আগের পর্ব: পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩ পর্ব-৪ পর্ব-৫ পর্ব-৬ পর্ব-৭ পর্ব-৮
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের উপায় : দুর্গম পাহাড়ে সৌন্দর্যের অপার লীলার ভেতরে বেড়ে উঠা বর্তমান পাহাড়ি ও বাঙালি প্রজন্ম পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান চান। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারন মানুষ চান শান্তি, তারা সংঘাত-সহিংসতা চান না। চাঁদা না দিয়ে তারা নির্বিচারে জীবন কাটাতে চান। সেই সাথে চান সামনে এগিয়ে যেতে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরী হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ চায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান।
1. পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক সমস্যা
এবং এর সামাধানও করতে হবে রাজনৈতিক ভাবে। শান্তিচুক্তিকে রাজনৈতিক সমাধানের পদক্ষেপ হিসেবে ধরে নিলেও তা যে কোনো সমাধান দিতে পারেনি, এটাই দেখা যাচ্ছে, এর একটা বড় কারণ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়েছে নির্বাহী ক্ষমতাবলে, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকলেও তা সংসদে আলোচিত ও অনুমোদিত হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে যে সমঝোতা ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে উপজাতিগুলোর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেছিলেন বান্দরবন জিলার বোমাং রাজা সহ ১৭ জন বিশিষ্ট নেতা, রাঙ্গামাটি জিলার ২১ জন বিশিষ্ট নেতা আর খাগড়াছড়ি জিলার ২৭ জন বিশিষ্ট নেতা। তখন জনসংহতি সমিতি বা শান্তিবাহিনীর পক্ষ থেকে কেউ এই সমঝোতা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেনি। বস্ত্তত এ সময় থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের শুরু। সমঝোতা ঘোষণাপত্র উপেক্ষা করে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সরকার কেবল সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। তাঁর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়িদের বাঙালি করার চেষ্টা করে যে ভুল করেছিলেন, শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিসহ অন্যান্য উপজাতিকে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব না দিয়ে কেবল শান্তিবাহিনী প্রভাবিত চাকমাদের সাথে শান্তিচুক্তি করে আরেকটি ভূল করলেন। কারণ এ শান্তি চুক্তি বাঙালিদের কল্যাণে না এসে তাদের যেমন বঞ্চিত করেছে তেমনি বঞ্চিত করেছে অন্যান্য উপজাতিদের। সুতরাং শান্তিচুক্তি সংশোধন করে তাতে বাঙালিসহ সব উপজাতিকে আনুপাতিক হারে ক্ষমতার অংশীদার করতে হবে, যাতে তাদের অধিকার নিশ্চিত হয় এবং নিজ নিজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। রাজনৈতিক সমাধান বা শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সাধারণ পাহাড়ী-বাঙ্গালী কারো দ্বিমত নেই।
2. সংবিধান সংশোধন না করায় শান্তি চুক্তি সংবিধানিকভাবে অবৈধ থেকে গেছে। এ চুক্তির মাধ্যমে সংবিধানে বর্ণিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়েছে। শান্তি চুক্তি সাংবিধানিক বৈধতার জন্য এখনো সংসদে উত্থাপিত ও অনুমোদিত হতে পারে। নয়তো আদালতে এর সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্নে রায় হলে গোটা চুক্তিই বাতিল হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য শান্তি চুক্তির বৈধতা প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ গড়িয়েছে আদালতে। আদালতের রায়ে পুরোটা চুক্তি বাতিল না হলেও এর আওতায় গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সম্পূর্ণ এবং পার্বত্য জিলা পরিষদের কয়েকটি ধারা অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে সামনে রেখে সংবিধানের আওতায় সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। নীতিগত প্রশ্নে ছাড় দেয়ার কোন অবকাশই নেই।
3. পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার সম্ভব নয়, যুক্তি সংগতও নয়। সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হলে যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে তাতে পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে।
4. পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে উগ্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও উগ্র উপজাতীয়দের সন্ত্রাস পার্বত্য চট্টগ্রামকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ বাঙালি ও উপজাতিরা বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির জন্য দায়ী নয়।
5. প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন করতে হবে।
6. পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন সেখানে সেনাবাহিনী বহাল রাখা ছাড়া উপায় নেই। সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ থাকত না। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিয়োজিত। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী এই রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে যে ভাবে নিয়োজিত রয়েছে, একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামেও নিয়োজিত রয়েছে এবং থাকবে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বও তাদের। সেখানে সেনাবাহিনী না রাখার বাস্তব অর্থ দাঁড়াবে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া।
7. পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশীদের গোপন তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং উন্নয়ন সংস্থার নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশীদের গোপন তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
8. নতুন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি বসতি গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
9. দ্রুত ভূমি জরিপের ব্যবস্থা করে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী সবার জন্য ভূমি বন্টন করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
10. পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালীদের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। একজন উপজাতীয় নেতা এল থাঙ্গা পাঙ্খো বলেছেন বাঙালি ও পাহাড়িরা মিলেমিশেই যুগ যুগ ধরে সেখানে বসবাস করে আসছেন। সমস্যা সেখানে এতদিন হয়নি। এখন হচ্ছে কেন? পাঙ্খোর কথার মধ্যেই সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে। আর তা হচ্ছে ‘স্ট্যাটাস কো’ অর্থ্যাৎ যে যেখানে আছে সে সেখানে থাকবে। কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এটি উপলদ্ধি করতে হবে ইতিহাস পাহাড়ী ও বাঙালীদের ভৌগলিক সান্নিধ্যে এনেছে, রাজনৈতিক বিভেদের দেয়াল তুলে অমানবিক বিয়োগান্ত নাটকের অবতারণা কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
11. পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে মুকাবিলা ও সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এখানে বসবাস করছে হতভাগ্য ভূমিহীন এক জনগোষ্ঠী, যারা এক টুকরো জমি ও একটু জীবিকার আশায় প্রতিকূল পরিবেশে আস্তানা গড়তে গিয়েছে। এদের নিয়ে ‘রাজনীতি’র খেলা করা উচিত হবে না। সংবিধানের ৩৬, ৩৭ ও ৪২ নং ধারা অনুযায়ী একজন বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস, সম্পত্তি অর্জন ও চলাফেরা করার অধিকার রাখেন। তথকথিত গণশুনানির আয়োজন করে বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। গত ৩৮ বৎসরে পাহাড়িরা জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালীদের সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ তাদের ইচ্ছা ছিল পাহাড়কে বাঙালীমুক্ত করা।
12. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-সীমানার ভেতরে বসবাসরত বাঙালী জনগোষ্ঠীকে তাদের বর্তমান দারিদ্র্য ও অনগ্রসরতার হাত থেকে মুক্তির জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালীদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।
13. গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত প্রায় ৩০,০০০ বাঙালী পরিবারকে তাদের পুরনো গ্রামে বসতভিটায় ফিরিয়ে নিতে হবে অথবা নতুনভাবে চিহ্নিত খাস জমিতে তাদেরকে বসতি করতে দিতে হবে।
14. পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বন্দ্বটা হলো উপজাতীয় বনাম অ-উপজাতীয়, সংঘর্ষের সময় রাজনৈতিক দল বিচার হয় না। সেজন্য দলমত নির্বিশেষে পার্বত্য রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বা থীম হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, বিদেশের মাটিতে আশ্রয় নেয়া-শরণার্থী হওয়া বন্ধ করা এবং আর্থ-সামাজিকভাবে এমন পরিবেশ বজায় রাখা যাতে করে শান্তি প্রক্রিয়া মাঝে মধ্যে স্তব্ধ হয়ে গেলেও পুনরায় চালু করা যায়।
15. পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতি গুলোর সামগ্রিক বিকাশ এবং মূল জাতীয় স্রোতধারার সঙ্গে তাদের কার্যকর ও অর্থবহ সংযোগ সাধন করতে হবে।
16. পার্বত্য চট্টগ্রামে সত্তর ভূমি জরিপের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ভূমি জরিপের সাথে এই অঞ্চলে অভিবাসিত বাঙালীদের বর্তমান ও ভবিষ্যত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জরীপে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাসজমি বেরিয়ে আসবে যাতে করে বর্তমানে অবস্থানরত বাঙালিদেরকে খাস জমি দেয়া যাবে। বিবিধ কারণে বাঙালিদের পার্বত্য এলাকার সীমারেখার ভেতরেই খাস জমি দিয়ে বা পুনর্বন্টন করে এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত বা উপকরণগত সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে উপজাতীয়দের সাথে পাশাপাশি অবস্থানে রাখতে হবে।
17. সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে গড়ে তুলতে হবে এবং রাজনৈতিক ও মনস্তাত্বিকভাবে পার্বত্যবাসী উপজাতীয়দের বাংলাদেশের জাতীয় সত্তায় বা রাষ্ট্রীয় সত্তায় সমন্বিত (Integrated) করতে হবে। এটি একান্তভাবে সম্ভব না হলেও তা সম্ভব করার জন্য গঠনমূলক প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে।
18. পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ঘরে-বাইরে একশ্রেণীর শক্তি যেভাবে ষড়যন্ত্র করছে, যেভাবে মাথা তুলেছে, তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। একমাত্র কূটনীতিক ও বিদেশের বৈধ কোন প্রতিনিধি ছাড়া খৃস্টান মিশনারী, সাম্রাজ্যবাদের আশির্বাদপুষ্ট এনজিও, বিদেশী সাহায্য সংস্থার সকল বিজাতীয় বিদেশীর পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
19. সীমান্ত পাহারা জোরদার করতে হবে। সুদূর মায়ানমার থেকে রামগড় পর্যন্ত পাহাড়ি সীমান্ত শুধু বিডিআর দ্বারা তদারকি করা সম্ভব নয়, সমীচীনও নয়। চোরাচালান ও দুষ্কৃতিকারীদের অনুপ্রবেশ রোধে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ও সক্রিয় সহযোগিতা অপরিহার্য।
উপসংহার
পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানকার ইস্যু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে বাংলাদেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। এ অঞ্চলে কোন গ্রুপ বা গোষ্ঠীকে একক মনোপলি দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো বহিঃশক্তির কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা-সংগঠনের হস্তক্ষেপের অবকাশ নেই। যদি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে কারো ন্যায়সঙ্গত সহযোগিতা সরকার কামনা করে, কেবল তখনই নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকে এবং যথানিয়মে বাইরের কেউ সহায়তা করতে পারে। কিন্তু তা কিছুতেই বাংলাদেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে না। সন্দেহ নেই, গত তিন দশকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। সেখানে অনেক রক্ত ঝরেছে। মরেছে অনেক নিরীহ প্রাণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন প্রয়োজন সহাবস্থান, শান্তি ও উন্নয়ন। এই অঞ্চলে আর যেন কোন রক্ত না ঝরে। নিঃশেষ হয় না যেন নিরীহ প্রাণ। সন্তু লারমা অতীতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেও, এদেশের মানুষ তাকে একজন পাহাড়ি নেতা হিসেবে সম্মান করে। এ সম্মান তাকে রাখতে হবে। তিনি যদি বর্ণবাদী আচরণ করেন, তাহলে তিনি শুধু বিতর্কিতই হবেন। বিদেশী সহযোগিতার একটি তথাকথিত ‘চাকমা রাষ্ট্র (?) প্রতিষ্ঠিত করার যে স্বপ্ন তিনি দেখছেন তা বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই হতে দেবে না। এ দেশের মানুষ পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে একদিন যুদ্ধ করেছিল। সেই যুদ্ধে চাকমারা এদেশবাসীর সাথে শরীক হয়নি সত্য; কিন্তু যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে দেশটির জন্ম হলো, তার একদশমাংশ এলাকা আজ বিচ্ছিন্ন (?) হবে যাবে সেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হবে, এটা এদেশবাসী কিছুতেই হতে দেবে না। ১৯৯৭ সালের চুক্তির পরও পরিস্থিতির প্রত্যাশিত উন্নতি ঘটেনি এবং এই ইস্যুর সুষ্ঠু, স্থায়ী ও যথাযথ সুরাহার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ববোধ, আন্তরিক সততা ও সংযম অত্যাবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ইইউসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীরূপে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু অন্যায় ও অযাচিত নাক গলানোর মাধ্যমে কূটনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করার অধিকার নেই কারো। কিভাবে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মাঝে বৈষম্য-বিভ্রান্তি দূর হয়ে পার্বত্যাঞ্চলে প্রকৃত শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেটাই হতে হবে সবার অভীষ্ট। আর বাংলাদেশের উন্নয়ন আর নিরাপত্তার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি অত্যন্ত জরুরী।
