মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

কারা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করলো এবং কার স্বার্থে- পর্ব ৪ (শেষ পর্ব)

three leaders
আগের পর্ব: পর্ব ১ , পর্ব ২ পর্ব ৩ 
বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার সময়ে শ্যামাপ্রসাদের বক্তব্য ছিল, পূর্ববাংলায় তথা পাকিস্তানে হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবাংলায় ও হিন্দুস্থানে মুসলমানদের জামিন (hostage) হিসাবে ব্যবহার করা হবে[Gordon, Brothers against the Raj, 575]। অর্থাৎ পূর্ব বা পশ্চিম পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হলে পশ্চিমবাংলা বা ভারতের অন্যত্র নিরপরাধ মুসলমান অধিবাসীদের উপর তার শোধ নেওয়া হবে। এপ্রিল ১৯৪৭-এ অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভা সম্মেলন থেকে পূর্ববাংলার অমুসলমানদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল,


“তাঁদের পিছনে থাকবে শুধু নৈতিক নয়, কোনো পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার কর্তৃক দৈহিক বলপ্রয়োগের ব্যবস্থা” (“they will have the sanction, not only simply moral, but in certain eventualities also physical, of the new Government of  West Bengal”) [Amrita Bazar Patrika, 9.4.1947, cited in Shila Sen, Muslim Politics in Bengal, 229,fn 90]।
এখানে উল্লেখযোগ্য, সংখ্যালঘুদের জামিন রাখার তত্ত্ব কংগ্রেসের বড় বড় নেতাদের মুখেও শোনা গিয়েছিল। আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে খোলাখুলিই বলা হচ্ছিল যে, পাকিস্তানে হিন্দুদের ভয় করার কিছু নেই, কারণ ভারতবর্ষে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ  মুসলমান থাকবে; পাকিস্তানের হিন্দুদের উপর অত্যাচার হলে তার ফল ভারতবর্ষে মুসলমানদের ভোগ করতে হবে। ১৯৪৭-এর জুনের মাঝামাঝি সারা ভারত কংগ্রেস কমিটির সভায় সিন্ধুর প্রতিনিধিরা ভারত-ভাগের প্রচণ্ড বিরোধিতা করেন। তাঁদের সবরকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আজাদ আরও  লিখেছেন, প্রকাশ্য মঞ্চে না হলেও ঘরোয়া আলোচনায় তাঁদের একথাও কিছু লোক বলছিল যে, পাকিস্তানের তাঁদের কোনো ক্ষতি বা অমার্যাদা হলে ভারতবর্ষের মুসলমানদের উপর ভারতবর্ষ তার প্রতিশোধ নেবে। আজাদ বলেছেন, কিরণশঙ্কর রায় এই বিপজ্জনক তত্ত্বের দিকে (হিন্দুস্থানে মুসলমানেরা এবং পাকিস্তানে হিন্দুরা অপর রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের জন্য জামিন-hostage-থাকবে) তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। রায় কংগ্রেস সভাপতি কৃপালনিকে বলেছিলেন, এই তত্ত্ব অত্যন্ত বিপজ্জনক। আজাদ বলেছেন, কিরণশঙ্কর রায়ের কথায় কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি। অনেকেই তাঁর আশঙ্কাকে উপহাস করেছিল [Azad, op cit., 198-9]।
একই তত্ত্ব ছিল কোনো কোনো মুসলমান নেতারও। ৭ই অক্টোবর ১৯৪২-এ জিন্নাকে একটি চিঠিতে চৌধুরী খালিকুজ্জামান লিখেছিলেন : পাকিস্তান ধারণার পিছনে অন্যতম মৌলিক নীতি হচ্ছে, হিন্দু প্রদেশে মুসলমানদের মত মুসলমান প্রদেশেও [হিন্দুদের] জামিন (hostage) রাখতে হবে। আমরা যদি লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের [আঞ্চলিক পুনর্গঠনের ফলে] আমাদের প্রভাবের বাইরে চলে যেতে দিই তাহলে সংখ্যালঘু মুসলিম প্রদেশে মুসলমানদের নিরাপত্তা খুবই হ্রাস পাবে ” [Choudhury Khaliquzzaman, Pathway to Pakistan, 425]।
