পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ থাকছে না। ভবিষ্যতে হতে যাচ্ছে এটি বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন খৃষ্টান রাষ্ট্র। এই কথা, এমন লেখা পার্বত্য বিষয়ে গবেষক, লেখকরা বহুবার লিখেছেন, জানিয়েছেন আপনাদের। গোয়েন্দা রিপোর্ট এই সংঙ্কা বহুবার রাষ্ট্রকে অবহীত করেছে। কিন্তু, রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকগন এই গুরুত্ব্যপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেছে এমন দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি। ক্যাপশনে ব্যবহৃত ছবিটি ভালো করে প্রত্যক্ষ করুন। এখানে দুটি স্পর্ষকাতর বিষয় রয়েছে, ১টি হলো বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডের উপর ক্রস চিহ্ন, আরেকটি হলো সড়কের নামকরণ। প্রথম যুক্তিতে যদি আসি তবে, এটা পশ্চিমা দাতা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হলো, এটা কি ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? এখানে কি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করতে পারবে না? বাস্তবতা হলো, এটা কোন খৃষ্টান ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হলেও সেই ধাচের হতে ব্যতিক্রমও নয়। পাহাড়ে সাধারন মানুষদের সুকৌশলে খৃষ্টান রীতিতে দূর্বল করে ধর্ম মাইগ্রেট করার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত। অর্থাৎ খৃষ্টান রাষ্ট্রের জন্য নির্মিত ও পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি। পাঠদান পদ্ধতি অনুযায়ী এখানে যে ছাত্র পড়ালেখা করবে সে ক্রসের প্রতি, খৃষ্টান ধর্মের প্রতি দুর্বল হতে বাধ্য।
দ্বিতীয়তে সড়কের নাম সম্পর্কে যদি বলি তবে, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই স্থানের নামকরণকৃত খৃষ্টান শব্দে করে এই এলাকাকে খৃষ্টান এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের একদশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের এই এলাকাটি এখন খৃষ্টান এলাকা। এভাবেই ক্রমে ক্রমে সম্পুর্ন পার্বত্য এলাকা খৃষ্টান নামে নামকরণ করা হবে।
এবার আসুন আরেকটি প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলি, বিষয়টা খেয়াল করবেন। রাঙ্গামাটিতে সরকার মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা করেছে উপজাতীয় কতিপয় প্রভাবশালী নেতারা। তাদের বিরোধীতায় যে সমস্ত যুক্তি ছিলো সেগুলো হতে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো, পাহাড়ে ভূমি বে-দখল, উপজাতীয় সংস্কৃতি দূষণ, পাহাড়ে ইসলামীকরণ। এবার পার্থক্য করুন . খৃষ্টান স্কুল এবং রাঙ্গামাটির দুটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। কোনটা পাহাড়ে ক্ষতিকর? পশ্চিমা দাতা সংস্থা উপজাতীয় নেতাদের কাছে পূজনীয়। বাংলাদেশ সরকার পাহাড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়লে ভূমি বে-দখল হয় আর পশ্চিমা দাতা সংস্থা গড়লে কেন হয়না? দেশীয় লোকদের সাথে মিশলে উপজাতীয় সংস্কৃতি দূষিত হলেও পশ্চিমা সংস্কৃতির স্রোতে ভেসে যাওয়ার পরেও কেন উপজাতীয় নেতারা নীরব? পাহাড়ে ইসলামীকর হচ্ছে, নাকি খৃষ্টানীকরণ হচ্ছে?
সুতরাং এখনে বুঝতে বাকী নেই যে শন্তু লারমা, দেবাসীষ রায়রা কাদের কেনা গোলাম। আপসোস পাহাড়ে বৌদ্ধ ধর্মের নেতারা শন্তু লারমাদের ভয়ে এখনো নীরব। আরেকটি দৃষ্টান্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি, যারা বলছেন পাহাড়কে ইসলামীকরণ করা হচ্ছে তাদের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য। খেয়াল করুন, রাঙ্গামাটি জেলার প্রসিদ্ধতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ। সৌদি ট্রাস্ট মীর কাসেম আলীর মাধ্যমে দূর্গম পাহাড়ে জনসেবার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দুটি স্থাপন করেছিলো। যেই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সকল ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা। প্রশ্ন হলো, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে পাহাড়ে ইসলামীকরণ করা হয়েছে/হচ্ছে এমন প্রশ্ন কি একবারের জন্যেও উঠেছে? নাকি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে হিন্দু, চাকমা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ ধর্মের প্রতি আস্থাহীন হয়েছে? মুসলিম ট্রাস্টের অর্থায়নে গড়া প্রতিষ্ঠান, অথচ অন্য ধর্মের ছাত্রছাত্রীদের তার নিজ ধর্মের প্রতি আস্থাশীল রেখেই দুই যুগের অধিক সময় ধরে পাহাড়ে সেবা দিয়ে আসছে। এমনকি এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বাইরে এবং ভেতরে এমন কোন চিহ্ন স্থাপিত হয়নি যা দেখে বোঝা যায় যে রাবেতা ইসলামী অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। দেশের আর দশটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই পরিচালিত হচ্ছে রাবেতা। কিন্তু, খৃষ্টান দাতা সংস্থার অর্থায়নে পাহাড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কেন? সুতরাং সহজেই বোঝা যায় কারা পাহাড়ে ধর্মীয় চক্রান্ত করছে। এই বিষয়টা নিয়ে রাষ্ট্রের সরকার শুধু নয়, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের চিন্তা করা জরুরী।
লেখকঃ আবু উবাইদা
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]