বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ে না খেয়ে মরছে বাঙ্গালী দম্পতিরা

জুরাইছড়ির ২৮৬ বাঙ্গালী পরিবারকে সমতলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হুমকি শান্তিবাহিনীর। ৩২ পরিবার বাস্তুহারা।পার্বত্য খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বান্দরবন জেলার অনন্য উপজেলার বাঙ্গালীরা মোটামুটি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াই করে কোন রকমে মানবেতর বেঁচে অাছেন। অার রাঙ্গামাটি জুরাইছড়ি উপজেলার বাঙ্গালীরা তাদের শেষ সম্বল ঘরের ভিটা তাও অাজ উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়ে বাস্তুহারা হওয়ার সময়ের ব্যপারের অপেক্ষায় অাছেন। এই এলাকার বাঙ্গালী যুবকেরা কখনো ভালো দামি জামাকাপড় পড়ে রাস্তাঘাটে বাহির হতে পারেনা শান্তিবাহিনীর ভয়ে। যুবতি মেয়েদের ঘরে এসে মা বাবা অার ভাইয়ের সামনে এসে ধর্ষণ করে যান উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এই খানে বাঙ্গালী পরিবারের মূখে এক বেলা মুরগীর মাংস জুড়ে না? এই খানে বাঙ্গালী নারী পুরুষ দম্পতি না খেয়ে মরছেন।
মো বাসির অালী (৫৫) স্ত্রী অামেনা (৫০)- মোঃ কাশেম ৬০, স্ত্রী জোৎসনা বানু (৫৩) ১১/০৩/২০১৫, ২৬/ ২/২০১৬, ১৬/৫/২০১৬, ০৯/০৭/২০১৬ উল্লেখিত তারিখে অনাহারে তারা মৃত্যুবরণ করেন। অত্র এলাকার কিছু বাঙ্গালী অাছেন খুব ভালো অবস্থায় তারা সন্ত্রাসীদের চামচামি ও দালালি চাঁদা টাকা অাদায় সহ নিরীহ বাঙ্গালিদের নির্যাতন করে উপজাতিদের দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন করেন তাই তারা খুব সুখে অারাম বিলাসী ভাবে জীবন যাপন করছেন। জুরাইছড়ি বাঙ্গালীদের সরকার বন্দোবস্ত দেওয়া তিন একর জায়গা হচ্ছে পাহাড় এই খানে অাবাদ করতে হলে পাহাড় কেটে পরিষ্কার করে পাহাড়ে ঢালুতে তাও অাবার ব্যয়বহল। এই খানে শুধু মাত্র ফলমূল ও গাছপালা ছাড়া বিকল্প কিছু করা যায় না। অাবাদী চাষ করার ব্যবস্থা নেই কারণ সমতল জায়গা বাঙ্গালীদের নেয় কোন রকমে পাহাড় কেটে দুই চালা টেনের ঘর বেধে পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবন যাপন করেন। বাঙ্গালী ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজ কি জিনিস বুঝেন না? কারণ তাদের পরিবার তাদের কখনো বিদ্যালয়ে পাঠান না? কারণ তাদের অর্থর যে অভাব তিন বেলা ঠিক ভাবে ভাত জুড়ে না তাদের কপালে? সরকারী সাহায্য সহযোগিতা বাঙ্গালীরা কখনো পাইনা কারণ এই খানে জনপ্রতিনিধি হচ্ছে উপজাতি সম্প্রদায়ের তাই। তাছাড়া এই খানে সরকার ১৯৯৭ সালে বিতর্কিত সংবিধান বিরোধী ৭২ টি পার্বত্য শান্তিচুক্তি সাক্ষর করেছেন পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তিবাহিনীরর সাথে সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এই খানের সকল ক্ষেত্রে উপজাতিরা সুযোগ সুবিধা বেশি পাবেন। এলাকার চৌকিদার থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত উপজাতি সম্প্রদায়ের লোক।

