বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাঃ স্বরূপ ও সমাধানের উপায় : পর্ব - ৬

আগের পর্ব: পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩ পর্ব-৪ পর্ব-৫


উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপজাতিদেরআদিবাসীবানানোর চক্রান্ত : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২৮ জানুয়ারি ২০১০ এক প্রজ্ঞাপনেউপজাতীয় সম্প্রদায়কে আদিবাসী অভিহিত করার অপতৎপরতাপ্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কাছে এক প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। প্রেরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ৪৫টি উপজাতি বাস করে। বাংলাদেশের সংবিধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন এবং ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তিতে উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলোকেউপজাতিহিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কোথাও আদিবাসী অভিহিত করা হয়নি। তথাপি সরকারী একাধিক প্রজ্ঞাপনকে অবজ্ঞা করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কতিপয় নেতা একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, পাহাড়ে বসবাসরত শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ এমনকি সাংবাদিকরা ইদানীং এদেরকে উপজাতি না বলে আদিবাসী বলছে। বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেয়া হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো সরকারদলীয় এমপি জনাব আসাদুজ্জামান নূর, মহাজোটের অংশীদার এমপি জনাব রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই উপজাতির পরিবর্তেআদিবাসীশব্দটি ব্যবহারের জন্য রীতিমত দৃঢ় অবস্থানে আছেন। 

এদের মতো শিক্ষিত ব্যক্তিরা উপজাতি আদিবাসীর পার্থক্য বুঝেন না এটা বিশ্বাস করা যায় না। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও সরকারের ভেতরে বাইরে একটি বিশেষ মহল উপজাতি আদিবাসী বিতর্ক জিইয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের পাহাড় সমতলের প্রায় ৪৫টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ বসবাস করছেন। সরকার উপজাতীয় নেতৃবৃন্দের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেরাও নিজেদের উপজাতি বা জুম্ম জনগণ মনে করে থাকেন। কিন্তু সমতলের উৎসাহীরা তাদেরআদিবাসীহিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন। অথচ নৃতাত্বিক, জাতিতাত্বিক, ভাষাতাত্বিক, ঐতিহাসিক এবং অন্যকোন বিচারেই তারা বাংলাদেশের ভূ-পরিমন্ডলের আদিবাসী (Aboriginals) হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন না। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আদিবাসী ফোরামের সভাপতি সন্তু লারমা পাহাড়ী জনগণকেআদিবাসীহিসেবে আখ্যায়িত করলেও তার স্ব-গোত্রীয় নেতারাই এর বিরোধিতা করছেন। পাহাড়ীদের একটি বড় অংশ যারা নিজেদের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে সক্রিয় রেখেছেন তারাওআদিবাসীশব্দটি মেনে নিতে নারাজ। ইউপিডিএফ প্রধান প্রসিত খীসার মতে, পাহাড়ে বসবাসকারীরা পাহাড়ী, তারা আদিবাসী নয়। জে এস এস এর বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা পাহাড়ীদের অধিকারের প্রশ্নে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত সুধা সিন্ধু খীসাও নিজেদেরআদিবাসীনয় জুম্ম জনগণ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। 