শ্যামাপ্রসাদ, নেহরু, প্যাটেল প্রমুখ যাঁরা বাংলার হিন্দুদের ত্রাণকর্তার ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন, বাংলার দুর্গত হিন্দু জনসাধারণের প্রতি তাঁদের দরদের উল্লেখ করতে চাই। তাঁরা বাংলা তথা ভারত উপমহাদেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেবার পরে পূর্ববাংলা থেকে যে হিন্দুরা ভিটেমাটি ত্যাগ করে পশ্চিমবাংলায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা নেহরু-প্যাটেল-শ্যামাপ্রসাদদের কেন্দ্রীয় ভারত সরকারের কাছ থেকে কী রকম সহৃদয় ব্যবহার পেয়েছিলেন তার একটি নমুনা আমরা দিচ্ছি।
১লা ডিসেম্বর ১৯৪৯-এ তাঁদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে লিখেছিলেন :
“আপনার ধারণা ‘ত্রাণ’ ও পুনর্বাসনের জন্য আপনার সরকার বিরাট টাকা দান করেছে। আপনি কী উপলব্ধি করেন যে, আপনার সরকারের কাছ থেকে ১৯৪৮-৪৯ ও ১৯৪৯-৫০ এই দুই বছরের জন্য ওই উদ্দেশ্যে মোট অনুদান পাওয়া গেছে ৩ কোটি টাকার সামন্য কিছু বেশি ও বাকি প্রায় ৫ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। আমি বলছি, ২৬ লক্ষ বাস্তুহারাদের জন্য এ পর্যন্ত যে অনুদান দেওয়া হয়েছে তা তুচ্ছ, কারণ দ’বছর জনপ্রতি তার পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ টাকার মত”[Quoted in Sarji Chakrabarti, with Dr B. C. Roy and other Chief Ministers, Calcutta, 1974, 140-2]। এই নীতির ফলেপশ্চিমবাংলাও পঙ্গু হয়ে গেছে। নেহরুদের অন্যান্য নীতিও একই উদ্দেশ্য সাধণ করেছে [See, for Instance, Ranajit Roy, The Agony of West Bengal; A Study in Union-State Relations, Calcutta, 1972 (second Enlarged edition)]।
শ্যামাপ্রসাদের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ষব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই পার্টি শ্যামাপ্রসাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জনসংঘের নতুন সংস্করণ। পশ্চিমবাংলার ‘মার্কসবাদী’ উপ-মুখ্যমন্ত্রী (বতর্মানে মুখ্যমন্ত্রী) এই পার্টির সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা করেছেন যে, শ্যামাপ্রসাদ জনগণের এক মহান নেতা নেতা ছিলেন এবং তাদের ‘বামফ্রন্ট’ সরকার এই উপলক্ষে উৎসব পালন করবে। করাই স্বাভাবিক। তাদের চোখে আর একজন মহান নেতা ছিলেন বিধান চন্দ্র রায়।
এই প্রসঙ্গে আমরা কয়েকটি কথা  বলবো। শ্রেণীবিভক্ত সমাজে প্রধানত দু’জাতের মানুষ আছে : মুষ্টিমেয় শোষক ও শাসক এবং তাদের অনুগৃহীত জীব এক জাত এবং অন্য জাত হচ্ছে বাকি জনগণ। প্রশ্ন হচ্ছে, শ্যামাপ্রসাদ কোন শিবিরে ছিলেন- বিড়লা-গোয়েঙ্কা প্রভৃতিদের এবং তাদের রাজনৈতিক মুখপাত্রদের শিবিরে, না জনগণের শিবিরে? কী ছিল তাঁর রাজনীতি?
নিপীড়িত জনগণকে দমন করে রাখার শোষক ও শাসকদের হাতে পুলিশ মিলিটারি লাঠি গুলি আইন আদালত জেল ইত্যাদি ছাড়াও আরও অস্ত্র আছে। সাম্প্রদায়িকতা, ‘জাতের ব্যারাম’ (casteism), উগ্র জাতীয়তাবাদ তাদের হাতে শক্তিশালী অস্ত্র। এখানে Howerd Zinn- এর A People’s History of the United States থেকে একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি : “Indeed, as the nations of Europe went to war in 1914, the government flourished, patriotism bloomed, class struggle was stilled, and young men died in frightful numbers on the battlefields- often for a hundred yards of land, a line of trenches… Ten million were to die on the battlefield; 20 million were to die of hunger and disease related to the war. And no one since that day has beeb able to show that the war brought any gain for humanity that would be worth one human life ”[Howard Zinn, A People’s History of the United States, New York, 1990th edn., 350-emphasis added].
