পার্বত্য চট্টগ্রাম নামক জনপদ উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের পিচাস স্বরুপ কর্মকান্ডে বরাবরই এখানকার সাধারন মানুষগুলো নির্মম অসহায়। সরকারের নীরব ভূমিকায় এই সন্ত্রাসীরা এতটাই শক্তিশালী যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত তার স্বাধিনতাকে তারা প্রতিনিয়ত তুচ্ছ মনে করে। যখন বিজয় দিবস আসে ঠিক তখনই তারা এই দিবস বয়কট করে চড়াও হয় সাধারন মানুষের উপর। বিজয় দিবসের আনন্দ যেন উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। বাস্তব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহী শব্দটা পার্বত্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কেমন যেন নমনীয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের ঘটনা এবং ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ সালের ঘটনা একই সূত্রে গাথা। ২০১৪ সালেও উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নানিয়ারচরে বাঙ্গালী চাষির আনারস বাগান ধ্বংস করে বিজয় দিবস বয়কট করেছিল ঠিক এবারও তাই। গতমাসে উপজাতীয় সসস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ প্রেস কনফারেন্স করে প্রকাশ্যে বিজয় দিবস বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে।
নানিয়ারচরে বাঙ্গালী চাষির আনারস বাগান ধ্বংসের ছবি |
সেই ধারাবাহীকতায় এই সন্ত্রাসীরা গত রাতে (১১ ডিসেম্বর ২০১৬) নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার মো:মধু মিয়া এবং মো:জামাল মিয়ার আনারস বাগানকে বেছে নেয়। উদ্দেশ্য পার্বত্য পরিস্থিত ঘোলাটে করে বিজয় দিবসের আনন্দ নষ্ট করা। সন্ত্রাসীরা এক রাতে উক্ত দুই চাষির আনারস বাগানের প্রায় ৩২ হাজার আনারস নষ্ট করে দেয়। গতবার সন্ত্রাসীরা গাছ উপরে ফেলেছিলো। এবার গাছ নয়, ফল নষ্ট করে দিয়েছে তারা। সন্ত্রাসীরা এমন অবস্থায় আনারস গুলো নষ্ট করলো যেই আনারসগুলো আগামী ৩০/৪০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যেতো। তিলতিল করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, জীবনের সমস্ত পূজি বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেছিল চাষিদ্বয় এই বাগান। সেই কষ্টের ফষল যখন ঘরে তুলবেন চাষিরা ঠিক তার আগমুহূর্তে ফল নষ্ট করে পথে বসিয়ে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। টাকার অংকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ফল নষ্ট করা হয়েছে।
নানিয়ারচরে বাঙ্গালী চাষির আনারস বাগান ধ্বংসের ছবি |
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত প্রশাসন কিংবা কোন মিডিয়াকে দেখা যাচ্ছে না এই অসহায় বাঙ্গালীর পাশে দাড়াতে। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হীন কর্মকান্ডে নিঃস্ব চাষি মধু মিয়া এবং জামাল মিয়ার বড় অসহায়। সহায়তাতো দূরের কথা তাদের স্বান্তনা দিবে এমন ব্যক্তি পাওয়া মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের সুশিল মিডিয়া কিংবা আমাদের রাঙ্গামাটির হরি বাবুরা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গুন কীর্তন কিংবা সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গডফাদার শন্তু লারমার বক্তব্য প্রচারে ব্যস্ত। সেখানে ঠাই হচ্ছে না মদু মিয়া, জামাল মিয়ার আর্তনাদ।বিজয়ের মাসে আর কতোটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হলে বলা যাবে পার্বত্য বাঙ্গালীরা অসহায়?? আর কি করলে দাতা সংস্থাদের চোখের দৃষ্টিতে আসবে মধু মিয়া, জামাল মিয়া?
উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাথে শত্রুতা থাকতে পারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। এটা একটা সামগ্রিক বিষয়। কিন্তু কেন তার ফল ভোগ করবে অসহায় এই চাষিরা?
লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ, সূত্র: আমাদের প্রিয় পার্বত্য চট্টগ্রাম
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]