দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৯৯ ভোট পাওয়া রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় সম্প্রতি ৪ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। চলছে নানা মন্তব্য। ভোটের চেয়ে পদত্যাগের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এসব মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। জুরাছড়ির ১৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ১৫,৩৩২। এর মধ্যে বরকলক কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে কোনও ভোটই পড়েনি। এই কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৯৬১।সম্প্রতি জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগ নেতা অরবিন্দু চাকমার হত্যার ঘটনায় নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। পারিবারিক ও শারীরিক কারণ উল্লেখ করে তারা পদত্যাগ করেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার জন্য শান্তিচুক্তির পক্ষের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএসকে দায়ী করা হয়। জেএসএসও প্রতিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিকের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। তাদের অভিযোগ বিএনপি করা পাহাড়ি নেতাকর্মীদের রাজনীতি না করার ব্যাপারে কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের দল না করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, অপরাধীদের গ্রেফতার ও যারা অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, তাদের চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এলাকা ছাড়া করা হলে এই পদত্যাগ বন্ধ হয়ে যাবে। উল্টো পাহাড়িরা আওয়ামী লীগে যোগ দেবে।
জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা বলেন, ‘আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিকের বেশি পদত্যাগের খবর পেয়েছি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আমাদের মনের মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারিনি। গত কয়েক বছরে ৬ শতাধিকের বেশি পাহাড়ি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনও ব্যবস্থা না নিলে ভোট সংখ্যা আরও কমবে। আর যদি জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তাহলে তিন-চার গুণ ভোট নৌকা প্রতীকে পড়বে। এক কথায় আমরা অস্ত্রের কাছে জিম্মি।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘হুমকি-ধমকি দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জুরাছড়ির বর্তমান বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবে কাজ করবো। যদি পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হয়, তাহলে অস্ত্রের কাছে পাহাড়ি ভোটাররা জিম্মি হয়ে থাকবে। আর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।’
দল ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাণ ভয়ে অনেকে পদত্যাগ করছে। পদত্যাগ করে যদি কারও জীবন বাঁচে তাহলে আমরা কাউকে নিষেধ করবো না।’
তবে পদত্যাগীদের সংখা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেরল চাকমা। তিনি বলেন, ‘জুরাছড়িতে ৪ শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কোথা থেকে এলো? দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা তো ওখানে মোটে ২৯৯টি ভোট পাই।’ তিনি মন্তব্য করেন, যারা গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন তারাই আবার পার্বত্য চট্টগ্রাম রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মতাব্বর বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি এমন থাকবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পার্বত্য এলাকায় শান্তি আসবে না। পার্বত্য এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার অন্যতম কাজ অবৈধ অস্ত্র থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করা।’ তিনি আরও জানান, জুরাছড়ির বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অবহিত করা হয়েছে। তারা অবশ্যই একটি ব্যবস্থা নেবেন।
জিয়াউল হক
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]