মিয়ানমারের রাখাইনে একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা। তারই একাধিক স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এসব ছবিতে শত শত ঘরবাড়ি, ভবন ও স্থাপনা পুড়ে ভস্মীভূত হতে দেখা গেছে। পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও গণধর্ষণের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে এবং তাদের মুখে সেই সব ভয়াবহ নির্যাতনের কথা ছবিতে প্রমাণ পাচ্ছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচি এধরনের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করলেও এবং রোহিঙ্গা নিধন ও বিতাড়নে দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অং মিন হেই বৌদ্ধদের ঐক্যের ডাক দিলেও আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিন্দা জানাচ্ছে, দেশে দেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ উঠছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে অন্তত ২৬টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বিচারে গুলি করে নিরস্ত্র ও নিরীহ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইট থেকে তোলা এসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও উঁচু ভবন, গাছপালা সব কিছু পুড়ে ছাড়খাড় হচ্ছে।
এসব ছবিতে অন্তত ৮০টি বড় ধরনের আগুনের কু-লীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা গেছে। গত ২৫ আগস্টে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে তখন দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযান চলছিল। এ্যামনেস্টির গবেষক ওলফ ব্লমকভিস্ট এসব স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে বলেছেন,রাখাইন অঞ্চল জ্বলছে এবং জাতিগত নিধনের বিষয়টি এসব ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলেছেন, বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়ার জন্যে পেট্রোল ব্যবহার করা হয়েছে। সেনারা কাঁধে বহনকারী রকেট ছুড়েছে ঘর বাড়িতে আগুন জ্বলে ওঠার জন্যে। ওলফ ব্লমকভিস্ট বলেন, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের এভাবে দেশ ছাড়া করতে দেশটির সরকার কিভাবে অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছে, সেনা নামিয়েছে, অভিযান চালিয়েছে যা চিন্তারও বাইরে।
এ পর্যন্ত গত ৩ সপ্তাহে অন্তত ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান এধরনের নির্যাতন ও সহিংসতাকে জাতিগত নিধনের সমতুল্য বলে মন্তব্য করেছেন। স্ট্রেইট টাইমস, এশিয়া নিউজ
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]