সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ভারত বন্ধুত্বের সুযোগে পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। - ‘টাইমস অব আসাম’।

ভারত বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। - ভারতের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অব আসাম’। স্মরণাতীতকাল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ কিন্তু ভারত বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে ১৯৭৩ সাল থেকেই পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই লক্ষ্যেই ভারত মানবেন্দ নারায়ণ লারমাকে প্ররোচিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ এবং এর সামরিক শাখাশান্তি বাহিনীর জন্ম দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে ভারত শান্তি বাহিনীকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে এর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে ভারতের সাংবাদিক অশোকা রায়না তারইনসাইডডুটে: দ্য স্টরি অব ইন্ডিয়াস সেক্রেট সার্ভিসনামের বইটির ৮৬-৮৭ পৃষ্ঠায় সংক্রান্ত বেশ কিছু দলিলপত্র (ডকুমেন্টস) তুলে ধরেছেন ১৯৮১ সালে বিকাশ পাবলিশার্স নামে নয়া দিল্লির একটি প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করে



বইতে অশোকা রায়না বলেন, ‘চাকমা গেরিলাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তন আসলে চাকমারাএর সঙ্গে যোগাযোগ করে তখন তারা মিজো বিদ্রোহীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ভারতের কাছে তথ্য পাচারের প্রস্তাব দেয় বিনিময়ে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় চায় ভারত সরকার তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়

অশোক বিশ্বাস নিউ ন্যাশনে প্রকাশিত একটি লেখায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যেচাকমা উপজাতি এবং শান্তি বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (নিউ ন্যাশন: ৩১ আগস্ট, ১৯৯৪)’’

এখানে ভারতীয় সাংবাদিক বিবিসির করেসপন্ডেন্ট সুবির ভৌমিকের একটি উদ্ধৃতি তুলে দেয়া জরুরি সুবির ভৌমিক ঢাকাভিত্তিক পাক্ষিক ম্যাগাজিনপ্রোবকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে (বর্ষ , সংখ্যা , সেপ্টেম্বর -১৫, ২০০১) বলেন, ‘‘আপনি আমার বইআরম (১৯৭৫-১৯৯০) দেখুন সেখানেসমর্থিত শান্তি বাহিনী নিয়ে একটি লেখা আছে তাতে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালের পর শান্তি বাহিনী যখন আন্ডারগাউন্ডে চলে গেল, তখন শান্তি বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে গিয়েছিল মনে রাখবেন, ভারতে সাধারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য নেয়া হয়নি সেখানে নেয়া হয়েছিল নেতৃত্বস্থানীয়দের তার মাধ্যমে ভারত মানবেন্দ নারায়ণ লারমাকে ৫০ হাজার গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র অস্ত্র সজ্জিত করার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দিয়েছিল

আর লক্ষ্যেই ভারত তখন ত্রিপুরা, মিজোরাম দেহরাদুনের নিকটবর্তী চক্রাতা এলাকায় ক্যাম্প খুলে দেয় ১৯৯৪ সালে শান্তি বাহিনীর ক্যাডার ত্রিবিদ চাকমা ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ভারতীয় অংশে ২৫টি ক্যাম্প খুলেছে এর মধ্যে তিনি ৯টি ক্যাম্পের নাম উল্লেখ করেন সেগুলো হচ্ছে, সাবরাম, শিলচর, বয়ালপাড়া, কদমতলী, দায়েক, বড়চারী, রালমা, ত্রিমাঘা এবং রতননগর তিনি আরো জানান, দেহরাদুনে বিশ্বস্ত কিছু লোককে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে

১৯৯৮ সালের জুলাই ঢাকার ইংরেজি সাপ্তাহিকফ্রাইডেজানায়, জিয়াউর রহমান সরকারের সঙ্গে মানবেন্দ নারায়ণ লারমা সমঝোতা বিষয়টি ব্যর্থ হয়েছিল কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত তখন চাপের মুখে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে কাজ করতে বাধ্য করেছিল

পরবর্তীতে এটাও প্রকাশ হয় যে, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ঐক্যে ফাঁটল ধরে এক পর্যায়ে ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রিতিকুমার গ্রুপের সদস্যরা মানবেন্দ নারায়ণ লারমাকে তার জন সহযোদ্ধাসহ গুলি করে হত্যা করে তখন ভারত সরকার প্রিত্রিকুমার চাকমার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এমনকি তথাকথিত শান্তি চুক্তি হওয়ার পরও তাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছে ভারত সরকার


খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান সামিরন দেওয়ানশান্তি বাহিনীকে প্রশ্রয়, অর্থ, প্রশিক্ষণ অস্ত্র প্রদানে ভারত দায়ীশীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘ রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে শান্তি বাহিনী কাজ করে না বরং তারা ভারতের ভূ-রাজনৈতিক নীল-নকশা বাস্তবায়নে কাজ করছে (দৈনিক ইনকিলাব: ১২ নভেম্বর, ১৯৮৯) 

সূত্র: সিএইচটি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম, মার্চ  ২০১৪


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]