অাতংকের নাম জুরাইছড়ি পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার ২৫ টি উপজেলার সবচেয়ে নির্যাতিত জনবসতি বসবাস করেন রাঙ্গামাটি জেলার জুরাইছড়ি উপজেলায়। অত্র উপজেলায় বাঙ্গালীরা চোখ তুলে কথা বলতে পারেনা উপজাতি সম্প্রদায়ের সামনে এই খানে বাঙ্গালীদের কোন স্বাধীনতা নেই। ঘর থেকে বাহির হতে হলে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও সাধারণ উপজাতিদের নমস্কার দিয়ে বাহির হতে হয়। বাঙ্গালী দের নিজ বসতভিটা সহ দক্ষলে থাকা তিন একর দক্ষল করে নিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। বর্তমান বাঙ্গালী ৩২ টি পরিবার বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে জুরাইছড়ি উপজেলা। জুরাইছড়িতে প্রতিটি বাঙ্গালী পরিবার সস্ত্রাসীদের থেকে বাৎসরিক ও মাসিক টোকেন সংগ্রহ করে অত্র জুরাইছড়িতে বসবাস করতে হয়। এই খানে বাঙ্গালী শিক্ষিতর হার ২২% মাত্র অার উপজাতি শিক্ষিত ৮৩%।

পার্বত্য ভূমি কমিশন অাইন ২০১৬ পাশ হওয়ার পরে জুরাইছড়ির ২৮৬ টি বাঙ্গালী পরিবার কে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ জেএসএস (শান্তিবাহিনী) হুমকি দিয়ে গেছেন অবিলম্বে অত্র এলাকা ছেড়ে সমতলে চলে যাওয়ার জন্য। উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও উপজাতি জনগোষ্ঠী জুরাইছড়ির ২৮৬ বাঙ্গালী পরিবারের জায়গা তাদের বলে দাবি করেন। উপজাতিরা দাবি করেন ২৮৬ টি পরিবারের দক্ষলিয় ভূমির মূল মালিক অামরা- উপজাতিদের ভূমির মালিক বলে দাবি করলে অামি তাদের প্রশ্ন করি অাপনাদের মালিকানা কাজ পত্র অাছে কিনা জবাবে তারা বলেন অামাদের কাগজপত্র নেই, তবে পূর্বে এই ভূমি অামাদের দক্ষলে ছিলো। তারা বলেন ১৯৭৯ সালে জেলা প্রশাসক ডিসি বাঙ্গালীদের অামাদের দক্ষলে থাকা খাস ভূমি ২৮৬ টি বাঙ্গালী পরিবার কে বন্দোবস্ত দেন। বর্তমান পার্বত্য ভূমি কমিশন ২০১৬ অাইন পাশ হয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অত্র ভূমি অামরা পাবো। তাই অাগে থেকে বাঙ্গালি পরিবার গুলোকে সর্তক করে দিচ্ছি তারা জেনো সমতল ভূমি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি অাগে থেকে নিয়ে রাখেন।

তাহলে এইবার বুঝুন কাজ পত্র উপজাতিদের থেকে নেই কিন্তু তারা পূর্বে দখলে ছিলো এরি সুত্র ধরে তারা ২৮৬ টি বাঙ্গালী পরিবারে নামে জেলা প্রশাসক ডিসি বন্দোবস্তি দেওয়া ভূমি তাদের বলে দাবি করেন। খাস ভূমির মালিক বাংলাদেশ সরকার অার সরকার সরকারি জায়গা তার নাগরিক দের বন্দোবস্ত দিয়ে থাকতে দিয়েছেন অার এখন পার্বত্য বিতর্কিত সংবিধান পরিপন্থী ভূমি কমিশন অাইন ২০১৬ পাশ করে উপজাতিরা কাগজ পত্র ছাড়া ভূমির দাবি করেন। 

সোহেল রিগান জুরাইছড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর স্থান থেকে ফিরে এসে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]