বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১ হাজার ৯৮৪ জন ভারতীয় শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৭৬৯ জন, নৌবাহিনীর ২০৪ জন এবং বিমানবাহিনীর ১১ জন শহীদ। যুদ্ধের কারনে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থী, তাঁদের খরচ, ভারতের অন্যান্য সকল প্রকার ক্ষতিপূরনের বিপরীতে আর্থিক ভাবে তাঁরা পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ নেয়। ভারতীয় অফিসিয়াল হিসেবে মোতাবেক পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারত সর্বমোট ৫৪৩ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার দুইশত চুরান্নব্বই রুপি ক্ষতিপূরণ আদায় করে।
বাংলাদেশ থেকে কি পায় ভারত?
সম্প্রতি নিহত ভারতীয় সৈন্যদের সকল পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সম্মাননা দেয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতার পর ভারতীয় বাহিনী ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে মার্চ ১৯৭২ পর্যন্ত সময় বাংলাদেশে অবস্থান করে। এই সময়ে যে লুটপাট তাঁরা করে ২১ শে জানুয়ারী ১৯৭২ সালে বৃটেনের বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকায় সাংবাদিক মার্টিন ঊলাকট (Martin Woollacott)
Indians ‘loot whole factory ‘শিরোনামে লেখায় লিখেন ; “Systematic Indian
army looting of mills, factories and offices in Khulna area has angered and
enraged Bangladesh civil officials here. The looting took place in the first
few days after the Indian troops arrived in the city on December 17”
সে সময় খুলনার ডিসি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সচিব ডক্টর কামাল সিদ্দিকী।তিনি সে সময় ভারতীয় বাহিনীর এই লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লিখে বলেন; কেবল খুলনা থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন টাকার পরিমাণ লুটপাট করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কামাল সিদ্দিকি নিজে সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় বিভিন্ন জেলার ডিসিদের সাথেও কথা বলে জানতে পারেন অন্যান্য জেলাতেও ভারতীয় বাহিনী একই ধরণের লুটপাট করে। ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া সকল অস্ত্র এবং ৮৭ টি ট্যাংক নিয়ে যায় যার মুল্য ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অনিক নামের একটি ভারতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার বরাতে কামাল সিদ্দিকি আরো লিখেন ভারতীয় সৈন্যদের লুটপাটের মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও ছিল মজুদকৃত খাস্য শস্য, কাঁচা পাট,সুতা, গাড়ি, জাহাজ,শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিন ও যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য। কামাল সিদ্দিকীর মতে সব মিলিয়ে কম করে ধরলেও কেবল খুলনা জেলা থেকেই এই লুটপাটের পরিমাণ ছিল তৎকালীন হিসেবে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! সে সময়ে সারা বাংলাদেশের ১৯টি জেলা থেকে লুটাপাটের পরিমাণ কেমন হতে পারে সেটা অনুমান অসম্ভব নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান কি হবে? এই পোষ্টে রয়েছে এমন কিছু আলোচনা।রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহনের ঐতিহাসিক কারন।
প্রাসঙ্গিক পোষ্টঃ
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট www.facebook.com/muldharabd/posts/1348704668526186
যুদ্ধের পর অস্ত্রের মুখে ফেরত পাঠানো হয় ভারতে আশ্রয় নেয়া রিফিউজিদের
উৎস: মূলধারা বাংলাদেশ
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]