মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যায় আড়ালে থেকে কাজ করছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)। দীর্ঘদিন এই সংগঠনটি মিয়ানমারে নাম পরিবর্তন করে ‘সনাতন ধর্মসেবক সংঘ’ নামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যার সময় মিয়ানমারের বৌদ্ধদের সঙ্গে আরএসএস ছিল। বুধবার ভারতের আসামের প্রভাবশালী দৈনিক অসমীয়া প্রতিদিন এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ভারত, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মুসলিম বিরোধী করে তোলার জন্য আরএসএস উঠে পড়ে লেগেছে। এই লক্ষ্যে আরএসএস মোগল শাসকদের সময় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ওপর চালানো নির্যাতনের কাহিনীসমুহ ব্যবহার করছে। অসমীয়া প্রতিদিন লিখেছে, ভারতের হিমাচল প্রদেশে থাকা তিব্বতী বৌদ্ধরা এই কাজে আরএসএসকে সহযোগিতা করেছে। মিয়ানমারে আরএসএসের শাখা সংগঠনটি সেদেশটির বৌদ্ধদের মাঝে এ ধরণের প্রচার চালানোর জন্য কাজ করেছে। এ জন্য তারা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
পত্রিকাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সনাতন ধর্ম স্বয়ং সেবক সংঘ নামের সংগঠনটির পঞ্চাশতম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ইয়াংগুনের ন্যাশনাল থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের ‘স্টেট পিচ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সচিব লে. জেনেরেল থিন উ, মিয়ানমারের সেই সময়ের বাণিজ্যমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী, তথ্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ কারণে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, আরএসএস এই সংগঠনটি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
পত্রিকাটি আরো লিখেছে, শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ সংগঠন বডু বালা সেনা (বিবিএস) আরএসএসের মিয়ানমারের শাখা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের সময়ও তারাও সেখানে অবস্থান করেছে। আর এই পুরো বিষয়টি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজিপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দেখভাল করেছেন।
মাছুম বিল্লাহ : আমাদের সময়.কম
মাছুম বিল্লাহ : আমাদের সময়.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ: