রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

সংবিধান অনুযায়ী এদেশে কোন আদিবাসী নেই-জেনারেল ইব্রাহীম

পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা শুধু সেখানের বসবাস কারী বাঙালীদের একা সমস্যা নয়।এসমস্যা একটি জাতিগত সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে অনুরূপ ভাবে অনুরূপ ভাবে সেখান কার পিছিয়ে পড়া বাঙালিদের কে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এদেশে কোন আদিবাসী নেই।তথা কথিত আদিবাসী নামে যারা পার্বত্য চট্রগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে,তাদেরকে সরকারী ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। প্রধান অতিথি পার্বত্য চুক্তিকে এক পেশি চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব মূলক অংশ গ্রহণ এবং সকল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হতে পারে।।

১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৯ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে ও বিতর্কিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি নিষ্পত্তি কমিন আইন ২০০১ সংশোধনী ২০১৬ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ শিশুকল্যান পরিষদের অডিটরিয়ামে (ঢাকা) শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ , পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য গনপরিষদ এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্যপরিষদ সহ ৫ বাঙালী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৫(পাচঁ)বাঙালী সংগঠনের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় গবেষক,নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট্য কলামিষ্ট /লেখক এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক)।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সাহাদাৎ ফরাজী সাকিব এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ইব্রাহিম বলেন,পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা শুধু সেখানের বসবাস কারী বাঙালীদের একা সমস্যা নয়।এসমস্যা একটি জাতিগত সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে অনুরূপ ভাবে অনুরূপ ভাবে সেখান কার পিছিয়ে পড়া বাঙালিদের কে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এদেশে কোন আদিবাসী নেই।তথা কথিত আদিবাসী নামে যারা পার্বত্য চট্রগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে,তাদেরকে সরকারী ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। প্রধান অতিথি পার্বত্য চুক্তিকে এক পেশি চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব মূলক অংশ গ্রহণ এবং সকল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হতে পারে।।

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিঃ মামুন ভুই্য়া বলেন,১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য কালো চুক্তির ১৯ তম বৎসর পরেও শান্তি আসেনি।যা জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তুলারমা এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এ চুক্তি সম্পাদন করে ছিলেন, সে দিন জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে জনমনের তোয়াক্কা না করে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন,তিন পার্বত্য জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে ২য় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত করেছে। এ চুক্তিকে পার্বত্য বাসীসহ সারাদেশের মানুষ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে বাড়ি বাড়ি কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারন করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল।যে চুক্তি আজও কোন শান্তি আনতে পারেনি।

বিশেষ অতথিি হসিবেে উপস্থতি অতিথি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলনের (একাংশের) মহাসচিব, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির।পার্বত্য গন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভেজ তালুকদার।জাগো পার্বত্য বাসীর কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা।পার্বত্য গন পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট আলম খান।পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা মো:আবদুল হামিদ রানা। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতা ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল নবী শাওন । পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত)মো: আবদুল মজিদ।পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম মনির।পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার জাহান খান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এ্যাডঃ এয়াকুব আলী চৌধুরী বলেন,কালোচুক্তির ধারাবাহিকতাই ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন ২০০১ বাস্তবায়ন, যা ছাত্র পরিষদকে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরী করেছে । পার্বত্য ভূমি কমিশনে বাঙ্গালীদের অন্তর্ভুক্ত করে ভুমি কমিশন আইন সংশোধন করা না হলে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে ।

গন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ পারভেজ তালুকদার কলেন সন্তু লারমা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। তার বাংলাদেশে কোন ভোটার আইডি নাই। তিনি কোন জাতীয় দিবসে যোগ দেননী আজ পর্যন্ত । শান্তি চুক্তির সময় কোন সাধারন উপজাতী তাকে সমর্থন করেনি । পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন পাহাড়ী তার পক্ষে কথা বলেনি।

এ সময় অন্যান্যদের মাধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক ফাতেমা আক্তার রুনা,সমঅধিকারের মহাসচিব মনিরুজ্জামান, গন পরিষদের মহা সচিব এ্যাডঃআলম খান,কল্যান পার্টির সিঃসহ সভাপতি তামান্না,বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদেরকেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মজিদ (ভারপ্রাপ্ত) , বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান খান, এ্যাডঃ ইব্রাহীম মনি প্রমুখ।

এদিকে আলোচনা শেষে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে কালো চুক্তি এবং বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ বাতিলের দাবীতে শুক্রবার বিকাল ২.৩০ ঘটিকার সময় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৫(পাচঁ)বাঙালী সংগঠনের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা কালো চুক্তি ও বিতর্কিত পার্বত্য ভুমি কমিশন আইন বাতিল করার দাবি জানান। অন্যথায় যে কোন মুল্যে কমিশনকে অকার্যকর করতে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ার করে দেন। ।

মোঃ এনামুল হক,বিশেষ প্রতিনিধি, নিউজ এজেন্সি



পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]