জেএসএস (সন্তু) সম্পদ প্রসঙ্গে একটি সূত্র জানায়, চাঁদাবাজির মাধ্যমে শুধু জেএসএস বার্ষিক আয় ৪০০ কোটি টাকা। এ টাকা তারা অস্ত্র ক্রয়সহ বিভিন্ন কাজে ব্যয় করে থাকে। কিন্তু এর বাইরে পার্টির নেতৃবৃন্দ এই অর্থ লুটপাট করে নিজেরা সম্পদের মালিক হয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। জেএসএস তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করে না। তবে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে বা তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকে। কুরুণালংকার ভিক্ষুর খুঁটির জোরের সন্ত্রাসী গ্রুপ জেএসএস এর দু’টি গঠনতন্ত্র রয়েছে। একটি গঠনতন্ত্র তারা জনগণ ও কর্মীদের মাঝে প্রকাশ করে। অন্য গঠনতন্ত্রটি পার্টির ৮/১০ জন সিনিয়র নেতা ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পায় না। প্রকাশ্যে যাই বলুক, প্রকৃতপক্ষে সংগঠন পরিচালিত হয় ঐ গুপ্ত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। প্রয়োজন পড়লে জেএসএস তার নিজ কর্মীকেও মেরে ফেলতে দ্বিধাবোধ করে না।
আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মীরা তাদের সন্তানদের বিদেশে রেখে বিলাসবহুল জীবন যাপন করাচ্ছে। পড়াশোনা করাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। নিজেরা ব্যবহার করছে দামি গাড়িও বিলাসবহুল বাড়ি। নিজেরা উন্নতমানের খাবার খাচ্ছে এবং ভ্রমন করছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। আর তারা এসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে জোরপূর্বক উত্তোলিত চাঁদার টাকা থেকে।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা যারা মাঠ পর্যায়ে এসব চাঁদার টাকা তুলছে তারা প্রচন্ড মানবেতর জীবনযাপন করছে৷ তারা নিজের জীবন বিপন্ন করে এসব চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে। আর এসব অবৈধ কাজে লিপ্ত মাঠপর্যায়ের সন্ত্রাসীরা অবিবাহিত হলে মাসে দুইশো থেকে তিনশো টাকা এবং বিবাহিত হলে পঁচিশশো হইতে তিন হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে। অাঞ্চলিক দলের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় তারা এসব অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছে। আর তাদের এসব কর্মকান্ডের কারণে চরমভাবে অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালী জনগণ৷ ইউপিডিএফ ও জেএসএস বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জাতি রক্ষার নাম দিয়ে সাধারন পাহাড়িদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে ভাল মানুষ সেজে তাদের থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে সমাজে নিজেরা প্রভাব বিস্তার করছে। প্রতিবাদ করলে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে, আঞ্চলিক দলের নাম দিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা সাধারন নিরীহ পাহাড়িদেরকে মারপিট, হত্যা,অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, হুমকি প্রদান, মিটিং -মিছিল ও চাঁদাবাজি করছে। সাধারন অসহায় পাহাড়িরা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কাছে অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছে । সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি জনগন প্রচন্ড মানবেতর জীবন যাপন করছে, না পারছে বলতে,না পারছে সইতে৷ নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এবং সামাজিকভাবে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করেই চলেছে। চাঁদা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন নিত্য দিনের সাধারন ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মুরগি, শুকর, পাঠা, যে কোন সবজি বিক্রি করলেও সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়। সকল পেশাজীবি ও উন্নয়ন কাজে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে কেউ পাহাড়ে নিরাপদ নয়।
ইউপিডিএফ ও জেএসএস মূলদলের চাঁদাবাজদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ অসহায়।
ইউপিডিএফ-জেএসএস এর চাঁদাবাজির টাকার একটি অংশ কুরুণালংকার ভিক্ষু পাচ্ছেন। সেইজন্যই তার গলার স্বর বেড়ে গেছে।
আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীরা বড় বড় কথা বলে আবার পাহাড়ের সকল সুযোগ সুবিধা নিজেরাই ভোগ করে। এই অবস্থা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। সবদিকেই একটা দাবি কুরুণালংকার ভিক্ষুর মতো একজন সাম্প্রদায়িক বিনষ্টকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]