মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পাহাড়ের বৌদ্ধ ভান্তেদের অস্ত্রের ট্রেনিং দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

আয়াজ উর রাহমান : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা দিনের পর দিন বেরেই চলেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় গোষ্ঠীরা এই সহিংসতার সাথে জড়িত বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ তুলেছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সেখানকার বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা ও তাদের সহযোগিতায় রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আর এবার ডেইলি মিরর ২৪ সংবাদ মাধ্যমের তদন্তে সরাসরি ধরা পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভাইরাল হওয়া সেই ছবি কীভাবে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ট্রেনিং দিচ্ছে দেশটির বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের।
যদিও মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী শুরু থেকেই গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে না বলে অস্বীকার করে আসছে। এছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটি জানায়, রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন তারা নিজেরাই দিচ্ছে। তবে এই বিষয়ে পরবর্তীতে বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের তদন্তে ভুল প্রমাণিত হয় এবং এটি মিয়ানমার সরকারের সাজানো নাটক বলেও ছবি প্রকাশ পায়।এই ছবিগুলো দেখিয়ে বিবিসির সাংবাদিককে বলা হয় – মুসলিমরা আগুন লাগাচ্ছেঃ ছবি সংগৃহীতকিন্তু বিবিসির সাংবাদিক পরে চিনতে পেরেছে যে ওপরের ছবির মহিলাটি একটি হিন্দু গ্রাম থেকে আসা
এই ছবিগুলো দেখিয়ে বিবিসির সাংবাদিককে বলা হয় – মুসলিমরা আগুন লাগাচ্ছে
মিয়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিন অং হেই গতকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলোর খবরের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গণহত্যা, গণ ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তার এক ছবি ও তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে এক ১৪ বছরের রোহিঙ্গা মেয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে। মেয়েটিকে তার বাবা-মা এর সামনে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। টুইটার বার্তা থেকে পাওয়া সেই তথ্য নীচে দেখে নিন-
কিন্তু বিবিসির সাংবাদিক পরে চিনতে পেরেছে যে ওপরের ছবির মহিলাটি একটি হিন্দু গ্রাম থেকে আসা
জেনারেল মিনের অভিমত, রাখাইন প্রদেশে তাদের ‘উচ্ছেদ অভিযানের’ উদ্দেশ্য হলো ২৫শে আগস্ট যেসব রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়েছে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া। তাদের এই অভিযানে অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। আর এই সহিংসতা থেকে বাঁচতে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। পালিয়ে আসা শরণার্থীরা জানাচ্ছে, সেনাবাহিনীরা তাদেরকে হত্যা করছে ও তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এই অভিযানকে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থান বহু সময় ধরেই ব্যাপক আলোচিত বিষয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকেই এই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়টিকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে। এমনকি তাদেরকে রোহিঙ্গা বলেও স্বীকৃতি দেয়না। তাদের কাছে রোহিঙ্গাদের পরিচয় বাঙ্গালি। যদিও রোহিঙ্গারা আরাকান বা রাখাইনের আদি বাসিন্দা বলেই পরিচিত।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর চলমান সহিংসতা মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় গোষ্ঠীদের পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ তুলেছে আনর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে স্যাটালাইটের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কাছে সরাসরি প্রমাণ আছে বলেও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]