শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইতিহাস কথা বলে: নির্লজ্জ সুচি ও বার্মার হিংস্র ভূঁইফোঁর বৌদ্ধরা কি ভিনগ্রহী এলিয়েন!

ছবিটির মাঝখানে চেয়ারে পা তুলে বসে আছেন একজন রোহিঙ্গা। তার নাম আবদুর রশীদ। তিনি ততকালিন অল বার্মা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি। তার ডান পাশে বসে থাকা লোকটি সুচির পিতা অং সান। যিনি ছিলেন ওই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক। ছবিটি ১৯৩৬ সালে বার্মার রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা। ছবিতে আবদুর রশীদের বাম পাশে যিনি বসে আছেন- তিনি আবদুর রাজ্জাক। বার্মা মুসলীম লীগের সভাপতি। ইতিহাস বলছে, মূলত বার্মার স্বাধীনতা এসেছিলো তাদের হাত ধরেই। আর এই রোহিঙ্গা সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আজকের মিয়ানমারের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নকারী।অথচ জেনারেল মিন অং হিয়াং ও অং সান সুচি উভয়েই জাতি ঘৃনার প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে কার্যত বার্মার রাজনৈতিক ইতিহাসকেই অস্বীকার করলেন। সুচির বাবা জেনারেল অং সানের অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং জেনারেল অং সানের গঠিত বার্মার স্বাধীনতা পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রী সভার শিক্ষা ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক।


বার্মার ইতিহাস থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালের ১৯ জুলাই জেনারেল অং সানের সাথে যে ছয়জন মন্ত্রী খুন হন তাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক অন্যতম।
বার্মা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৯ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কেবল আবদুর রাজ্জাকই নন, সুচির বাবা এবং বার্মার জাতির পিতা জেনারেল অং সানের সবচেয়ে ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহযোগীদের মধ্যে আরও অনেক মুসলমান ছিলেন।

কিন্তু মুসলামদের বার্মার অধিবাসী হিসেবেই অস্বীকার করছে বর্তমান মিয়ানমার সরকার। তাদেরকে বাঙালি বলে দেশ ছাড়া করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন সাড়ে ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা। হত্যার শিকার হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এখন বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নির্মূল করা হচ্ছে মুসলিমদের। কিন্তু ইতিহাস কি মুছে ফেলতে পারবেন সুচি সরকার? বিশ্ব নেতারাও কি বার্মার ইতিহাস অস্বীকার করবেন? সে প্রশ্ন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]