লেখক-পরিচিতি : জনাব মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম- বিশিষ্ট ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ এবং প্রাবন্ধিক।
লেখা-পরিচিতি : প্রবন্ধটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে বাংলাদেশ ইসলামিক সেনটার কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত হয়।
ফুটনোটঃ
. ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূগোল ও ভূ-রাজনীতি, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক স্মারক, অতন্দ্র জনতা বাংলাদেশ, ধানমন্ডি, ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ১৯৯৭, পৃ.১১০-১১১।
. ড. এমাজউদদীন আহমদ, জুমল্যান্ডের পরিণতি, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ.১৭।
. ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী ও ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব, পার্বত্য চট্টগ্রাম : ভূ-রাজনীতি ও বিপন্ন সার্বভৌমত্ব, লেখকদ্বয় কতৃৃক প্রকাশিত, ঢাকা, ১লা জানুয়ারী, ১৯৯৭, পৃ.-৫।
. জাফর আহমদ নূর, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্বমোড়লদের হেড লাইটের আলো পড়েছে (প্রবন্ধ), পৃ-১।
. খাগড়াছড়ি জেলার সামুতং-এ ০.১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ইতোমধ্যে আবিস্কৃত হয়েছে। কাপ্তাই ও আলীকদমে কঠিন শিলা পাওয়া গেছে। রামুতে পাওয়া গেছে গ্যাস, সেই সাথে আলিকদমে পেট্রোলিয়াম ও লামায় পাওয়া গেছে কয়লা। মানিকছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে রয়েছে পাথরের বিরাট মওজুদ। দেখুন ড. তারেক শামসুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম কোন পথে? আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৯৩।
. সুগত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি ও সংস্কৃতি, ট্রাইবাল অফিসার্স কলোনী, রাঙ্গামাটি, ১৯৯৩, পৃ.১৫।
. পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য খাগড়াছড়ি, পার্বত্য রাঙ্গামাটি, পার্বত্য বান্দরবান ১৯৮৮ সালে তিনটি জেলার মর্যাদায় বিভক্ত হয়। দ্রষ্টব্য : জাতীয় সংসদের এ্যাক্ট, বাংলাদেশ গেজেট, ২রা মার্চ, ১৯৮৯।
. জয়নাল আবেদিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম: স্বরূপ সন্ধান, বুক মিউজিয়াম পরিবেশিত, ২৬ মার্চ ১৯৯৭, পৃ. ১৭।
. জয়নাল আবেদীন, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৭-১৮।
. লেবানন ৪০৩৪ বর্গমাইল (১৪৪৩২ বর্গ কি.মি.), সাইপ্রাস ৩৫৭১ বর্গমাইল (৯২৫০ বর্গ কি.মি), ব্রুনাই ২২২৫ বর্গমাইল (৫৭৭০ বর্গ কি.মি), কাতার ৪৪০২ বর্গমাইল (১১৪০০ কি.মি) সিঙ্গাপুর ২৪০ বর্গমাইল (৬২২ বর্গ কি.মি), মরিশাস ৭২০ বর্গমাইল (১৮৬৫ বর্গ কি.মি), লুক্সেমবার্গ ৯৯৮ বর্গমাইল (২৫৮৬ বর্গ কি.মি) আয়তন বিশিষ্ট।
. সার্ভে অব বাংলাদেশের তথ্য, উদ্বৃত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতির মূল্যায়ন, মাওলা ব্রাদার্স, ফেব্রুয়ারী ২০০১, পৃ. ১৭।
. দৈনিক জনকন্ঠ, ৩০ জানুয়ারী ২০০০।
. ড. মাহফুজ পারভেজ, বিদ্রেহী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শান্তি চুক্তি, সন্দেশ, শাহবাগ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯, পৃ.৯।
. বাংলাদেশে কতটি নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে রয়েছে মত পার্থক্য। এ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি দলিলপত্র এবং বিভিন্ন গবেষণাপত্রে ভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২, কেউ বলেছেন ১৫, আবার কেউ বলেছেন ৪৬। যেমন, মাহমুদ শাহ কোরেশি সম্পাদিত ‘ট্রাইবাল কালচার ইন বাংলাদেশ’ গ্রন্থে মার্কিন নৃ-বিজ্ঞানী Peter J. Bertocci ১৯৯১ সালের আদমশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২। আবার ১৯৯৪ সালের আদম শুমারী রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ.জি.সামাদ বলেছেন, দেশে ১৫টি নৃ-গোষ্ঠী বাস করছে। মাহমুদ শাহ কোরেশি নিজেই বলেছেন বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৩১। অন্যদিকে নৃতত্ত্ববিধ সি. মেলোনি বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৬। তিনি অবশ্য ভাষাগত দিক থেকে নৃ-গোষ্ঠী গুলোকে ওই ৪৬ ভাগে ভাগ করেন। দেখুন, গৌতম মন্ডল, অশান্তির বেড়াজালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, নিউজ নেটওয়ার্ক, ধানমন্ডি, ঢাকা, জুলাই ২০০৫, পৃ.৩৩।
. রাঙ্গামাটিতে বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা ১১টি (চাকমা, মারমা, তংচংগ্যা, ত্রিপুরা, পাংখো, লুসাই, বোম, খিয়াং, মুরং, চাক, খুমি)। খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী উজাতির সংখ্যা ৪টি (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল)। বান্দরবন জেলায় বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা ১২টি (মারমা, মুরং, ত্রিপুরা, তংচংগ্যা, বোম, চাকমা, খুমী, খিয়াং, চাক, উসাই, লুসাই, পাংখো)। বিস্তারিত দেখুন অশোক কুমার দেওয়ান, চাকমাজাতির ইতিহাস বিচার, দিপীকা দেওয়ান প্রকাশিত, খবংপর্যা, খাগড়াছড়ি, নভেম্বর ১৯৯১; বিরাজ মোহন দেওয়ান, চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত, উদয় শংকর দেওয়ান প্রকাশিত, উত্তর কালিন্দীপুর, রাঙ্গামাটি, জানুয়ারী ২০০৫;
প্রভাংশু ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ইতিহাস, এপ্রিল ২০০৬; আতিকুর রহমান, পার্বত্য তথ্য কোষ ১-৯ খন্ড, পর্বত প্রকাশনী, সিলেট, নভেম্বর ২০০৭; আবদুস সাত্তার, পাকিস্তানের উপজাতি, পাকিস্তান পাবলিকেশন্স ঢাকা, ১৯৬৬।
. S. Mahmood Ali,
‘The Fearful state: Power people and Internal war in South Asia’, London and
new Jersy: ZED Books, 1993, উদ্বৃত ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ.৫।
. ৫ম খন্ড- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এ্যাকট, বিল ইত্যাদি, বাংলাদেশ গেজেট, মার্চ ২, ১৯৮৯; উদ্বৃত ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত পৃ. ৫।
. জাফর আহমদ নূর, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্ব মোড়লদের হেড লাইটের আলো পড়েছে (প্রবন্ধ), পৃ.১।
. ধর্মযাজক ফাদার টীম ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে খৃস্টানীকরণ (Christianization) প্রোগ্রাম
শুরু করেন। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া তিনি এখানে বিগত ৩৭ বছর যাবত অবস্থান করে ছোট বড় সকল উপজাতি সদস্যদের খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে পার্শ্ববর্তী মিজোরাম (৯০% খৃস্টান ও ইহুদী), ত্রিপুরা (৩০% খৃস্টান), মনিপুর (৪০% খৃস্টান), আসাম (৪৫% খৃস্টান), মেঘালয় (৮০% খৃস্টান), অরুনাচল (৭০% খৃস্টান) রাজ্যের খৃস্টান ও ইহুদীদের সাথে ধর্মীয় বন্ধন গড়ার কাজটি লোকচক্ষুর অন্তরালে সাফল্যের সাথে করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধর্মযাজক বিশাল কর্মকান্ড পরিচালনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ডেমোগ্রাফিক ডিনামিকস পরিবর্তনের পাশাপাশি সকল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অত্যাধুনিক বিশাল খৃস্টান ডরমিটরী, গীর্জা, মিশনারী স্কুল, বাইবেল কেন্দ্র, পাঠাগার, সার্ভিস সেন্টার, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ও শক্তিশালী স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
. ড. এমাজউদদীন আহমদ, বাংলাদেশ রাজনীতি : কিছু কথা ও কথকথা, মৌলি প্রকাশনী, বাংলা বাজার, ঢাকা, মে ২০০২, পৃ. ১৬২-১৬৩।
. কামিনী মোহন দেওয়ান ও স্নেহকুমার চাকমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতির একটি প্রতিনিধি দল এবং ভুবন মোহন রায়ের নেতৃত্বে পার্বত্য রাজাদের আরেকটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে পৃথক পৃথকভাবে কংগ্রেস নেতাদের সাথে সাক্ষাত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানান।
. পার্বত্যাঞ্চলের প্রথম গনসংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সমিতির সভাপতি ছিলেন কামিনী মোহন দেওয়ান। পিতার নাম ত্রিলোচন দেওয়ান। দেশ বিভাগের সময় ভারতের সঙ্গে একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে তৎপরতা চালানোর দায়ে তিনি কারাবরন করেন। রাঙ্গামাটি জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান (১৯৮৯) গৌতম দেওয়ান তার নাতি।
. বৃটিশ আমলের অন্যমত উপজাতীয় নেতা। পিতার নাম শ্যামচন্দ্র চাকমা। জনসংহতি সমিতি তথা শান্তি বাহিনীর অন্যতম উপদেষ্টা। ভারতের পক্ষ নেয়ায় হুলিয়া জারী হওয়ায় তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে জনপ্রতিধি নির্বাচিত হন।
. ভারতপন্থী চাকমা নেতা, পিতার নাম কালাহুলা দেওয়ান। ঘনশ্যাম দেওয়ানের আপন ভাগ্নে শান্তিবাহিনীর অন্যতম নেতা সমীরন দেওয়ান (মেজর মলয়)।
. এস.বি. চাকমা, উপজাতীয় নেতৃত্ব: সশস্ত্র আন্দোলনের ইতিকথা, উদ্বৃত ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ.৩৭।
. সৈয়দ আজিজ উল আহসান ও ভূমিত্র চাকমা, ‘প্রব্লেমস অব ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন ইন বাংলাদেশ : দি চিটাগাং হিল ট্রাকটস’, এশিয়ান সার্ভে, ভলিউম ২৯, নং-১০, অকটোবর, ১৯৮৯, পৃ-৯৫৯-৯৭০।
. সত্তর এর নির্বাচনের সময় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার উপদেষ্টা ছিলেন। বাড়ী মোবাছড়িতে। পার্বত্য এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অনন্ত বাবুর ছেলে প্রসীত বিকাশ খীসা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালের নেতা এবং ইউপিডিএফের বর্তমান সভাপতি।
. সালাম আজাদ, শান্তিবাহিনী ও শান্তিচুক্তি, আফসার ব্রাদার্স, ঢাকা, ১৯৯৯, পৃ.২২।
. মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার পিতার নাম বিত্ত কিশোর লারমা, মায়ের নাম সুহাসিনী। তিনি অমৃতলাল দেওয়ানের ভাগ্নে। উল্লেখ্য সন্তু লারমা মামাতো বোন বিয়ে করেন। অন্যকথায় অমৃতলাল দেওয়ানের মেয়েকে বিয়ে করেন।
. হুমায়ুন আজাদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম: সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৯৭, পৃ.১৮।
. সালাম আজাদ, পূর্বোক্ত, পৃ.১২-১৩।
. পার্বত্য চট্টগ্রামের এককালের শক্তিশালী আওয়ামী লীগ নেতা। পিতা দিগম্বর চাকমা। দাদা লালমনি ডাক্তার স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরী করতেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্য নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন এবং সমস্যা সমাধানে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিবাদী ভূমিকায় বিশ্বাসী ছিলেন।
. আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৩১-৩২।
. ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায় মারা যাওয়ার পর ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ তদীয় পুত্র রাজা ত্রিদিব রায় রাজ সিংহাসনে আরোহন করেন। পাকিস্তান শাসনামলে রাজা ত্রিবিদ রায়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান সরকারের সাথে তিনি নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বিজয়ী হন।
. কলিকাতার তৎকালীন হিন্দু ব্যারিষ্টার সরল সেনের কন্যা বিনীতা রায়কে চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায় বিয়ে করেন। এই বিয়ের মাধ্যমে চাকমা রাজ পরিবারে হিন্দু আচার অনুষ্ঠানের বিকাশ ঘটে।
. সিদ্ধার্থ চাকমা, প্রসঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম, নাথ ব্রাদার্স, কলকাতা, ১৯৮৬, পৃ.৯।
. এ দলের সদস্য ছিলেন : মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, জ্ঞানেন্দ্র বিকাশ চাকমা, চারু বিকাশ চাকমা, বি.কে. রোয়াজা, স্নেহকুমার চাকমা প্রমুখ।
. ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারী খাগড়াছড়ির ইটছড়ির গভীর অরণ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা ‘শান্তিবাহিনী’ প্রতিষ্ঠিত হয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার অনুজ জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার ডাকনাম শন্তু বা শান্তি অবলম্বনে এদেরকে ডাকা হতো শান্তিবাহিনী। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারী মাসে রিজার্ভ আর্মড পুলিশের ওপর অতর্কিতে প্রথম-হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে শান্তি বাহিনী; দেশব্যাপী শান্তিবাহিনীর নাম আলোচিত হতে থাকে।
. প্রীতিকুমার চাকমা ছিলেন ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত পাহাড়ী ছাত্র সমিতির সভাপতি। ১৯৮৫ সালের ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রীতি গ্রুপের ২৩৩ জন শান্তিবাহিনীর সদস্য আত্মসমর্পন করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেজর জেনারেল এম. নুরুদ্দীন খানের কাছে অস্ত্র জমা দেন। ২৯ জুন বাংলাদেশ সরকার ও প্রীতি গ্রুপের মধ্যে আত্মসমর্পনের পর প্রীতি কুমার চাকমা বিদ্রোহ ছেড়ে ভারতে পরম সুখে সংসার করছেন। দেখুন হুমায়ুন আজাদ, পূর্বোক্ত। উদ্বৃত ড. মাহফুজ পারভেজ, পূর্বোক্ত পৃ. ৪৭।
. উল্লেখ্য ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পিই- ২৯৯ পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ১৯৭৪ সালের ২৫ জানুয়ারী মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা, অনন্ত বিহারী খিসা, চারু বিকাশ চাকমা প্রমুখ বাকশালে যোগদান করেন। ‘বাকশাল’ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) ছিল রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত দেশের একমাত্র দল; সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান বদলে ফেলে ‘বাকশাল’ এর মাধ্যমে দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
. অমৃত লাল চাকমা ওরফে ক্যাপ্টেন অসাধ্য (বলি ওস্তাদ) ইপি আর এর হাবিলদার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনীর প্রথম অস্ত্র প্রশিক্ষক নলিনী, রনজন চাকমা ওরফে মেজর অফুরন্ত এর অধীনে শান্তি বাহিনীর সহকারী অস্ত্র প্রশিক্ষক ছিলেন।
. Life is not Ours. The Report of the Chittagong Hill Tracts Commission, May
1991, P-20.