পার্বত্য শান্তি চুক্তির মুখবন্ধে নিজেদেরকে উপজাতি দাবি করেই জে এস এস নেতা সন্তু লারমা পার্বত্য শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু বিগত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকেআদিবাসীইস্যুটি নতুন মাত্রা লাভ করে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় উপদেষ্টা হওয়ার পর। তারপর কিছু মুখচেনা বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার নেতা-নেত্রী, এনজিও এবং মিডিয়া ইস্যুটিকে নিয়ে মাতামাতি করতে থাকে। অথচ সরকার যৌক্তিক কারনে কোন দিনই উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকেআদিবাসীবলে উল্লেখ করেনি। উপজাতীয়দেরকেআদিবাসীহিসেবে অভিহিত করার অপতৎপরতায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিব্রতবোধ করেন। ইনাম আহমদ চৌধুরীর মতে, পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতিরা কেউই আদিবাসী নন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে এই এলাকায় এসে বসতি গেড়েছেন। আর সংবিধানেও কাউকে কোন নির্দিষ্ট এলাকার আধিপত্য দিয়ে দেয়ার এখতিয়ার কাউকে দেয়নি। 


বিদেশি মহাশক্তিধরদের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোকেআদিবাসীবানানোর চেষ্টা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। প্রচেষ্ঠার সঙ্গে যেমন এদেশে অনেক এনজিও জড়িত, তেমনিভাবে কিছু বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার গ্রুপসহ রাজনৈতিক দলও এসবের পৃষ্ঠপোষকতা করে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোকে আদিবাসী হিসাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হলে তাদের স্বার্থে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ সহজ হয়ে পড়ে। জানা যায়, জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক চার্টারেআদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত যে কোনো দেশে জাতিসংঘ সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে’- এমন ক্লজ আছে। দিক থেকে বিচার করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষার নামে জাতিসংঘের মাধ্যমে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই এদেশে চলছে। শান্তি রক্ষার নামে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সেনাসদস্যদের পাঠিয়ে আমরা যেমন জাতীয় গৌরবের ঢাকঢোল বাজাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিসংঘের নেতৃত্বে অন্য কোনো দেশের সৈনিকরা যদি শান্তি রক্ষার নামে এদেশে এসে ঘাঁটি গাড়ে তখন কী আমরা গৌরবের ঢাক-ঢোল বাজাবো? বিষয়টি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। তাহলে একটা বিষয় পরিষ্কার হবে যে সব ব্যক্তি, এনজিও রাজনৈতিক দল এদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাসমূহকে আদিবাসী বানানোর চেষ্টা করছে, তারা কার স্বার্থে কাজ করে চলেছে। 


বিভিন্ন এনজিও, বিদেশী সংবাদ মাধ্যম, জাতিসংঘের আড়ালে থাকা খৃস্টান রাষ্ট্রসমূহ সকল ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গোপনীয় প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউএনডিপি, ডানিডা, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কোটি ডলার বিনিয়োগ এবং উপজাতীয়দের ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা উপজাতীয়দেরআদিবাসীহিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগেও পররাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুরূপ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 
বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর . মোহাম্মদ আব্দুর রব সম্প্রতি উপজাতি-আদিবাসী বিতর্ক নব্য উপনিবেশবাদ শীর্ষক এক প্রবন্ধে বলেন, বিদেশী শক্তির প্রতিভূনব্য ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীবলে কুখ্যাত অপতৎপরতাকামী এনজিও চক্র খৃস্টান মিশনারী গোষ্ঠী বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতীয় ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনসম্প্রদায়গুলোকে দেশেরআদিবাসীহিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রমাণিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। উপজাতীয়রা (Tribals) সব সময়ই যে আদিবাসী হবে এমন কথা ঠিক নয়। মতলববাজ এনজিওচক্র তাদের আদিপত্যবাদী বিদেশী প্রভুদের ভূ-রাজনৈতিক নীল-নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নানা শান্তিপ্রিয় নিরীহ ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাগুলোকে দেশেরআদিবাসীহিসেবে ঘোষণা করছে, প্রচার প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে অত্যন্ত নিপুণ কৌশলে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো দেশের আদিবাসী বা ভূমিপুত্র নয়- তার প্রমাণ প্রখ্যাত উপজাতি গবেষক নৃতত্ত্ববিদ RHS Huschinson (1906), TH lewin (1869), J.Jaffa(1989), অমরেন্দ লাল খিসা (১৯৯৬) এববং এন আহমেদ (১৯৫৮) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে পাওয়া যায়। তারা সবাই এক বাক্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়দের নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে দেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হবার যুক্তি-প্রমাণ ইতিহাস তুলে ধরেছেন। 


লেখক-পরিচিতি : জনাব মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম- বিশিষ্ট ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ এবং প্রাবন্ধিক
লেখা-পরিচিতি : প্রবন্ধটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে বাংলাদেশ ইসলামিক সেনটার কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত হয়

ফুটনোটঃ


. . মোহাম্মদ আবদুর রব, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূগোল ভূ-রাজনীতি, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক স্মারক, অতন্দ্র জনতা বাংলাদেশ, ধানমন্ডি, ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ১৯৯৭, পৃ.১১০-১১১। 
. . এমাজউদদীন আহমদ, জুমল্যান্ডের পরিণতি, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ.১৭। 
. . হাসানুজ্জামান চৌধুরী . মোহাম্মদ আব্দুর রব, পার্বত্য চট্টগ্রাম : ভূ-রাজনীতি বিপন্ন সার্বভৌমত্ব, লেখকদ্বয় কতৃৃক প্রকাশিত, ঢাকা, ১লা জানুয়ারী, ১৯৯৭, পৃ.-৫। 
. জাফর আহমদ নূর, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্বমোড়লদের হেড লাইটের আলো পড়েছে (প্রবন্ধ), পৃ-১। 
. খাগড়াছড়ি জেলার সামুতং- .১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ইতোমধ্যে আবিস্কৃত হয়েছে। কাপ্তাই আলীকদমে কঠিন শিলা পাওয়া গেছে। রামুতে পাওয়া গেছে গ্যাস, সেই সাথে আলিকদমে পেট্রোলিয়াম লামায় পাওয়া গেছে কয়লা। মানিকছড়ি রাঙ্গামাটিতে রয়েছে পাথরের বিরাট মওজুদ। দেখুন . তারেক শামসুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম কোন পথে? আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৯৩। 
. সুগত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সংস্কৃতি, ট্রাইবাল অফিসার্স কলোনী, রাঙ্গামাটি, ১৯৯৩, পৃ.১৫। 
. পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য খাগড়াছড়ি, পার্বত্য রাঙ্গামাটি, পার্বত্য বান্দরবান ১৯৮৮ সালে তিনটি জেলার মর্যাদায় বিভক্ত হয়। দ্রষ্টব্য : জাতীয় সংসদের এ্যাক্ট, বাংলাদেশ গেজেট, ২রা মার্চ, ১৯৮৯। 
. জয়নাল আবেদিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম: স্বরূপ সন্ধান, বুক মিউজিয়াম পরিবেশিত, ২৬ মার্চ ১৯৯৭, পৃ. ১৭। 
. জয়নাল আবেদীন, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৭-১৮। 
. লেবানন ৪০৩৪ বর্গমাইল (১৪৪৩২ বর্গ কি.মি.), সাইপ্রাস ৩৫৭১ বর্গমাইল (৯২৫০ বর্গ কি.মি), ব্রুনাই ২২২৫ বর্গমাইল (৫৭৭০ বর্গ কি.মি), কাতার ৪৪০২ বর্গমাইল (১১৪০০ কি.মি) সিঙ্গাপুর ২৪০ বর্গমাইল (৬২২ বর্গ কি.মি), মরিশাস ৭২০ বর্গমাইল (১৮৬৫ বর্গ কি.মি), লুক্সেমবার্গ ৯৯৮ বর্গমাইল (২৫৮৬ বর্গ কি.মি) আয়তন বিশিষ্ট
. সার্ভে অব বাংলাদেশের তথ্য, উদ্বৃত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া পরিবেশ পরিস্থিতির মূল্যায়ন, মাওলা ব্রাদার্স, ফেব্রুয়ারী ২০০১, পৃ. ১৭। 
. দৈনিক জনকন্ঠ, ৩০ জানুয়ারী ২০০০। 
. . মাহফুজ পারভেজ, বিদ্রেহী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, সন্দেশ, শাহবাগ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯, পৃ.

