রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, অবৈধ অস্ত্রের কারনে পাহাড়ের জুম্ম জনগন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের নাভিশ্বাস উঠছে কিন্তু তারা ভয়ে কথা বলতে পারছে না, কারন তারা অবৈধ অস্ত্রধারীদের পেটের ভেতর আছে। আমরা বলেছি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে, অস্ত্রধারীরা যদি আওয়ামীলীগেরও কেউ হয় তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রধারীদের প্রদর্শিত ভয়ভীতি ও হুমকীর কারনে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন না হওয়ার আশংকার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকাল ১১টায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ আরো করেন পাহাড়ের স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্রের জোরে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কাউকে প্রার্থী হতে দিচ্ছে না। এই কারণে রাঙামাটি ৪৯ টি ইউনিয়নের ৩০ টি ইউনিয়ন বাদে বাকী ১৯ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ কোন দলীয় প্রার্থী দিতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, চিংকিউ রোয়াজা, সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী,সাবেক সাধারন সম্পাদক হাজী কামাল উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অন্য কেউ হত্যা করেনি তার জাতি বাঙ্গালি হত্যা করেছে। ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য সকল দেশের অবস্থা দেখলে বলা যায় সেখানে নেতাদেরও নিজ জাতি গোষ্ঠীর লোকজন হত্যা করেছে। তাই যদি আমার জাতি আমাকে হত্যা করে তবে আমার কোন অসুবিধা নেই। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। কারণ আমি এক দীপংকর মারা গেলেও পার্বত্য এলাকায় হাজারো দীপংকর জন্ম নিবে।
তিনি আরো বলেন, আমি সকল জাতির কথা বলি, বলবো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য যে কথা বলা হচ্ছে এটা আমাদের কোন দলীয় কথা নয় এটা হচ্ছে সাধারণ নাগরিকের কথা। আমরা আগামী ২৪ তারিখ যে মিছিল ও সমাবেশ করার কথা বলেছি তার আমরা আওয়ামীলীগের ব্যানারে করবো না এটা হবে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে।
রাঙামাটিতে তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পূর্বে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবী জানিয়েছে তিনি।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপুর্ণ করতে জেলা আওয়ামীলীগ নির্বাচন কমিশনে ৫ দফা দাবী পেশ করেছে। দাবিগুলো হচ্ছে :
১. স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রের জোরে তাদের নিয়ন্ত্রিত ভোট কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট বা ভোটাররা প্রায় নির্বিঘ্নে জাল ভোট দিতে পারে। ভোটারদের সাথে আইডি কার্ড রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলে এই জাল ভোট প্রদান অনেকাংশে রোধ করা যাবে বলে আমরা মনে করি। ভোটার আইডি কার্ড এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আইডি কার্ড দেখাতে পারলেই কেবল ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের ব্যালট পেপার দেয়া যাবে। তাই ভোটারদের সাথে ভোটার আইডি কার্ড রাখা বাধ্যতামূলক করা দরকার।
২. ভোটাররা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে কিনা মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলে তার প্রমাণ দিতে হয়। এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করতে সেলফোন বা মোবাইল ফোন সেট ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
৩. দেখা গেছে ভোটকেন্দ্র কাঁচা বাড়ি হলে পোলিং বুথের এক পাশে গিয়ে সহজে ছিদ্র করে কে কোথায় ভোট প্রয়োগ করছেন তা সঙ্গোপনে উঁকি মেরে দেখে থাকে সন্ত্রাসীরা। নির্দেশিত প্রতীকে ভোট না দিলে পরে সেই ভোটারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় সন্ত্রাসীরা। তাই ভোটকেন্দ্র কাঁচাবাড়ির হলে পোলিং বুথসমূহ মোটা কাপড় দ্বারা আচ্ছাদিত করতে হবে এবং সেই বুথের কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া যাবে না।
৪. কয়েকটি উপজেলার দুর্গম ভোট কেন্দ্রে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অন্য কোন দলের বা প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয় না। পোলিং বুথ থেকে অন্য প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত জাল ভোট প্রয়োগ করে থাকে। অস্ত্রের মুখে সেখানকার রিটার্নিং ও পোলিং অফিসার বা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসহায় হয়ে পড়েন। তাই দূরবর্তী ও দুর্গম পোলিং সেন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. সর্বোপরি নির্বাচনের পূর্বে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে চিরুণী অভিযান চালানোর জন্য জোর দাবী জানানো হচ্ছে যাতে করে আগ
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]