বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ে উপজাতি জঙ্গিদের চাঁদাবাজি বন্ধ হবে কি?

পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয়। পুলিশকে বলেও কোনো লাভ হয় না।  উপজাতিদেরও বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও সরকারকে তাদের আয় কর দিতে হয় না। কিন্তু সরকারি ট্যাক্স থেকে তারা মুক্তি পেলেও কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ট্যাক্সের আদলে চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়ের জনগণ।  ‘এখানে তিনটি গ্রুপ চাঁদা সংগ্রহ করে। জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ। বাস প্রতি বছরে জেএসএসকে (দুই গ্রুপ) ৫ হাজার টাকা করে এবং ইউপিডিএফকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। ট্রাকপ্রতি তিন গ্রুপকে ৬ হাজার টাকা করে এবং চাঁদের গাড়ি তিন হাজার, দুই হাজার ও দেড় হাজার টাকা হারে, এভাবে প্রতি সেক্টরে এমনকি ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীকেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র লোকেরা বাজারে আনারস, কাঁঠাল আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল বিক্রি করে। সেসব থেকেও চাঁদা দিতে হচ্ছে তাদের। একটা কাঁঠালের ওপর তিনটা গ্রুপকে ৫ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। প্রতিটি কলার ছড়িতে দিতে হয় ৫ টাকা করে। এমন কোনো আইটেম নাই যেখানে চাঁদা দিতে হয় না।’

তিন পার্বত্য জেলায় জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ ধার্যকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই শুরু হয় অপহরণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, যানবাহন। নাকের ডগায় বসে অনেকটা ফ্রি-স্টাইলে এই চাঁদাবাজি চললেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। যারা ব্যবস্থা নিবেন সেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বেতনের ১০-১৫ শতাংশ চাঁদা দিতে হয় তিনটি গ্রুপকে।

প্রতিদিনই পার্বত্য অঞ্চল থেকে উপজাতি সশস্ত্র গ্রুপগুলো এক থেকে দেড় কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছে। বছর শেষে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি। চাঁদা আদায়ে নিয়োজিত রয়েছে জেএসএস ও ইউপিডিএফের পাঁচ হাজার সশস্ত্র প্রশিক্ষিত কর্মী। আদায়কৃত চাদার টাকা দিয়েই দলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, রেশন, অবসরকালীন ভাতা, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো চাঁদার এ অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বাঙালি বিদ্বেষী প্রচারণা ও তাদের অস্ত্র ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার কাজ করে থাকে বলেও জানা গেছে।

পার্শ্ববর্তী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে গোপনে যোগাযোগের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও অপহরণের পর মুক্তিপণের অর্থ দিয়ে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে তাদের অস্ত্রভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। স্থানীয়রা ছাড়াও পর্যটক, টোকেন ছাড়া ব্যবসায়ী, ব্যবসা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অপহরণ করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।

কি করনীয়?
১. সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে, সেনানিবাস বাড়াতে হবে
২. বিজিবি এর চেক পোষ্ট বাড়াতে হবে
৩. র‍্যাব ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে
৪. অরক্ষিত সীমান্ত দ্রুত নজরদারীর আওতায় আনতে হবে
৫. আইন শৃংখলা বাহীনিকে কঠোর হওয়ার সুযোগ দিতে হবে, কোন বিধি নিষেধ আরোপ করা যাবেনা
৬. দেশীয় দালাল গোষ্ঠিদের দমন করতে হবে
৭. বিদেশী দালালদের কঠোর জবাব দিতে হবে। কারন খোদ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে ভুমির মালিক আদিবাসীদের নুন্যতম কোন অধিকার নাই। এমনকি তারা জাতি সঙ্ঘের ঘোষণা পত্রেও স্বাক্ষর করেনি। 
৮. চিরুনী অভিযান চালিয়ে এদের খতম করে দিতে হবে
৯. সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারকে কোন কিছুতেই নমনীয় হওয়া যাবেনা। ভিতর –বাহির কোন চাপের কাছেই নতি স্বীকার করা যাবেনা। এই দেশ আমাদের। আমরা পাহাড়ি বাঙ্গালী এসকল সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে রেহাই পেয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।

লেখক: Jessi Chakma


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]