পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সন্তু লারমা ও চাকমা রাজা দেবাশিষ রায় ইতোপূর্বে বলেছিলেন বাংলাদেশে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন আদিবাসী নাই, এখানে আছে উপজাতী এবং কিছু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। কিন্তু এখন তারা আদিবাসীর দাবীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। দীপংকর তালুকদার আরো বলেছেন, আমি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করেছিলাম, তখন সন্তু লারমা বলেছিলেন এই দেশে কোন আদিবাসী নাই। এখানে আমরা সবাই উপজাতী। জুম্ম জনগনের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের সময়ে আমি সন্তু লারমাকে বলেছিলাম এসময়ে উপজাতীর পরিবর্তে আদিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ফেলি, তখনও সন্তু লারমা রাজি হননি। তখনও সন্তু লারমা বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতী। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে প্রচলিত উপজাতী শব্দটি বহাল রাখা হয়।
অপরদিকে, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন কালে চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যরিস্টার দেবাশিষ রায় রাষ্ট্রীয় ভাবে অফিসিয়ালি লিখেছেন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই। কিছু জনগোষ্ঠি আছে উপজাতী। তাহলে এখন কেন আদিবাসী দাবীতে সংগ্রাম সংঘর্ষের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি কোন দেশের ষড়যন্ত্রের আলামত ? সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, এখানে আদিবাসী আছে কি নাই গবেষণার দরকার, গবেষণায় প্রমাণ হলে আদিবাসী হবে, না হলে নাই। কিন্তু এ নিয়ে সংঘর্ষ , মারামারি হবে কেন ? তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেত্বত্বে গনতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জনগনকে সাথে নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল অর্জন ও অগ্রগতির সাথে পার্বত্য এলাকার সকল ধর্ম বর্ণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎসহ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, গনতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
গত শনিবার রাঙামাটি জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার উপরোক্ত কথা বলেছেন। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বিদ্যুৎ জ্যোতি চাকমা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন, সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল,মহিলা নেত্রী জেবুন্নেছা রহিম, শ্রমিক লীগ নেত্রী ঝর্ণা খীসা, তৌহিদ আল মাহমুদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, আবদুল ওহাব, আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান, মোঃ জাহাঙ্গীর, আবুল হোসেন, শ্যামল দেব প্রমুখ।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]