. বাংলাদেশে কতটি নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে রয়েছে মত পার্থক্য। বিষয়ে সরকারি বেসরকারি দলিলপত্র এবং বিভিন্ন গবেষণাপত্রে ভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২, কেউ বলেছেন ১৫, আবার কেউ বলেছেন ৪৬। যেমন, মাহমুদ শাহ কোরেশি সম্পাদিতট্রাইবাল কালচার ইন বাংলাদেশগ্রন্থে মার্কিন নৃ-বিজ্ঞানী Peter J. Bertocci ১৯৯১ সালের আদমশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২। আবার ১৯৯৪ সালের আদম শুমারী রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক .জি.সামাদ বলেছেন, দেশে ১৫টি নৃ-গোষ্ঠী বাস করছে। মাহমুদ শাহ কোরেশি নিজেই বলেছেন বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৩১। অন্যদিকে নৃতত্ত্ববিধ সি. মেলোনি বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৬। তিনি অবশ্য ভাষাগত দিক থেকে নৃ-গোষ্ঠী গুলোকে ওই ৪৬ ভাগে ভাগ করেন। দেখুন, গৌতম মন্ডল, অশান্তির বেড়াজালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, নিউজ নেটওয়ার্ক, ধানমন্ডি, ঢাকা, জুলাই ২০০৫, পৃ.৩৩
. রাঙ্গামাটিতে বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা ১১টি (চাকমা, মারমা, তংচংগ্যা, ত্রিপুরা, পাংখো, লুসাই, বোম, খিয়াং, মুরং, চাক, খুমি) খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী উজাতির সংখ্যা ৪টি (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল) বান্দরবন জেলায় বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা ১২টি (মারমা, মুরং, ত্রিপুরা, তংচংগ্যা, বোম, চাকমা, খুমী, খিয়াং, চাক, উসাই, লুসাই, পাংখো) বিস্তারিত দেখুন অশোক কুমার দেওয়ান, চাকমাজাতির ইতিহাস বিচার, দিপীকা দেওয়ান প্রকাশিত, খবংপর্যা, খাগড়াছড়ি, নভেম্বর ১৯৯১; বিরাজ মোহন দেওয়ান, চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত, উদয় শংকর দেওয়ান প্রকাশিত, উত্তর কালিন্দীপুর, রাঙ্গামাটি, জানুয়ারী ২০০৫; প্রভাংশু ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ইতিহাস, এপ্রিল ২০০৬; আতিকুর রহমান, পার্বত্য তথ্য কোষ - খন্ড, পর্বত প্রকাশনী, সিলেট, নভেম্বর ২০০৭; আবদুস সাত্তার, পাকিস্তানের উপজাতি, পাকিস্তান পাবলিকেশন্স ঢাকা, ১৯৬৬
. S. Mahmood Ali, ‘The Fearful state: Power people and Internal war in South Asia’, London and new Jersy: ZED Books, 1993, উদ্বৃত . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ.

