সমস্যা আছে থাকবে, সমাধানও করতে হবে, সমস্যা আছে বলেই সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বপ্রথম চিহ্নিত করতে হবে সমস্যাটা কি, এরপর দেখতে হবে সমস্যা কারো সৃষ্ট কিনা ইহাও দেখতে হবে স্বার্থ সিদ্ধির জন্য চাপাইয়া দেয়া হয়েছে কি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ী বাঙ্গালী, ইহাই হচ্ছে সমস্যার মূল। তাই সমস্যার সমাধান করতে হলে উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে সমাধান করতে হবে।
এই জন্য যারা সমাধানকারী তাদেরকে আন্তরিক হতে হবে এবং যাদেরকে নিয়ে সমস্যা তাদেরকে সমাধানের মানসিকতা নিয়ে আগাইয়ে আসতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা কারো দ্বারা সৃষ্ট না বাস্তব ইহা জানার জন্য এই অঞ্চলের সাময়িক ইতিহাস পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। পাহাড়ী বাঙ্গালীদের সম্পর্ক এতই আন্তরিকতা সম্পূর্ণ ছিল যে যখন কোন বাঙ্গালী পাহাড়ীদের পাড়ায় অবস্থান করতেন তাকে খাওয়া ও থাকার ব্যাপারে এমন সমাদর করতেন যা অকল্পনীয়। বর্তমানেও এই সম্পর্কের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে আমি মনে করি না, কারণ বর্তমানে যে সমস্যা তা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট, যদি আমরা সচেতন ও আন্তরিক হই সমস্যা সহজে সমাধান করা সম্ভব। আমি শুরুতে সাময়িক ইতিহাসের যে কথা বলেছি তা সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমানে রাঙ্গামাটির রাজা দেবাশিষ রায়ের পিতা রাজা ত্রিবিদ রায়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানে চলে গেছেন আর ফিরে আসেন নাই। ইহাতে ইহাই প্রমাণিত হয় তখনও পাহাড়ীরা তৎকালীন সরকারের পক্ষেই ছিলেন, আজকের যে মানসিকতা ইহা তাহাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় নাই। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচন হয়, এই নির্বাচনে পার্বত্য জেলার দুইটি আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সন্তু লারমার বড় ভাই মানবিন্দ লাবায়ন লারমা ও চাথোয়াই রোয়াজা সাংসদ নির্বাচিত হয়।
তৎকালীন সংসদে তারা স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই ব্যাপারে অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং তীক্ষ্ণবুদ্ধির অধিকারী তাই তিনি বলেছিলেন আমরা সবাই বাঙ্গালী। দুই সাংসদ এই বাক্য মেনে নিতে না পেরে চলে গেলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। তারা ঐখানে গড়ে তোলেন শরণার্থী শিবির, দেয়া হয় তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ, সরবরাহ করা হয় অস্ত্র। এই অবস্থায় রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এই প্রশ্ন দেখা দিল যে, হঠাৎ করে তাদের মধ্যে এই মানসিকতা সৃষ্টি হওয়ার কারণ কি? তাছাড়া সরকার এমন কোন আচরণও করেন নাই যে, এই ধরনের মানসিকতা সৃষ্টি হতে পারে।
দ্বিতীয় যে প্রশ্নটা সৃষ্টি হয়েছে যে রাষ্ট্রটির স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তার জন্য দাবি করে থাকেন তাদের কেন এই ধরনের আচরণ। ইহাতে বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় এই অবস্থা কোথা থেকে সৃষ্টি হতে পরে তারা দুর্নামের কালীমা মুছে ফেলেছে তবে বপন করা হয়েছে অশান্তির বীজ। এরপর সরকার পরিবর্তন হলো জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় আসলো। তারপর জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলো, ইতোমধ্যেই ত্রিপুরায় অবস্থানকালে তাদের আশ্রয়দাতা রাষ্ট্রের মাধ্যমে বিশেষ করে পশ্চিমাদেশ সমূহে তাদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। এই দেশসমূহ বাংলাদেশ সরকারের নিকট বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
