পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত বাঙালিদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে একজন উপজাতি সাংবাদিকের লেখা পড়ুন "বান্দরবান রাজভিলা ইউনিয়নের পূর্নবাসিত বাঙ্গালীদের দেখার কেউ নেই" সবাইতো সুখী হতে চাই। সুখের জীবন কেনা ভালবাসে। তাই সুখের সন্ধানে মায়ের ভুমি ত্যাগকরে এসেছিল বান্দরবান উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নেরইসলামপুর এলাকায়। কিন্তু ত্রিশ বছরের সুখের বদলে বেড়েছে সংকটের জীবন। দেখেও দেখেনা প্রতিশ্রুতিবাদী রাজনৈতিক নেতারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব পূর্নবাসিত বাঙ্গালীদের জীবন কেমন চলছে। আশি দশকের পরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সরকার আমলে এসব বাঙ্গালীরা সমতলের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন শুরু করেন। সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা প্রতিশ্রুতি ঘোষনায় তাদেরকানে যেন কোকিলে কন্ঠে চেয়ে মধুর ছিল। তাই সরকারীভাবে রিফিউজি কার্ডধারী ছাড়াও অনেকেই পরিবার নিয়ে আসেন পাহাড়ে।প্রচুর পরিত্যাপ্ত ভুমিতেএকটু স্বচ্ছভাবে বসবাসের আশায়। এখানে বসতি স্থাপন পর থেকে আর সুখ পাখির সন্ধান মিলনা। সুখের অপেক্ষায় ত্রিশ বছর অতিবাহিত হল। এখন আর এসব সুখের কথা তারা বিশ্বাস করছে না। সবকিছুই ভাগ্য লিখন উপর ছেড়ে জীবন চলছে। ছেলে মেয়ে আতœীয়-স্বজন পরিবার পরিজন সমাজ ব্যবস্থা সবকিছুই গড়ে তুলেছে পাহাড়ের বৈচিত্রময়পরিবেশের সাথে। প্রজন্মেরসন্তানগুলো এখন আর রিফিউজি নয়। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্তান বলে তাদের দাবী। তাই সব ছেলে মেয়েরা সমতল ভুমিতে বসবাস করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করছে না। কিন্তু ত্রিশ বছরের সমতল চেয়ে এখানে তাদের কি উন্নতি হলো ? এসব প্রশ্নে কোন উত্তর দিতে পারছে না তারা।
সরেজমিনে ইসলামপুর বাজার এলাকা বালুমুড়া মুসলিম পাড়ার মুদি দোকানদার মোঃ জাবেদ আলী(৪২) বলেন, পশ্চিশ বছর আগে ব্যবসা করতে এসে একজন রিফিউজির সাথে সর্ম্পক হয়। তার কাছ থেকে তিনি চল্লিশ শতক জায়গা কিনে রাঙ্গুনিয়া চারাবটতলী গ্রাম ছেড়ে এখানে বসতি স্থাপন করেন। তিনি জানান, বান্দরবান রাজভিলা ৩নং ওয়ার্ডে আওতায় বালুমুড়া মুসলিম পাড়ায় ত্রিশ বছরেরও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হয়নি। তাদের খাবার, গোসলসহসব কাজের ব্যবহার একমাত্রবাধেঁর পানি। নেই কোন স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ঘর। পাড়ার প্রায় চৌব্বিশটি পরিবারের কারো ঘরের ছেলে মেয়ে মেট্রিক পাশ করেনি। অথচ পা বাড়ালে বিদ্যুৎ, সলিল রাস্তা, হাট-বাজার সবকিছু আধুনিক ব্যবস্থা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিশ বছরের সরকারের কোন সুযোগ-সুবিধাপায়নি। পাড়ার অনেকেই ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড পেতেদেখেছে। কিন্তু তার ভাগ্যআর হয়ে উঠেনি।
মোঃ নুরুল হোসেন (৪৮) তিনিরাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পৈত্রিক ভিটা খুলনার সুন্দরবন। তিনিও ত্রিশ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। আত্নীয়-স্বজনের কথা শুনে এখানে তার আসা। কোন রিফিউজি কার্ড পায়নি। তিনি জানান, দুই বছর পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য গম বরাদ্দ ছিল। তারপর থেকে পাহাড়ের গাছ, বাশঁ কাটা আর দিন মজুরী জীবন। এখন এসব কিছুই নেই। গাছ, বাশঁ উজারহয়ে গেছে নিচ্ছে না কেউ শ্রমিক হিসেবে। আর যারা রিফিউজি কার্ড পেয়ে পাচঁ একর পাহাড় বন্দোবস্তী ছিল। তারাও অনেকেই অভাবে বসতি ভিটা রেখে বিক্রি করে দিচ্ছে। পারেনি ত্রিশবছরের নিদিষ্ট কোন পেশায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে।তার দুঃখ, কেউ তাদের কথা ভাবে না। আমরা অভাবী মানুষ আমাদের কথা কে বলবে? এ সব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সদস্য মোঃ জয়নাবের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকারীভাবে বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা হয়নি। বেসরকারী সংস্থা গ্রীন হিল রিংস্লাব ও নলকুপ ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু এলাকার মানুসগুলো অসচেতনতা নষ্ট হয়ে গেছে। রাজভিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা বলেন, বিশুদ্ধ পানি সংকটের বিষয় অনুধাপন করে এ পর্যন্ত ১৫টি বরাদ্দের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের জন্য রিংওয়েল একটি এবং ডিএইচ পি ৩টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দে অপ্রতুলতায় বিশুদ্ধ পানি সংকট সহসা সমাধান করার সম্ভব নয়। * সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
লেখক: চাউচিং মারমা, রাজস্থলী, রাঙ্গামাটি।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]