. ৫ম খন্ড- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এ্যাকট, বিল ইত্যাদি, বাংলাদেশ গেজেট, মার্চ , ১৯৮৯; উদ্বৃত . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত পৃ. ৫। 
. জাফর আহমদ নূর, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্ব মোড়লদের হেড লাইটের আলো পড়েছে (প্রবন্ধ), পৃ.১। 
. ধর্মযাজক ফাদার টীম ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে খৃস্টানীকরণ (Christianization) প্রোগ্রাম শুরু করেন। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া তিনি এখানে বিগত ৩৭ বছর যাবত অবস্থান করে ছোট বড় সকল উপজাতি সদস্যদের খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে পার্শ্ববর্তী মিজোরাম (৯০% খৃস্টান ইহুদী), ত্রিপুরা (৩০% খৃস্টান), মনিপুর (৪০% খৃস্টান), আসাম (৪৫% খৃস্টান), মেঘালয় (৮০% খৃস্টান), অরুনাচল (৭০% খৃস্টান) রাজ্যের খৃস্টান ইহুদীদের সাথে ধর্মীয় বন্ধন গড়ার কাজটি লোকচক্ষুর অন্তরালে সাফল্যের সাথে করতে সক্ষম হয়েছেন। ধর্মযাজক বিশাল কর্মকান্ড পরিচালনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ডেমোগ্রাফিক ডিনামিকস পরিবর্তনের পাশাপাশি সকল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অত্যাধুনিক বিশাল খৃস্টান ডরমিটরী, গীর্জা, মিশনারী স্কুল, বাইবেল কেন্দ্র, পাঠাগার, সার্ভিস সেন্টার, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট শক্তিশালী স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। 
. . এমাজউদদীন আহমদ, বাংলাদেশ রাজনীতি : কিছু কথা কথকথা, মৌলি প্রকাশনী, বাংলা বাজার, ঢাকা, মে ২০০২, পৃ. ১৬২-১৬৩
. কামিনী মোহন দেওয়ান স্নেহকুমার চাকমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতির একটি প্রতিনিধি দল এবং ভুবন মোহন রায়ের নেতৃত্বে পার্বত্য রাজাদের আরেকটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে পৃথক পৃথকভাবে কংগ্রেস নেতাদের সাথে সাক্ষাত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানান
. পার্বত্যাঞ্চলের প্রথম গনসংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সমিতির সভাপতি ছিলেন কামিনী মোহন দেওয়ান। পিতার নাম ত্রিলোচন দেওয়ান। দেশ বিভাগের সময় ভারতের সঙ্গে একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে তৎপরতা চালানোর দায়ে তিনি কারাবরন করেন। রাঙ্গামাটি জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান (১৯৮৯) গৌতম দেওয়ান তার নাতি। 
. বৃটিশ আমলের অন্যমত উপজাতীয় নেতা। পিতার নাম শ্যামচন্দ্র চাকমা। জনসংহতি সমিতি তথা শান্তি বাহিনীর অন্যতম উপদেষ্টা। ভারতের পক্ষ নেয়ায় হুলিয়া জারী হওয়ায় তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে জনপ্রতিধি নির্বাচিত হন
. ভারতপন্থী চাকমা নেতা, পিতার নাম কালাহুলা দেওয়ান। ঘনশ্যাম দেওয়ানের আপন ভাগ্নে শান্তিবাহিনীর অন্যতম নেতা সমীরন দেওয়ান (মেজর মলয়) 
. এস.বি. চাকমা, উপজাতীয় নেতৃত্ব: সশস্ত্র আন্দোলনের ইতিকথা, উদ্বৃত . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ.৩৭
. সৈয়দ আজিজ উল আহসান ভূমিত্র চাকমা, ‘প্রব্লেমস অব ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন ইন বাংলাদেশ : দি চিটাগাং হিল ট্রাকটস’, এশিয়ান সার্ভে, ভলিউম ২৯, নং-১০, অকটোবর, ১৯৮৯, পৃ-৯৫৯-৯৭০
. সত্তর এর নির্বাচনের সময় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার উপদেষ্টা ছিলেন। বাড়ী মোবাছড়িতে। পার্বত্য এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অনন্ত বাবুর ছেলে প্রসীত বিকাশ খীসা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালের নেতা এবং ইউপিডিএফের বর্তমান সভাপতি। 
. সালাম আজাদ, শান্তিবাহিনী শান্তিচুক্তি, আফসার ব্রাদার্স, ঢাকা, ১৯৯৯, পৃ.২২
. মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার পিতার নাম বিত্ত কিশোর লারমা, মায়ের নাম সুহাসিনী। তিনি অমৃতলাল দেওয়ানের ভাগ্নে। উল্লেখ্য সন্তু লারমা মামাতো বোন বিয়ে করেন। অন্যকথায় অমৃতলাল দেওয়ানের মেয়েকে বিয়ে করেন। 
