বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইউএনডিপি পাহাড়ে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বিদেশী দাতা সংস্থা ইউএনডিপি কর্তৃপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রার্ন্তিক জনগোষ্ঠির উন্নয়নের কথা বেড়ালেও বাস্তবে দৃশ্যত তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো দৃশ্যমান নয় বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদূর এমপি। তিনি বলেন, ইউএনডিপি কৃষকদের উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কখনো সহায়তা দেয় নাই ইউএনডিপি কর্তৃপক্ষ। এমনকি বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কখনো একটি পয়সাও সাহায্য করেননি তারা। ইউএনডিপি পাহাড়ে মাঠের কাজের চেয়ে ট্রেনিং, মিটিং এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যয় করে থাকে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুষ্টিমেয় ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া ইউএনডিপির গৃহিত প্রকল্পগুলো বাস্তব সম্মত নয়। মূলতঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। শুক্রবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ইউএনডিপি আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।



পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ইউএনডিপি জেলা ম্যানেজার খুশিরায় ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য ক্যাসা প্রু, লক্ষি পদ দাশ, সিইয়ং ম্রো, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন, বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া’সহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ৬৬ জন প্রশিক্ষিত কৃষকের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।

অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, চাঁদাবাজির কারণে কৃষকেরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাহাড়ে চাঁদাবাজদের দৌরাত্র মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। উৎপাদিত ফসল, পরিবহন এবং ব্যবসায়ী সকলের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। উৎপাদিত একটি পণ্যের উপর ৩ দফায় চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এতদিন নিরবে চাঁদাবাজি করা হলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম কারা নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, নাকি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা, চাঁদার টাকা কোথায় যাচ্ছে এবং চাঁদাবাজদের কারা নিয়ন্ত্রন করছে এখন সময় হয়েছে বিষয়টি ভেবে দেখার।

সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সতর্কতার সহিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বান্দরবানে চাষাবাদ কমে গেছে। ফলমূল, সবজি এবং মসলা চাষে অনিহা দেখাচ্ছে স্থানীয় চাষীরা। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। ভয়ে মুখ খুলে বলতে পারছেনা। চাঁদাবাজদের কারণে আমি নিজেও গ্রামের বাড়িতে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছি। গত দুবছর ধরে আমার বাগানে সবধরণের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। আমার মত পাহাড়ের অসংখ্য মানুষ চাঁদা দেয়ার যন্ত্রণায় বাগান করছেনা।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]