মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দেবাশীষ রায় কি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বার্মার সাথে গোপন বৈঠকে উপজাতিদের একত্রিত করছে

গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়ের একটি ছবি ভাইরাল ছিলো। মায়ানমারে সামরিক প্রধানদের সাথে গোপন মিটিংএর ছবি ছিলো এটি। সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেবাশীষ রায় দেশীয় মিডিয়ার সামনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে হাজির হলেন। ঘটনা কি? ঘটনা যাই হোক, গতকাল চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়ের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যই ছিলো আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বিরোধী। পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী তার বক্তব্য হলো, "সংখ্যালঘু রাখাইন রাজ্য-বাসীর প্রতি বার্মার সরকারের বৈষম্যমূলক, হিংসাত্মক এবং মানবাধিকার বিরোধী  ও মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় জানিয়েছেন, মায়ানমার বা বার্মার রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুর মর্মান্তিক অবস্থায় আগমনে চাকমা সার্কেলের অধিবাসীগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।" তিনি বলেন, "মৌলিকভাবে আমরা বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের সাথে সহমত পোষণ করি।"
উল্লেখিত দুটি বক্তব্য সঠিকভাবে বিশ্লেষন করলে কি পাওয়া যায়? তিনি রোহিঙ্গা হত্যা বিষয়ে সার্কেলের অধিবাসীর পক্ষ হতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের সাথে সহমত পোষণ করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু দেশের বাইরের ইস্যু। এই ইস্যুটি বাইরের হলেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ইস্যুটির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। দেবাশীষ রায়ের কথিত সার্কেল এবং তিনি বাংলাদেশ সরকারেরই আওতাধীন। তাহলে তার বক্তব্য কি অর্থ বহন করে? স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেবাশীষ রায়ের বক্তব্য এবং পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের বক্তব্য ঠিক একই ধাঁচের। তার সার্কেল চিফ পদ এবং তার সার্কেল কি বাংলাদেশ সরকারের অধীন নয়? বস্তুতঃ তার বক্তব্যে বোঝা যায় তার সার্কেল বাংলাদেশের অংশ নয়। নচেৎ রাষ্ট্রের একজন সরকারের অধীন ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে কোন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সার্কেলের অধিবাসীগণের পক্ষ হতে সরকারের সাথে সহমত পোষনের ঘোষনা দেওয়া কতটুকু সমীচীন - সেটাই প্রশ্ন উঠছে।

ধরুন, আমি পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা এবং কথিত চাকমা সার্কেলের নাগরিক। এখন বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে যা করছে তার প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে সমর্থন দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক? আমি তো সংবিধান অনুযায়ী সরকারের বাইরের অংশ নই। সুতরাং গতকাল দেবাশীষ রায় যে প্রেস ব্রিফিং করেছেন তাতে পার্বত্য চাকমা সার্কেলের অধিবাসীদের বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত তার এই সংবাদ সম্মেলন পাহাড়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটি পার্বত্য ইস্যুর সাথে সম্পৃক্ত করার বহিঃপ্রকাশক। অর্থাৎ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের সাথে সহমত পোষনের আড়ালে রাজাকার পুত্র মায়ানমারের সাথে গোপন বৈঠকে কি পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিদের একত্রিত করতে চাইছেন।

লেখক : আবু উবাইদা

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]