পার্বত্য চট্টগ্রামকে আবারো অশান্ত করার চক্রান্ত করছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। মিয়ানমার ও ভারত থেকে সংগ্রহ করেছে ভয়াবহ মারণাস্ত্র। এ চক্রান্তের সাথে জড়িত ইউপিডিএফ, জনসংহতি সমিতির মতো আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। আছেন, বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য দেয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, হত্যা-অপহরণে এরইমধ্যে এ সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে সন্ত্রাসীরা।
আপাত শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির বার্তা দিচ্ছে গোয়েন্দা রিপোর্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে তৎপর বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্টি আবারো নানা ধরনের অরাজকতা পরিকল্পনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো সীমান্তে লাগোয়া দেশগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠির কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশি দেশগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলোর সাথেও তারা অস্ত্রের লেনদেন শুরু করেছে।
এজন্য মিয়ানমারের আরাকার লিবারেশন পার্টি, আরাকান আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ভারতের মিজোরাম ও আসামের স্বাধীনতাকামী দলগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র পেতে এরই মধ্যে টাকার লেনদেনও সম্পন্ন করেছে। এরই মধ্যে গত বছরের আগস্টে ২৫ টি রাইফেল ও গুলির চালান তাদের কাছে এসেছে। এছাড়াও ১৬ টি একে ৪৭ রাইফেলের একটি চালান সেনাবাহিনী আটক করেছে। যা পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার কাজে ব্যবহার করতে আনা হচ্ছিল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বান্দরবানের থানচি উপজেলার জেএসএস এর সভাপতি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চ সা থোয়াই মারমা ওরফে পক্স, তার ছোট ভাই মাং ব্রা এবং রুমা উপজেলার জেএসএস এর সভাপতি লু প্রুর তত্ত্বাবধানে ভারতের মিজোরাম থেকে অস্ত্র আনা হয়। আর ভারত বাংলাদেশ ট্রাইবংশন এলাকার কমান্ডার বো থো উইন ম্রো অস্ত্র আনা নেয়ার কাজ করে। তাকে সহায়তা করে আট জন পাহাড়ী সন্ত্রাসী। এছাড়াও বড় মদক এলাকায় নৌকা চালায় হ্লা মং এই চক্রের অন্যতম একজন নেতা। তবে সবই অপপ্রচার বলে দাবী অভিযুক্তদের।
এরই মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্রের চালান দেশে প্রবেশ করলেও আর যেন না আসে তা ঠেকাতে এরই মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো তৎপর হওয়ার জন্য বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। যেহেতু প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অস্ত্র আসছে, তাই তা ঠেকাতে ওই দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে তাদের অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যেন কোন জঙ্গি সন্ত্রাসী তাদের অপকর্ম ও দেশ বিরোধী কার্যক্রম চালাতে না পারে তার জন্যেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ: