মিডিয়ায় বড় বড় বানী উপস্থাপন করে থাকেন। যার মূল বিষয় হলো "পার্বত্য চট্টগ্রাম ইসলামীকরণ চলছে"। তাদের বানী শুনলে মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন আলাদা ভিন্ন ধর্মী রাষ্ট্র।অথচ পাহাড়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে খৃষ্টান ধর্মের প্রচার চলছে। কোন ব্যক্তি যদি খৃষ্টান ধর্ম কবুল করেন তবে তাকে দেওয়া হচ্ছে বিশাল আর্থিক সহায়তা। মূলতঃ পাহাড়ে বসবাসরত নিরীহ অশিক্ষিত উপজাতি, যাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ কম তাদের ধর্ম মাইগ্রেশন করাচ্ছে খৃষ্টান মিশনারী নামে একটি সংস্থা। কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই আমাদের পাহাড় সম্পর্কিত গবেষকদের। খেয়াল থাকবেই কি করে? টাকাই সব কিছু। শন্তু লারমা পাহাড়ে যে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করছে তার মূলে রয়েছে অর্থ, সমতলের পশ্চিমা দালালরা যা করছে তার পেছনেও রয়েছে অর্থ।
নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে আপনি পাহাড়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে আসল রহস্য খুজে পাবেন। এখানে যে পরিমান উপজাতি বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করেছে তাদের পরিসংখ্যান এবং বিপরীতে কতজন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে তার পরিসংখ্যান অতি সামান্য। বর্তমানে পাহাড়ে মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৭ জন খ্রিষ্টান। যদি ১০০ জন উপজাতি খৃষ্টান হয়ে থাকে তবে সেখানে মুসলিম হয়েছে ২ জন। কিন্তু অপপ্রচার চালানো হয় ইসলাম ধর্ম নিয়ে। কখনোই শন্তু লারমা উচ্চারণ করেনা "পাহাড়ে উপজাতিদের খৃষ্টানীকরণ চলছে"। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড় সম্পর্কে সমতলের ধর্ম প্রেমী মানুষদের ইতিবাচক ধারনা ও পদক্ষেপ কামনা করি।

পার্বত্য চট্রগ্রামে খৃষ্টান মিশনারী সংস্থাগুলো গনহারে খৃষ্টানে ধর্মে রুপান্তর করছে। কয়েকটি গোত্র পুরোই খৃষ্টান হয়ে গেছে। অথচ এ নিয়ে ইউপিডিএফ, জে এস এস এর কোন প্রতিবাদ নাই! কেউ একজন মুসলমান হতে গেলেই সবাই বাধা দেয় কিন্তু প্রকাশ্যে যে খৃষ্টান হচ্ছে এ নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নাই! কারন যারা প্রতিবাদ করবে তারা তো ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়ার দালাল হয়ে বসে আছে। যে হারে মিশনারীগুলো আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে বৌদ্ধ ধর্ম টিকে থাকবে তো! না কি পাহাড়ে বৌদ্ধ ধর্ম কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে? 

লেখক: আবু উবাইদা


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]