বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

রাখাইনে গণহত্যার কথা স্বীকার করলেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান

রাখাইন প্রদেশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর গণহত্যার কথা কার্যত স্বীকার করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বুধবার দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের কার্যালয় গণকবরের সন্ধান পাবার তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বার্তাসংস্থা বলছে, বুধবার মিয়ানমার সেনাপ্রধানের কার্যালয় রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা গণকবরের খোঁজ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা গণকবরে পাওয়া ১০ রোহিঙ্গা হত্যায় জড়িত। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে শুরু হওয়া দেশটির সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান, জ্বালাও-পোড়াওয়ে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হলেও তা বরাবরই অস্বীকার করা হয়। তবে এবারই প্রথম মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যায় নিরাপত্তাবাহিনী জড়িত বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে। জাতিসংঘও রাখাইনের সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের ফেসবুক পেইজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, গণকবরে যে রোহিঙ্গাদের লাশ পাওয়া গেছে; তারা বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়েছিল এবং এর প্রতিশোধেই তারা নিহত হয়েছে।

এর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আনে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা, গণধর্ষণ, তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ও ধ্বংস করছে সেনাবাহিনী। তবে সেই সময় দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রাখাইনে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়।

গত ডিসেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা জায়েদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পরিকল্পিত নিপীড়নের ধরন দেখে এটিকে গণহত্যা না বলে পারা যায় না। জেনেভায় জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে তিনি বলেন, সামরিক অভিযানের পরিসরে এটি পরিষ্কার যে, উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি জোনাথন রওলাত এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিধনে সু চি ও সেনাপ্রধান হ্লেইং ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেই সময় তিনি বলেন, সেখানে ভয়াবহ নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে : সঙ্কটের শুরুর দিকে আমি যখন শরণার্থী শিবিরগুলো সফরে গিয়েছিলাম তখন গণহত্যা, খুন ও গণধর্ষণের অনেক অভিযোগ শুনেছি।

গত ২৫ আগস্ট যখন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা ৩০টি পুলিশি ও একটি সেনা চৌকিতে হামলা চালায় তখন সেনাবাহিনী অত্যন্ত কঠোর, পরিকল্পিত ও ধ্বংসাত্মক উপায়ে জবাব দেয়া শুরু করে। এই অভিযানের ব্যাপারে অং সান সু চি ও সেনাবাহিনীর প্রধান হ্লেইংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু তারা উভয়ই এ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি।হামলার চার মাস পেরিয়ে গেলেও সেখানে এখনো সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জায়েদ রা’দ আল হুসেইন। জাতিসংঘের এ কর্মকর্তার শঙ্কা, সেখানে যে আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, তার মুখোশ উন্মোচনের নমুনা হতে পারে এটি।

সূত্র : এএফপি।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]