সন্ত্রাস দমন ও এলাকাবাসীর জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চেতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে হাই কোর্টে রিট। কমান্ডার কাজল চাকমা ও ডেনা চাকমার নেতৃত্বে ১৮৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সার্বক্ষনিক অবস্থান। বান্দরবানের লামার দূর্ঘম এলাকাগুলোতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনে সরকারের নির্দেশা চেয়ে হাউকোর্টে রীট করেছেন মকবুল আহমদ নামক এক আইনজীবি। লামার সরই এলাকাসহ উপজেলার দূর্ঘম এলাকাগুলোতে শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের দমন ও স্থানীয় জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়েছে বলে মামলার বাদী মকবুল আহমেদ জানান। এর আগে লামার ফাঁসিয়াখালীর গয়ালমারায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে প্রাধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন পালন করেছেন ওই এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ।
জানাগেছে, লামা উপজেলার গয়ালমারা, লেমুপালং ও পোপা খালের আগা পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিরাপদ অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ী কয়েকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসব এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা বাদায়, হত্যা, গুম, অপহরণসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগন। থমকে দাঁড়িযেছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড।
সরকারি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জানাগেছে, লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান গয়ালমারা এলাকা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ৫২নং পিলার সংলগ্ন কামির ছড়া চাকপাড়া ও লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি এবং অনিরশিয়া এলাকায় জেএসএস পরিচয়দানকারী কমান্ডার কাজল চাকমা ও ডেনা চাকমার নেতৃত্বে ১৮৫ জন সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসী সার্বক্ষনিক অবস্থান করছে। তারা সেখানে নিরাপদ প্রশিক্ষণ ঘাঁটি হিসাবে এলাকাটিকে তৈরি করেছে।
লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় গয়ালমারা এলাকাটিকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা নিরাপদ আস্তানা হিসাবে ব্যবহার করছে। সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের জন্য গয়ালমারায় তৈরি করা হয়েছে একাধিক প্রশিক্ষণ শেড। ক্ষেত্র বিশেষ তারা আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে পাইনছড়ি সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করে। ফাঁসিয়াখালির গয়ালমারা এলাকা থেকে কিছুদিন পূর্বে এক বাঙ্গালি যুবতীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে উপজাতি শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ওই এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের মুখে জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে বলে জানান ২৮৫নং সাঙ্গু মৌজার রুবেল ইসলাম, আব্দুর রহিম, নুরুল হুদা, নজরুল ইসলাম ও মানিক মিয়া।
পিএইচপি রাঙ্গাঝিরি রাবার বাগান ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েক শত রাবার শ্রমিককে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা বাগান থেকে নামিয়ে দিয়েছে। নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে না পারায় রাবার বাগানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বাগান মালিকদের হুমকি দিয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ বাড়ি ঘরে চাল-ডাল, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল কিছুই রাখতে পারে না। সন্ত্রাসীরা শত শত একর রাবার বাগানের উৎপাদন বর্তমানে বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি সম্পর্কে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসাবে তথ্য সরবরাহ করছে পরিচিত কিছু লোক। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষনিক এ্যাকশনে যেতে পারছেন না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার জানান, গয়ালমারা এলাকার গভীর অরণ্যে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিনত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসার খবর পেতেই সটকে পড়ে এসব সন্ত্রাসীরা। তবে স্থানীয় কেউ সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছে শুনলেই তার উপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের এ্যাকশন। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা সন্ত্রাসীদের অবস্থান সম্পর্কে।
লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, পোপা খালের আগার দুর্গম এলাকাগুলো পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা। কিছুদিন পূর্বে পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পোপা খালের আগায় নিরীহ বাঙ্গালী কাঠুরিয়াদের নিমর্ম ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। উপজেলা আইনশৃঙ্কলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার বলেছি। ওখানে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। না হয় মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় তাকবে না। একই কথা বলেন, রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা ।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াইচিং মারমা বলেন, উপজেলার কোথাও এখন আর ঠিকাদাররা কাজ করতে যান না। কাজের মূল্য যা, তার চেয়ে ডাবল টাকা দিতে হয় চাঁদা হিসেবে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, দুর্গম এলাকায় পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থান, চাঁদা বাজিসহ নিরীহ লোকজনকে নির্যাতনের বিষয়টি উপরে জানানো হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে গিয়ে এসব দমন সম্ভভ নয়। কারণ পুলিশ পৌছার আগেই খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশকে খবর দেয়ার অপরাধে পওে ওই এরাকার লোকজনের উপর আবার নির্যাতন শুরু হয়।
লেখক : এস.এম ইসমাইল হাসান, বান্দরবান
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]