বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

বান্দরবানে সরকারী অফিসে শীর্ষ পদে নেই কোন মুসলিম কর্মকর্তা

বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলাকে নিয়ে একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরনার্থী আসা শুরু করলে সেই মহলটাকে খুব তৎপর মনে হচ্ছে। একটু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল বান্দরবান জেলার সরকারী অফিসে কর্মরত শীর্ষ পদে কার্যত কোন মুসলমান কর্মকর্তা নেই। বাকি দুই জেলাতে খোজ নিলে একই দৃশ্য দেখা যাবে আমি নিশ্চিত। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করছি। শতকরা ৯০ভাগ মুসলিম দেশে একটি জেলার শীর্ষ পদে সব উপজাতি আর হিন্দুদের একক আধিপত্ত কিভাবে থাকে! বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা নিয়ে দেশী বিদেশী একটি চক্র সব সময়ের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। সেই চক্রের সাথে ভারতের সরাসরি সম্পৃক্ততাও প্রমানিত। পার্বত্য এলাকা থেকে মুসলিম কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবে সরকারের দৃষ্টির আড়ালে কোন মহল কাজ করছে কিনা এটি খতিয়ে দেখা দরকার। আরো উদ্বেগের বিষয় হলো ২২ টি উচ্চপদের ভিতর ১৩ জন উপজাতি কর্মকর্তা! বাকিরা বাঙালী হিন্দু।

এর ফল ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত মসজিদ এবং মক্তবগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুঝতেই পারছেন সরকারের ভিতরে উপজাতি ও০ হিন্দুত্ববাদীরা কতটা শক্তিশালী! মসজিদ এবং মক্তবগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশের লিঙ্ক- https://goo.gl/4sELQm

বান্দরবান জেলার দায়িত্বে এখন যারা কর্মরত আছেন তাঁরা হলেন-
০১. জনাব হ্রা মাং- জেলা ও দায়রা জজ- উপজাতি বৌদ্ধ
০২. জনাব দিলীপ কুমার বনিক- জেলা প্রশাসক- হিন্দু
০৩. জনাব সঞ্জিত কুমার রায়- পুলিশ সুপার- হিন্দু
০৪. শম্পা রানী সাহা- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার- হিন্দু
০৫. জনাব সুকুমার দত্ত- অধ্যক্ষ, বান্দরবান কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ- হিন্দু
০৬. জনাব প্রদীপ বড়ুয়া- অধ্যক্ষ, বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজ- হিন্দু
০৭. জনাব লেঃ কর্নেল দিলীপ কুমার রায়- অধ্যক্ষ, ক্যান্টমেন্ট পাবলিক- হিন্দু
০৮. জনাব অং সুই প্রু মারমা- জেলা সিভিল সার্জন- উপজাতি বৌদ্ধ
০৯. জনাব চিং হ্লা মং মারমা- নির্বাহী প্রকৌশলী- উপজাতি বৌদ্ধ
১০. জনাব মোহন চাকমা- জেলা সমবায় অফিসার- উপজাতি বৌদ্ধ
১১. জনাব বিপুল কৃষ্ণ দাস- ডিএফও- হিন্দু
১২. জনাব আনন্দ কিশোর সাহা- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা- হিন্দু
১৩. জনাব জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা- জেলা সমবায় কর্মকর্তা- উপজাতি বৌদ্ধ
১৪. জনাব কিরণ শংকর বিশ্বাস- উপ পরিচালক, জেলা সমবায় অফিস- হিন্দু
১৫. জনাব ডাঃ উখ্যে উউন- উপ- পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা- উপজাতি বৌদ্ধ
১৬. জনাব হরি শংকর দাস- জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা- হিন্দু
১৭. জনাব উ চিং মং- প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন- উপজাতি বৌদ্ধ
১৮. জনাব জুরি মং- জনসংযোগ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন- উপজাতি বৌদ্ধ
১৯. জনাব উ সা জায় মারমা- হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা- উপজাতি বৌদ্ধ
২০. জনাব মংনুচিং- পরিচালক, নৃ-গোষ্ঠী ইন্সটিটিউট- উপজাতি বৌদ্ধ
২১. জনাব খিন ওয়ান নু- লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার- উপজাতি বৌদ্ধ
২২. জনাব রবীন্দ্র চাকমা- বোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার- উপজাতি বৌদ্ধ

সরকার ও দেশবাসীকে সচেতন হবার আহ্বান।

কমরেড মাহমুদ


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস



[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]