অবশেষে জাতীয় পার্টির সরকার ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করে, এতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি নাম দিয়ে একটি চুক্তি করেছেন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অবস্থা সবার জানা, তবে বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে চাপ সৃষ্টি করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য। এই চাপের কারণে দেশের মধ্যে এই বলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে এশিয়ার এই অঞ্চলে প্রায় বিশটি রাষ্ট্র রয়েছে এর মধ্যে দুইটি সনাতন ধর্ম, চারটি মুসলিম এবং বাকি প্রায় চৌদ্দটি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।
এ রাষ্ট্রসমূহের একটি সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিধর ইহা হচ্ছে চীন আর একটি অর্থনৈতিক শক্তিধর ইহা হচ্ছে জাপান। এই দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের কথা এই জন্যই উল্লেখ করছি যে, এই দুইটি হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের রাষ্ট্র, যাদের সাথে সমস্যা তাদের অনেকটা প্রতিবেশী তাছাড়া একই ধর্মের অনুসারী এরপরও এই রাষ্ট্রসমূহ এই ব্যাপারে অনেকটা নীরব, পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ এত তৎপর কেন? আমাদের দেশে একটি প্রবাদ বাক্য আছে যদি বলা হয় মা থেকে মাসীর দরদ বেশি তাহলে বলতে হবে মাসী নয় রাক্ষুসী। বিশেষভাবে উল্লেখ্য পৃথিবীর মধ্যে এই ধরনের যে সমস্ত রাষ্ট্র রয়েছে যাদের নিয়ে সমস্যা তাদের উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে সমাধান করা হয়েছে। (আন্তর্জাতিকভাবে হউক বা অভ্যন্তরীণভাবে হউক।)
বলাবাহুল্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যার যে সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আমার মনে হয় সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সমস্যার বীজ বপন করা হচ্ছে। কারণ পাহাড়ীরা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য মিছিল করেন, আর বাঙ্গালীরা চুক্তি বাতিলের জন্য মিছিল করেন, তাহা সমস্যা সমাধানের পথ হতে পারে না। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হয় যারা এ ব্যাপারে নেপথ্যে কাজ করছেন তারাও পার্বত্য সমস্যার সমাধান হউক এটা চায় না যতদিন তাদের শর্ত এবং টার্গেট পূরণ না হবে ততদিন তারা এই সমস্যা জিইয়ে রাখবেন।
সমাধান : শান্তিচুক্তির শর্তসমূহ পর্যালোচনা করলে এইটাই পাওয়া যায় যে, পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালী বৃদ্ধি রোধ ও হ্রাস করা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনাদের শান্তি চুক্তি কি সপ্তম আশ্চর্য্য চীনের প্রাচীর? ঢাকায় এককোটি লোক বাস করেন আমার মনে হয় ভূ-সম্পত্তির মালিক বিশ লাখেরও বেশি হবে না, তারা আছেন কাজ করছেন। সেখানে কেউ আসতে বাধা সৃষ্টি করতে পারছেনা। শান্তি চুক্তির দ্বারা বাঙ্গালী বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব নয়। তাই আমি মনে করি পার্বত্য সমস্যা কোন সমস্যা নয়, যদি পাহাড়ী-বাঙ্গালী আন্তরিক হয়।
এই সমস্যার সমাধানের উপায় হচ্ছে পাহাড়ী বাঙ্গালী উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করা, তাই উভয় যদি পরস্পরের সহিত সহমর্মিতার মানসিকতা নিয়ে আগাইয়া আসেন এবং পার্বত্যবাসীর স্বার্থ রক্ষায় একমত হন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে এক হয়ে কাজ করেন তাহলে সমাধানের পথ সুগম হবে। মনে রাখতে হবে একই স্থানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বিভক্ত করে সমস্যার সমাধান হতে পারে না। যারা বিভক্তির ফর্মুলা দিয়ে কাজ করছেন তারা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা হউক ইহা চায় বলে মনে হয়না। তারা তাদের শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অশান্তির বীজ বপন করেই রাখবেন। পাহাড়ী ও বাঙ্গালী একে অপরের আন্তরিক হয়ে অগ্রসর হলে আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তি এবং সমৃদ্ধময় পার্বত্য অঞ্চল রেখে যেতে পারবেন।
করণীয় : পার্বত্য চট্রগ্রামের বাস্তবতার আলোকে এই অঞ্চলের বাঙ্গালী নেতারা কি ভাবছেন এবং তাদের করণীয় কি?