. হুমায়ুন আজাদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম: সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৯৭, পৃ.১৮
. সালাম আজাদ, পূর্বোক্ত, পৃ.১২-১৩। 
. পার্বত্য চট্টগ্রামের এককালের শক্তিশালী আওয়ামী লীগ নেতা। পিতা দিগম্বর চাকমা। দাদা লালমনি ডাক্তার স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরী করতেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্য নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন এবং সমস্যা সমাধানে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিবাদী ভূমিকায় বিশ্বাসী ছিলেন। 
. আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৩১-৩২
. ১৯৫১ সালের অক্টোবর চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায় মারা যাওয়ার পর ১৯৫৩ সালের মার্চ তদীয় পুত্র রাজা ত্রিদিব রায় রাজ সিংহাসনে আরোহন করেন। পাকিস্তান শাসনামলে রাজা ত্রিবিদ রায়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান সরকারের সাথে তিনি নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বিজয়ী হন
. কলিকাতার তৎকালীন হিন্দু ব্যারিষ্টার সরল সেনের কন্যা বিনীতা রায়কে চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায় বিয়ে করেন। এই বিয়ের মাধ্যমে চাকমা রাজ পরিবারে হিন্দু আচার অনুষ্ঠানের বিকাশ ঘটে। 
. সিদ্ধার্থ চাকমা, প্রসঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম, নাথ ব্রাদার্স, কলকাতা, ১৯৮৬, পৃ.৯। 
. দলের সদস্য ছিলেন : মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, জ্ঞানেন্দ্র বিকাশ চাকমা, চারু বিকাশ চাকমা, বি.কে. রোয়াজা, স্নেহকুমার চাকমা প্রমুখ
. ১৯৭৩ সালের জানুয়ারী খাগড়াছড়ির ইটছড়ির গভীর অরণ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখাশান্তিবাহিনীপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার অনুজ জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার ডাকনাম শন্তু বা শান্তি অবলম্বনে এদেরকে ডাকা হতো শান্তিবাহিনী। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারী মাসে রিজার্ভ আর্মড পুলিশের ওপর অতর্কিতে প্রথম-হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে শান্তি বাহিনী; দেশব্যাপী শান্তিবাহিনীর নাম আলোচিত হতে থাকে
. প্রীতিকুমার চাকমা ছিলেন ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত পাহাড়ী ছাত্র সমিতির সভাপতি। ১৯৮৫ সালের ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রীতি গ্রুপের ২৩৩ জন শান্তিবাহিনীর সদস্য আত্মসমর্পন করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেজর জেনারেল এম. নুরুদ্দীন খানের কাছে অস্ত্র জমা দেন। ২৯ জুন বাংলাদেশ সরকার প্রীতি গ্রুপের মধ্যে আত্মসমর্পনের পর প্রীতি কুমার চাকমা বিদ্রোহ ছেড়ে ভারতে পরম সুখে সংসার করছেন। দেখুন হুমায়ুন আজাদ, পূর্বোক্ত। উদ্বৃত . মাহফুজ পারভেজ, পূর্বোক্ত পৃ. ৪৭। 
. উল্লেখ্য ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পিই- ২৯৯ পার্বত্য চট্টগ্রাম- আসন থেকে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ১৯৭৪ সালের ২৫ জানুয়ারী মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা, অনন্ত বিহারী খিসা, চারু বিকাশ চাকমা প্রমুখ বাকশালে যোগদান করেন।বাকশাল’ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) ছিল রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত দেশের একমাত্র দল; সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান বদলে ফেলেবাকশালএর মাধ্যমে দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল
. অমৃত লাল চাকমা ওরফে ক্যাপ্টেন অসাধ্য (বলি ওস্তাদ) ইপি আর এর হাবিলদার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনীর প্রথম অস্ত্র প্রশিক্ষক নলিনী, রনজন চাকমা ওরফে মেজর অফুরন্ত এর অধীনে শান্তি বাহিনীর সহকারী অস্ত্র প্রশিক্ষক ছিলেন
. Life is not Ours. The Report of the Chittagong Hill Tracts Commission, May 1991, P-20.
