জাতিসংঘে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে চাপ দেওয়ার আহ্বান পশ্চিমা ক্ষমতাধরদের।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ব্রিটেন আয়োজিত মন্ত্রিপর্যায়ের এক বৈঠকে অধিকাংশ পশ্চিমা শক্তিধর দেশ রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’র বিষয়ে তোপের মুখে পড়েন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির উপদেষ্টা থাং তুন। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। এতে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, চীন, ডেনমার্ক, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষে সু চির উপদেষ্টা থাং তুন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অধিকাংশ দেশ মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার নেত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী উপদেষ্টা থাং তুন রোহিঙ্গা নির্যাতনের ওপর বিভিন্ন প্রতিবেদন, ছবি ও তথ্যকে ‘মনগড়া’ অভিহিত করে অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা থাং তুনকে বলেন, তাঁরা ওই অঞ্চলের বাস্তবিক অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত আছেন।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্যাতনবিষয়ক এ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে এই সহিংসতাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা এড়াতে অং সান সু চি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিচ্ছেন না।দেশটির রাখাইন প্রদেশে গত মাসের শেষ দিকে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত চার লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। জাতিসংঘ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত নির্মূল হিসেবে অবহিত করেছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় ও অন্যান্য সাহায্য করায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। বরিস জনসন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতাকে মিয়ানমারের জন্য একটি কলঙ্ক হিসেবে অভিহিত করে এসব কার্যক্রম বন্ধে অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জনসন বলেন, যখন মিয়ানমার গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশটির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করল। এই সহিংসতা বন্ধ করা মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে তিনি জানান।
‘রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ করুন’ : এদিকে রাখাইনে চলমান সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে যেসব রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে গুতেরেস বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দ্বন্দ্ব নাটকীয় মাত্রায় পৌঁছার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। নির্যাতন-নিপীড়ন, সামাজিক বৈষম্য, চরমপন্থা এবং সহিংস দমন প্রক্রিয়ার কারণে এরই মধ্যে চার লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে। এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘অবিলম্বে মিয়ানমারে সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে। রাখাইনে মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্ষোভের জায়গাটা বুঝতে হবে। ’
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]