. সালাম আজাদ, পূর্বোক্ত, পৃ.১৬-১৭।
. উষাতন তালুকদার পাহাড়ী ছাত্র সমিতির অন্যতম নেতা ছিলেন। শান্তি বাহিনীর তিনি প্রভাবশালী সদস্য এবং মেজর উষাতন তালুকদার সমীরন নামে পরিচিত। তার অপর নাম মলয়।
. রূপায়ণ দেওয়ান ওরফে মেজর রিপ হচ্ছেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার জামাতা, শান্তিবাহিনীর প্রভাবশালী ফিল্ড কামান্ডার। তিনি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রথম সেক্রেটারী ছিলেন।
. পাহাড়ী গন পরিষদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রসীত বিকাশ খীসা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জনসংহতি সমিতি ফ্যাসিস্ট কায়দায় এগুচ্ছে... .. এ চুক্তিতে শান্তি আসবে না’ (সাক্ষাৎকার মানব জমিন, ১৯ অক্টোবর ১৯৯৭)।
. পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত ২০ মে ২০০৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান অবস্থায় জনগণের বিরুদ্ধে সরকার। সরকার, সেনাবাহিনী ও সন্তু লারমা চক্রের মিলিত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এ গ্রুপটি ইউপিডিএফের অংগ সংগঠন।
. হিল ‘উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন নেত্রী কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন শান্তিবাহিনী কর্তৃক অপহৃত হন।
. তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজি চলছেই, সমকাল রিপোর্ট, ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সংখ্যা, পৃ-৩।
. দেখুন দৈনিক সমকাল, ৩ ডিসেম্বর ২০০৯, পৃ-৯
. নিরাপত্তা বিশ্লেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামানের মতামত, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৮ অগাস্ট ২০০৯, পৃ-১।
. দেখুন দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৭ অগাস্ট ২০০৯, পৃ-১৬।
. মাসুদ মজুমদার, মাসুমুর রহমান খলিলী, আলম আজাদ, সম্পাদকীয়, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!! পূর্বোক্ত, পৃ.৬।
. হুমায়ুন আজাদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম: সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, পূর্বোক্ত, পৃ.২৪।
. ড. আমেনা মহসীন, The politics of Natinalism: The case of chittagong
Hill Tracts, ইউপিএল, ঢাকা ১৯৯৭, পৃ. ৬৬।
. এস. কালাম উদ্দীন, A Tangled Web of Insurgency, ফারইস্ট ইকনমিক রিভিউ, হংকং, ২৩ মে ১৯৮০: সুবীর ভৌমিক, Insurgent Crossfire: North-East India, ল্যানসার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ১৯৯৬, নয়াদিল্লী; উদ্বৃত ড. মাহফুজ পারভেজ, পূর্বোক্ত, পৃ. ৪৫-৪৬।
. তালুকদার মনিরুজ্জামান, বিদেশী সাহায্যপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদ সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!
