বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮

পাহাড়ে এনজিওগুলো উপজাতিদের গনহারে খৃষ্টান বানাচ্ছে

পার্বত্য জনগণের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিদেশী এনজিওগুলো। স্বাস্থ্যসেবা ও মানবসেবার নাম করে প্রায় এক দশক ধরে এসব এনজিও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাদের একটাই লক্ষ্য অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করা। এ জন্য তারা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাকে বেছে নিয়েছে।তিন পার্বত্য জেলায় এক সময় বৌদ্ধ, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকলেও বর্তমানে খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরখানেক আগে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন তিন পার্বত্য জেলায় এনজিগুলোর কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন আকারে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে। তথ্য মতে, খ্রিষ্টান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ (সিসিডিবি), অ্যাডভানটেজ ক্রুশ অব বাংলাদেশ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, গ্রিন হিল, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস), ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান ক্রুশ, শান্তিরানী ক্যাথলিক চার্চ, জাইনপাড়া আশ্রম, তৈদান, আশার আলো, মহামনি শিশু সদন, কৈনানিয়া, তৈমু প্রভৃতি এনজিওর বিরুদ্ধে তিন পার্বত্য জেলায় খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এনজিওগুলো নানা প্রলোভনে পড়ে দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে পাহাড়ি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। এসব এনজিও প্রতি সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল বিতরণের পাশাপাশি মাসিক অর্থও সাহায্য করছে খ্রিষ্টান হওয়ার শর্তে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ত্রিপুরা উপজাতি থেকে ৩ শতাংশ, চাকমা উপজাতি থেকে ৫ শতাংশ মারমা উপজাতি থেকে ২ শতাংশ ও সাঁওতাল উপজাতি থেকে ৩ শতাংশ খ্রিষ্টান হয়েছে। এ ছাড়াও ইউএডিপি ও ইউনিসেফের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত পাড়া কেন্দ্র এলাকার শিশুদের মধ্যে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পাড়া কেন্দ্রের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রত্যেক দিন তাদের মধ্যে ইউনিসেফ সরবরাহকৃত হাই এনার্জি বিস্কুট বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন রেজিস্টার্ড ও নন রেজিস্টার্ড এনজিওর মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে মূলত এসব এনজিও খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও প্রতিনিয়ত উপজাতীয়দের বাঙালিবিদ্বেষী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। কোনো কোনো এনজিও বেতনভুক লোক নিয়োগের মাধ্যমে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে সহজ সরল উপজাতীয়দের মধ্যে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

লামা উপজেলার গজালিয়া, শৌরই, রূপসীপাড়া ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতিদের দারিদ্র্যের সুযোগে কারিতাস, গ্রাউস, সিসিডিবি, হিউমেনিট্রেইন প্রভৃতি সংগঠন তাদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থ ঋণ দিয়ে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করে।উপজাতীয় লোকদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। অন্য দিকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বাড়ছে। খ্রিষ্টান মিশনারির তৎপরতাকে পরোক্ষভাবে সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ অর্থায়নে ‘পাড়া কেন্দ্র’। পাড়া কেন্দ্রে নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে ১০ শতাংশ বাঙালি। বাকি সবাই উপজাতি।

 muhammad .talha .dr


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]