অর্থাৎ সংক্ষেপে, য়ুরোপের দেশগুলো যখন ১৯১৪-তে যুদ্ধ শুরু করলো, তখন সরকারগুলোর শ্রীবৃদ্ধি হলো, দেশপ্রেমের বন্য বয়ে গেলো, শ্রেণীসংগ্রাম স্তব্ধ হলো, আর যুদ্ধক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যায় তরুণেরা প্রাণ দিল- অনেক ক্ষেত্রে সামান্য একটু জমির জন্য।…যুদ্ধে মারা গেলো একটি মানুষ; দু’কোটির মৃত্যু হলো যুদ্ধ-জনিত অনাহার ও অসুখে। এখন পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেননি যে এই যুদ্ধের ফলে মানবজাতির এমন লাভ হয়েছে যার মূল্য একটি মানুষের জীবনের সমতুল্য।
রাষ্ট্রগুলির নেতাদের মধ্যে বিরোধ ছিল: বিরোধ ছিল রাষ্ট্রের সীমানা, উপনিবেশ, প্রভাবাধীন এলাকা ইত্যাদির জন্য। বিরোধ ছিল না রাষ্ট্রগুলির জনগণের মধ্যে। কিন্তু শোষক ও শাসকেরা উগ্র জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি করে শোষক ও শাসকদের শিবিরে শোষিত জনগণকে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিল; তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক রাষ্ট্রের শোষিত জনগণকে অন্য রাষ্ট্রের শোষিত জনগণের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঠেলে দিয়েছিল। উগ্র জাতীয়তাবাদের মত ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে শোষক ও মাসকেরা নিপীড়িত জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, তাঁদের এক অংশকে আর এক অংশের বিরুদ্ধে পরিচালিত করে এবং এইভাবে শাসন ও শোষণের ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। ধর্ম-নির্বিশেষে শোষিত জনগণের ঐক্যই শোষণ থেকে, নানবিধ অত্যাচার, তাঁদের মুক্তির পূর্বশর্ত। (ধর্ম প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার।)
শ্যামপ্রসাদের রাজনীতি ছিল এই ঐক্যকে চূর্ণ  করা; শ্বাপদ ও শিকারকে এক শিবিরভুক্ত করা, যার অর্থ জনগণকে দুঃখ-দুর্শশার মধ্যে নিমজ্জিত রাখা। শ্যামাপ্রসাদ নিজে ছিলেন শ্বাপদদের শিবিরে- বিড়লা-গোয়েঙ্কাদের শিবিরে। বাংলা-বিভাজনের জন্য যারা দায়ী তিনি ও হিন্দু মহাসভা তাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। সেইজন্যই তিনি ক্ষমতা-হস্তান্তরের পর নেহরু মন্ত্রিসভায় শিল্পমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। এবং ৬ই এপ্রিল ১৯৪৮-এ মন্ত্রিসভা কর্তৃক গৃহীত ‘শিল্পনীতি সংক্রান্ত প্রস্তাব’ (‘Industrial Policy Resolution’) ও তার সাথে গৃহীত স্মরকলিপি সাম্রজ্যবাদী পুঁজির শৃঙ্খলাকেই দৃঢ় করার সংকল্প ঘোষণা করেছিল [See Suniti Kumar Ghosh, The Indian Big Bourgeoisie, 263]।
আজ থেকে প্রায় ৫৫ বছর আগে সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন :
অবাক পৃথিবী! অবাক যে বারবার,
                   দেখি এই দেশে মৃত্যুরই কারবার।
আজও  এই দেশে মৃত্যুরই কারবার চলেছে। শ্যামাপ্রসাদের উত্তরসূরিরা আজ একদিকে পারমাণবিক বোমার আস্ফালন করছেন আর অন্যদিকে পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের অঙ্গুলিহেলনে কংগ্রেস-প্রবর্তিত নয়া অর্থনীতির রূপায়নে মেতে উঠেছেন এবং কোটি কোটি মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে তাঁদের জীবনকে যন্ত্রণাবিদ্ধ করে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
আর একটি প্রশ্ন : জনগণের মহান নেতা কে? নিপীড়িত জনগণ যে সব শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত সেইসব শৃঙ্খলকে যিনি দৃঢ় করেন, জনগণের এক অংশকে অন্য অংশের বিরুদ্ধে পরিচালিত করেন, তিনি জনগণের মহান নেতা? না, তিনি যিনি জনগণের আসল শত্রুদের চিহ্নিত করে তাঁদের ঐক্যকে দৃঢ়তর করে রাজনৈতিক অর্থনেতিক সামাজিক সব শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে, জীবনযাত্রার প্রয়োজনের দিক থেকে এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে মহত্তর জীবনের অভিমুখে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যান?
১৯৪৭-এর ৮ই আগস্ট তারিখের রিপোর্টে লন্ডনে কর্তৃপক্ষকে মাউন্টব্যাটেন জানিয়েছিলেন, বাংলার গভর্নর বারোজ, যিনি শ্যামাপ্রসাদকে ভালোভাবে জানেন, মাউন্টব্যাটেনকে বলেছিলেন যে,
শ্যামাপ্রসাদ এতই নীচ যে তাঁর পেটের তলা দিয়ে সাপও গলতে পারবে না। (“…Borrows who knows him [Shyamaprasad] well, described him to me recently as being so low that a snake could not crawl under his belly.”)[TOP. XII, 601]।
মাউন্টব্যাটেন নিজে ছিলেন সাম্রাজ্যবাদীদের আপন লোক; জনগণের স্বার্থের প্রতি শত্রুতা এবং নীচতা তাঁরও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল।  (সমাপ্ত)
লিখেছেনঃ  সুনীতি কুমার ঘোষ,  উৎসঃ  সুনীতি কুমার ঘোষ, কারা বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করলো এবং কার স্বার্থে, হাসান আজিজুল হক (সম্পাদিত), বঙ্গ বাংলা বাংলাদেশ, সময় প্রকাশন, ২০১২ (পৃষ্ঠা ২৭৮-২৮২)
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]