পূর্বোক্ত, পৃ. ২৩।
. উদ্বৃত ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী ও ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪।
. উদ্বুত ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী ও ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪।
. ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তিবাহিনী ও ভারতীয় অবৈধ সংযোগ, পূর্বোক্ত, পৃ.৫৪-৫৫।
. মাসুদ মজুমদার ও অন্যান্য, পূর্বোক্ত, পৃ.৭।
. ড. সাঈদ-উর-রহমান, প্রসঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম : খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা দরকার, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৮১।
. আবুল আসাদ, উড়ে আসাদের জুড়ে বসতে দেয়া যায় না, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!!, পূর্বোক্ত, পৃ. ৫১।
. আমির খসরু, প্রসঙ্গ: পার্বত্য চট্টগ্রাম, আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম!! পূর্বোক্ত, পৃ. ১৫২।
. এম. আবদুল হাফিজ, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, অন্য দিগন্ত, মার্চ ২০১০, পৃ. ৩০।
. মোহাম্মদ মাতিন উদ্দিন, এইচ. এম. এরশাদের মন্তব্য নিয়ে কিছু কথা, দৈনিক আমার দেশ, ৯ মার্চ ২০১০, পৃ.৬।
. উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও সমসাময়িক ঘটনা বিষয়ে গত ৬ মার্চ ২০১০ ‘ঢাকা পোষ্ট’ এর গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতা, দৈনিক সংগ্রাম, ৭ মার্চ ২০১০, পৃ.১।
. উদ্বৃত গৌতম মন্ডল, অশান্তির বেড়াজালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, নিউজ নেটওয়ার্ক, জুলাই ২০০৫, পৃ. ৬২-৬৩।
. RHS Hutchinson, An Account of Chittagong Hill Tracts গ্রন্থটি ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয়। চাকমা জাতির পরিচয় সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিবিধ বিষয়ের উপর এ গ্রন্থে আলোকপাত করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম ইংরেজ ডেপুটি কমিশনার Capt. T. H. Leara বিরচিত
‘The Hill Tracts of chittagong and the Dewllers Therein গ্রন্থটি’ ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। J.Jaffa, Chakmas: Victims of Colonialism and
Ethro-centric Nationalism, The Main Stress, 28 Oct. 1989; অমরেন্দ্র লাল খিসা, সিফটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ১৯৯৬; এন. আহমেদ, The Evolution of Bounderies of East Pakistan, Oriental
Geographer, Vol.ii, No.4, Dhaka, 1958.
. দেখুন দৈনিক সংগ্রাম, ১৪ মে ২০১০, পৃ.১।
. জয়নাল আবেদীন,পার্বত্য চট্টগ্রাম, স্বরূপ সন্ধান, ২৬ মার্চ ১৯৯৭, ঢাকা, পৃ-৯।
. ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ. ২৭।
. ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, পূর্বোক্ত, পৃ. ২৭।
. এবনে গেলাম সামাদ, পাহাড়িরা স্বতন্ত্র জাতি নয়, অন্য দিগন্ত, মার্চ ২০১০, পৃ.৩৩।
. ড. মাহফুজ পারভেজ, বিদ্রোহী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শান্তিচুক্তি, সন্দেশ, শাহবাগ, ঢাকা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯, পৃ.২০। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম (The Management of Ethic conflicts in South Asia: The
case of Chittagong Hill Tracts) বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ড. আমেনা মহসীন।
. বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদের নাম সাজেক। প্রায় ২০ হাজার জনবসতি নিয়ে ৬শ’ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ভারতের মিজোরাম সংলগ্ন এলাকাটি ৩৬নং সাজেক ইউনিয়ন নামে পরিচিত। এটি একটি সাধারণ জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন গহীন পার্বত্য অঞ্চল।
. সংসদীয় কমিটির পার্বত্য রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড়, দৈনিক নয়াদিগন্ত ১১ মার্চ ২০১০ পৃ.১।
. দেখুন দৈনিক ইনকিলাব এল থাঙ্গা পাঙ্খোর সাক্ষাৎকার, ৮ মার্চ, ২০১০। মি. পাঙ্খো সাক্ষাৎকারে আরো অনেক তথ্য দিয়েছেন। নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন; ৪১টি বাঙালী পরিবারের জায়গা দখল করে নিয়েছে চাকমারা, বাঙালিরা কোন ত্রাণ পাচ্ছে না।
. খাগড়াছড়িতে বাঙালীদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৬ জন নাগরিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে খাগড়াছড়ি জেল হাজতে রয়েছে। দেখুন দৈনিক সংগ্রাম, ২৫ মে ২০১০, পৃ.-৪।
. গত ১ মার্চ ২০১০ বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব সংহতির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ এ মন্তব্য করেন। দেখুন মোহাম্মদ মতিন উদ্দিন, এইচ এম এরশাদের মন্তব্য নিয়ে কিছু কথা, আমার দেশ ৯ মার্চ ২০১০, পৃ.৬।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক
বাঙ্গালী গণহত্যা
সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]