. সালাম আজাদ, পূর্বোক্ত, পৃ.১৬-১৭
. উষাতন তালুকদার পাহাড়ী ছাত্র সমিতির অন্যতম নেতা ছিলেন। শান্তি বাহিনীর তিনি প্রভাবশালী সদস্য এবং মেজর উষাতন তালুকদার সমীরন নামে পরিচিত। তার অপর নাম মলয়
. রূপায়ণ দেওয়ান ওরফে মেজর রিপ হচ্ছেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার জামাতা, শান্তিবাহিনীর প্রভাবশালী ফিল্ড কামান্ডার। তিনি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রথম সেক্রেটারী ছিলেন
. পাহাড়ী গন পরিষদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রসীত বিকাশ খীসা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জনসংহতি সমিতি ফ্যাসিস্ট কায়দায় এগুচ্ছে... .. চুক্তিতে শান্তি আসবে না’ (সাক্ষাৎকার মানব জমিন, ১৯ অক্টোবর ১৯৯৭)
. পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত ২০ মে ২০০৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান অবস্থায় জনগণের বিরুদ্ধে সরকার। সরকার, সেনাবাহিনী সন্তু লারমা চক্রের মিলিত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের গ্রুপটি ইউপিডিএফের অংগ সংগঠন
. হিলউইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন নেত্রী কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন শান্তিবাহিনী কর্তৃক অপহৃত হন
. তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজি চলছেই, সমকাল রিপোর্ট, ডিসেম্বর ২০০৯ সংখ্যা, পৃ-
. দেখুন দৈনিক সমকাল, ডিসেম্বর ২০০৯, পৃ-
. নিরাপত্তা বিশ্লেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামানের মতামত, দৈনিক নয়াদিগন্ত, অগাস্ট ২০০৯, পৃ-
. দেখুন দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৭ অগাস্ট ২০০৯, পৃ-১৬
. মাসুদ মজুমদার, মাসুমুর রহমান খলিলী, আলম আজাদ, সম্পাদকীয়, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!! পূর্বোক্ত, পৃ.
. হুমায়ুন আজাদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম: সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, পূর্বোক্ত, পৃ.২৪
. . আমেনা মহসীন, The politics of Natinalism: The case of chittagong Hill Tracts, ইউপিএল, ঢাকা ১৯৯৭, পৃ. ৬৬
. এস. কালাম উদ্দীন, A Tangled Web of Insurgency, ফারইস্ট ইকনমিক রিভিউ, হংকং, ২৩ মে ১৯৮০: সুবীর ভৌমিক, Insurgent Crossfire: North-East India, ল্যানসার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ১৯৯৬, নয়াদিল্লী; উদ্বৃত . মাহফুজ পারভেজ, পূর্বোক্ত, পৃ. ৪৫-৪৬
. তালুকদার মনিরুজ্জামান, বিদেশী সাহায্যপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদ সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!! পূর্বোক্ত, পৃ. ২৩
. উদ্বৃত . হাসানুজ্জামান চৌধুরী . মোহাম্মদ আবদুর রব, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪
. উদ্বুত . হাসানুজ্জামান চৌধুরী . মোহাম্মদ আবদুর রব, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪
. . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তিবাহিনী ভারতীয় অবৈধ সংযোগ, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪-৫৫
. মাসুদ মজুমদার অন্যান্য, পূর্বোক্ত, পৃ.
. . সাঈদ-উর-রহমান, প্রসঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম : খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা দরকার, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৮১
. আবুল আসাদ, উড়ে আসাদের জুড়ে বসতে দেয়া যায় না, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৫১
. আমির খসরু, প্রসঙ্গ: পার্বত্য চট্টগ্রাম, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!! পূর্বোক্ত, পৃ. ১৫২
. এম. আবদুল হাফিজ, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, অন্য দিগন্ত, মার্চ ২০১০, পৃ. ৩০
. মোহাম্মদ মাতিন উদ্দিন, এইচ. এম. এরশাদের মন্তব্য নিয়ে কিছু কথা, দৈনিক আমার দেশ, মার্চ ২০১০, পৃ.
. উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সমসাময়িক ঘটনা বিষয়ে গত মার্চ ২০১০ঢাকা পোষ্টএর গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতা, দৈনিক সংগ্রাম, মার্চ ২০১০, পৃ.
. উদ্বৃত গৌতম মন্ডল, অশান্তির বেড়াজালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, নিউজ নেটওয়ার্ক, জুলাই ২০০৫, পৃ. ৬২-৬৩
. RHS Hutchinson, An Account of Chittagong Hill Tracts গ্রন্থটি ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয়। চাকমা জাতির পরিচয় সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিবিধ বিষয়ের উপর গ্রন্থে আলোকপাত করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম ইংরেজ ডেপুটি কমিশনার Capt. T. H. Leara বিরচিত ‘The Hill Tracts of chittagong and the Dewllers Therein গ্রন্থটি১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। J.Jaffa, Chakmas: Victims of Colonialism and Ethro-centric Nationalism, The Main Stress, 28 Oct. 1989; অমরেন্দ্র লাল খিসা, সিফটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ১৯৯৬; এন. আহমেদ, The Evolution of Bounderies of East Pakistan, Oriental Geographer, Vol.ii, No.4, Dhaka, 1958.
. দেখুন দৈনিক সংগ্রাম, ১৪ মে ২০১০, পৃ.
. জয়নাল আবেদীন,পার্বত্য চট্টগ্রাম, স্বরূপ সন্ধান, ২৬ মার্চ ১৯৯৭, ঢাকা, পৃ-
. . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ. ২৭
. . হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ. ২৭। 
. এবনে গেলাম সামাদ, পাহাড়িরা স্বতন্ত্র জাতি নয়, অন্য দিগন্ত, মার্চ ২০১০, পৃ.৩৩
. . মাহফুজ পারভেজ, বিদ্রোহী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, সন্দেশ, শাহবাগ, ঢাকা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯, পৃ.২০। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম (The Management of Ethic conflicts in South Asia: The case of Chittagong Hill Tracts) বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন . আমেনা মহসীন
. বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি দুর্গম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদের নাম সাজেক। প্রায় ২০ হাজার জনবসতি নিয়ে ৬শবর্গমাইল এলাকা নিয়ে ভারতের মিজোরাম সংলগ্ন এলাকাটি ৩৬নং সাজেক ইউনিয়ন নামে পরিচিত। এটি একটি সাধারণ জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন গহীন পার্বত্য অঞ্চল
. সংসদীয় কমিটির পার্বত্য রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড়, দৈনিক নয়াদিগন্ত ১১ মার্চ ২০১০ পৃ.
. দেখুন দৈনিক ইনকিলাব এল থাঙ্গা পাঙ্খোর সাক্ষাৎকার, মার্চ, ২০১০। মি. পাঙ্খো সাক্ষাৎকারে আরো অনেক তথ্য দিয়েছেন। নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন; ৪১টি বাঙালী পরিবারের জায়গা দখল করে নিয়েছে চাকমারা, বাঙালিরা কোন ত্রাণ পাচ্ছে না
. খাগড়াছড়িতে বাঙালীদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জন নাগরিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে খাগড়াছড়ি জেল হাজতে রয়েছে। দেখুন দৈনিক সংগ্রাম, ২৫ মে ২০১০, পৃ.-৪। 
. গত মার্চ ২০১০ বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব সংহতির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ মন্তব্য করেন। দেখুন মোহাম্মদ মতিন উদ্দিন, এইচ এম এরশাদের মন্তব্য নিয়ে কিছু কথা, আমার দেশ মার্চ ২০১০, পৃ.

পরের পর্ব: পর্ব-৭ পর্ব-৮ পর্ব-৯


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]