বিগত কয়েক বছর পূর্বে বান্দরবানে ম্রোসেট সম্মেলনে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি প্রফেসর এমাজ উদ্দিন সাহেব। সদ্য প্রয়াত রাজা অং শৈ প্রু চৌং সাহেবও ঐ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য জেলাসমূহে শিক্ষা কোঠার ব্যাপারে আমি ভিসি সাহেব থেকে জানতে চেয়েছি, উত্তরে তিনি বলেছিলেন শিক্ষা কোঠা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেন না, যেখানে কোঠা নির্ধারণ করা হয়, সেখানে আপনারা পৌঁছাতে পারেন নাই। প্রশ্ন হচ্ছে কেন আমরা আমাদের দাবি পৌঁছুতে পারি নাই, কোথায় আমাদের দুর্বলতা, কোথায় প্রতিবন্ধকতা, আমি মনে করি পৌঁছাতে না পারাটা অযোগ্যতা অথবা দায়িত্বহীনতা। পার্বত্য চট্টগ্রামের যারা নীতি-নির্ধারক তাদের কে মনে রাখতে হবে, এখানে লোকসংখ্যা যদিও চৌদ্দ লাখ এলাকাটা দেশের এক দশমাংশ। চৌদ্দ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে পাহাড়ী বাঙ্গালী প্রায় সমান, নীতি-নির্ধারকদের ইহাও মনে রাখতে হবে একই অঞ্চলের বসবাসরত জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে অর্থে, শিক্ষায়, ক্ষমতায় বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে আগাইয়া নেয়া, আর একটি অংশকে বঞ্চিত করা হলে ইহা কোন অবস্থাতে শুভ লক্ষণ নয়।
পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ কয়েকটি দেশে শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে পাহাড়ি ছাত্ররা লেখা-পড়া করতে যাচ্ছে, ইহা আমাদের জন্য একটি শুভ দিক, অত্র পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালীদের ছেলেরা লেখাপড়ায় যে পিছনে রয়েছে, বিশ্বে আরো অনেক দেশ রয়েছে যেখানে শিক্ষা বৃত্তির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে এই ব্যাপারে বাঙ্গালী নেতারা কোন ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বলে মনে হয় না।
পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা বিশেষ করে পাহাড়ীদের মধ্যে আত্মসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে যদিও তাদের ব্যাপারে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ রয়েছে ইহা তাদের ব্যাপার। বাঙ্গালী নেতারা যদি উদ্যোগ গ্রহণ করেন পার্বত্য অঞ্চলের অসহায় লোকদের আত্মসামাজিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক হতে পারে, প্রয়োজনে শুধু বাঙ্গালীদের মধ্যে কাজ করা হবে, ধর্মান্তরিতের অভিযোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য। পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালী নেতারা উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরকারের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে অসহায় বাঙ্গালীর জন্য শিক্ষবৃত্তি ও আত্মসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে, আমার মনে হয় বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙ্গালী নেতারা এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবেন।
বর্তমানে পার্বত্য জেলা সমূহের রাজনৈতিক অবস্থা মনে হয় ধীরে ধীরে পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে যেই অবস্থা ১৯৭৩ এর নির্বাচনে হয়েছিল।
ঐ নির্বাচনে তৎকালীন সরকারের দুই ভিআইপি প্রার্থীকে পরাজিত করে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। তাই পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালী নেতারা আগত দিনে তাদের করণীয় ব্যাপারে দেশের স্বার্থে এলাকার স্বার্থে চিন্তা ভাবনার সময় এসেছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালীরা তাদের স্বার্থ দাবি দাওয়া এবং হারানো অধিকার নিয়ে কথা বলার মতামত পদক্ষেপও নেয়া হয় নাই। বর্তমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে বাঙ্গালী নেতাদের করণীয় কি হতে পারে তাদের করণীয় কিছু আছে কিনা এই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা সময়ের দাবি।
বাঙ্গালী নেতাদের বক্তব্যও আজ হতে হবে, আমরা সংঘাত চহিনা শান্তি চাই। আমরা প্রতিপক্ষ অবস্থার মূলোৎপাটন চাই। আমরা বিদেশী প্ররোচনার অবসান চাই, এই দাবি নিয়ে কথা বলার জন্য করণীয় পন্থা সৃষ্টির মানসে বাঙ্গালী নেতারা সচেতন হবেন ইহাই পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ বাঙ্গালীদের কাম্য।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক
বাঙ্গালী গণহত্যা
সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]