সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভূমি জরিপের বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইন সংশোধন হচ্ছে



ভূমি জরিপের বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইন সংশোধন হচ্ছেভূমি জরিপ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিচারকদের আর্থিক অধিক্ষেত্র বৃদ্ধি করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত আইন (স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৫১) সংশোধনের একটি খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, এসব ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা বিচারের এখতিয়ার দেওয়া হবে সারা দেশের দেওয়ানি আদালতগুলোকে। এ ক্ষেত্রে শুধু একজন যুগ্ম জেলা জজের পরিবর্তে সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজরাও এসব মামলার শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা ভূমি জরিপ সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। সংশোধিত আইনে ভূমি জরিপের মামলা বিচারের অধিক্ষেত্র বাড়ানো হবে।

যেখানে একটি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আছে, সেখানে অনেক আদালতকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। অধিক্ষেত্র বাড়লে জনদুর্ভোগ কমে আসবে। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের পরিবর্তে এখন ভূমি জরিপের মামলা সহকারী জজ আদালত থেকে যুগ্ম জেলা জজ আদালত পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালগুলোয় একজন যুগ্ম জেলা জজ বিচারকাজ পরিচালনা করেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হওয়ায় নির্দিষ্ট বিচারক ছাড়া অন্য কেউ মামলা পরিচালনা করতে পারেন না। তাই বিপুলসংখ্যক মামলা একটি ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন থাকায় একেকটি মামলা শুনানির তারিখ ধার্য করতে হচ্ছে ছয় মাস থেকে এক বছর পর পর। এতে মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে। বাড়ছে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ। তাই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, আইনটি সংশোধন হলে একজন সহকারী জজের আর্থিক অধিক্ষেত্র হবে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ তিনি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের জমির বিরোধ-সংক্রান্ত মামলাগুলো শুনতে পারবেন। ঠিক একইভাবে সিনিয়র সহকারী জজ শুনতে পারবেন চার লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের জমির মামলাগুলো। আর যুগ্ম জেলা জজের আর্থিক অধিক্ষেত্রের কোনো সীমা থাকবে না। চার লাখ টাকার বেশি মূল্যের সব জমির বিরোধ তার আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। এতে একটি নির্দিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পরিবর্তে অনেক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত পাবেন বিচারপ্রার্থীরা।

২০০৪ সালে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৫১ সংশোধন করে ভ‚মি জরিপ ট্রাইব্যুনাল ও ভ‚মি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান সংযোজন করা হয়। আইন অনুযায়ী ভ‚মি জরিপ রেকর্ডে ভুলত্রুটি হলে জমির মালিক প্রতিকার পেতে এই ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন। ভূমি জরিপের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এক বছর পর্যন্ত সময়ে এই মামলা করা যায়। উপযুক্ত কারণ দর্শানো সাপেক্ষে অতিরিক্ত আরও ১ বছর সময় নিতে পারেন জমির মালিকরা।

ভূমি জরিপের ভুলত্রুটির বিষয়ে প্রতিকার পেতে ২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ১২টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ায়। এখন ট্রাইব্যুনাল ৪৫টি। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী এসব ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৫টি। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৫৬ হাজার ১৪৫টি।

খসড়া সংশোধনীতে যা রয়েছে : ইতোমধ্যে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৫১ সংশোধনের একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ আইনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত চ্যাপ্টার বাতিল করা হচ্ছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই চ্যাপ্টার বিলুপ্ত হওয়া সত্বেও, এই চ্যাপ্টারের অধীনে (ক) ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলা এই আইনের অধীন দেওয়ানি আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন কোনো মামলা দেওয়ানি আাদালতে এমনভাবে স্থানান্তরিত এবং বিচার্য হবে, যেন তা এই আইন অনুযায়ী দাখিল করা হয়েছে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়, ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে। আইন সংশোধনের খসড়াটি জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পাস হতে পারে বলে জানা গেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·    পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]