‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন নয়, এখানকার আঞ্চলিক দল গুলোর অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজির শাসন চলছে’ বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উপর আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যে ভাবে শাসন শোষন চালাচ্ছে, সেই শাসন সেনা শাসনের চাইতেও কঠিন । পাহাড়ের সাধারণ মানুষ আজ তাদের অত্যাচারে নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে আছে। এই মানুষগুলো তাদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্ত করতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঠে কাজ করার আহবান জানান।
সোমবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মুছা মাতব্বর, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্র“ চৌধুরী, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বক্তব্য রাখেন।
সভায় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, সবির চাকমা, জ্ঞান বিকাশ চাকমা সহ রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে আওয়ামীলীগের উন্নয়ন দেখে আঞ্চলিক দল গুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তার কারণে উপজাতীয় লোক দেরকে আমাদের কোন কর্মকান্ডে আসতে দিচ্ছে না। আওয়ামীলীগ কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে, পাহাড়ী গ্রামগুলোতে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে লোকজনকে হুমকি প্রদর্শন করছে। দীপংকর তালুকদার আক্ষেপ করে বলেন, এইসব করে কি লাভ ? সাধারণ জনগন আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা অনুষ্ঠান স্থলে আসতে না পারলে কি হবে, তাদের মন প্রাণ পড়ে রয়েছে আমাদের কাছে। দীপংকর তালুকদার বলেছেন, আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা গণতন্ত্রের রাজনীতি করি। কেউ সাধারণ জনগণকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আসন ছিনিয়ে নিলে তাকে জয় বলে না। তিনি অস্ত্রের রাজনীতি ছেড়ে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষের মঙ্গলে রাজনীতি করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা বাঘাইছড়িতে এসে অনেক কথাই বলে গেছেন। সমাবেশে তিনি রাঙামাটি আসনের মতো আগামীতে তিন পার্বত্য জেলা তিনটি সংসদীয় আসনই দখলের ঘোষণা দেন। এ বিষয় নিয়ে দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ভয়, ভীতি দেখিয়ে, হুমকি প্রদান করে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। আগামীতেও একই কায়দায় আসন দখলের স্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু সে স্বপ্ন কোনোদিনই সফল হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দয়ায় বেঁচে থেকে আবার আমাদেরকেই নিশ্চিহ্নের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত নির্বাচনে যে কায়দায় রাঙামাটির আসন নিয়েছেন, সেই কায়দায় আর আসন নিতে পারবেন না। এবার জনগণ সচেতন হয়েছে। কাউকে জিম্মি করে আসন দখলের চিন্তা করা ভুল। উপস্থিত সকলকে তিনি বিষাক্ত সাপকে ভয় না পেয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পরে তিনি সহ অতিথিরা বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]