আমার এক বন্ধু পাহাড়ে ব্যবসা করেন। ইদানিং পাহাড়ের পরিস্থিতি তুলনামূলক খারাপ তাই সে পাহাড়ে ব্যবসার কাজে আর যান না। বর্তমানে তিনি পাহাড়ে তার সমস্ত ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে। তার মুখে গত বছরের একটি বাস্তব কাহিনী আমার লেখনীর মাধ্যমে শুনুন, বন্ধুটি ব্যবসার তাগিদে পাহাড়ে নিত্য যাতায়াত করতো। সেই সুবাদে প্রায়ই তাকে উপজাতীয় বাড়িতে রাত্রী যাপন করতে হতো। বন্ধুটি নিয়মিত যে বাড়িতে থাকতো সেই বাড়িতে সুন্দরী একটি মেয়ে ছিলো। মেয়েটি পরিবারের নিয়মিত সদস্য নয়। পড়ালেখার জন্য সে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করতো। সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার। উপজাতি মেয়েটি ছুটি পেয়ে বাবা-মাকে দেখার উদ্দেশ্যে সন্ধায় বাড়িতে এসে পৌছে। বাড়ির মালিক আমার বন্ধুটিকে সেদিন রাতে আর তার বাড়িতে থাকতে দিলো না। তার থাকার ব্যবস্থা হলো পাশের অন্য এক বাড়িতে। কারন, যে বাড়িতে উপজাতি অবিবাহিত নারী আছে সেই বাড়িতে রাতে কোন বাঙ্গালী ব্যবসায়ীর প্রবেশ উপজাতীয় সসস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন কর্তৃক নিষিদ্ধ। তাছাড়া টোকেন ছাড়া পাহাড়ে কোন ব্যবসায়ী প্রবেশ করতে পারেনা। এদিকে যে সমস্ত বাঙ্গালী ব্যবসায়ী পাহাড়ে রাতে অবস্থান করার সুযোগ পেতো তাদের উপজাতীয় আঞ্চলিক দলের কাছে তুলনামূলক বিশ্বস্থ ও পছন্দনীয় হওয়া বাঞ্চনীয়। বৃহৎ ব্যবসায়ী হওয়ায় আমার বন্ধুটি ছিলো সন্ত্রাসীদের অন্যতম পছন্দের ব্যক্তি।
উপজাতি মেয়েটি যখন সন্ধায় বাড়িতে আসছিলো তখন বন্ধুটি স্থানীয় উপজাতীয় চাঁদা কালেক্টরের সাথে পাড়ার দোকানে বসে ছিলো। কালেক্টর মেয়েটিকে খুব করে ফলো করতেছিলো। যেহতু বন্ধুটি সেই বাড়িতে রাতে থাকেন সেহতু বন্ধুটির প্রতিও কালেক্টরের দৃষ্টি ছিলো। স্বাভাবিক নিয়মে বন্ধুটি আচরণ প্রদর্শন করলো।
যাইহোক রাত হয়ে গেলো। বন্ধুটি রাতের খাবার খেয়ে পাশের বাড়িতে শুয়ে পড়লো। রাত যখন প্রায় ১ টা, তখন পাশের বাড়ির চিৎকারে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ঘুমের ঘোর কাটিয়ে বন্ধুটি উঠে বসলো এবং কোন বিপদ কিনা কান পেতে শুনতে লাগলো। এদিকে যে বাড়িতে তিনি অবস্থান করেছিলেন সে বাড়ির সবাই খুব নীরব হয়ে এক ঘরে বসে আছে। এভাবেই কেটে গেলো প্রায় ১ ঘন্টা। বন্ধুটি দেখলো সসস্ত্র কয়েকজন উপজাতীয় সন্ত্রাসী সেনা পোশাকে তার ঘরের কোন ঘেসে চলে যাচ্ছে। প্রখর চাদনী রাত ছিলো বলে তাদের সুস্পষ্টভাবে চেনা গেলো।
রাত শেষে সকাল হয়ে গেলো। বন্ধুটির রাতে আর ঘুমাতে পারলো না। সকাল হতেই বাহিরে বাড়ির পরিচিত উপজাতিদের দেখে সে বের হলো। তখনও বন্ধুটি অজানা ছিলো, রাতে কি হয়েছে? কিছুক্ষন পরে বন্ধুটি নিয়মিত যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ির মালিককে দেখতে পেলো। বিষন্ন চেহারার এই উপজাতিকে দেখে বন্ধুটি তার কাছে এগিয়ে গেলো। মন খারাপের কারন জানতে চাইলেই,,,লোকটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। অবশেষে জানা গেলো, রাতে যে চিৎকার শোনা গিয়েছিলো সেই চিৎকার করেছে গতকাল চট্টগ্রাম হতে আসা সেই উপজাতি মেয়েটি। রাতে একদল সসস্ত্র উপজাতীয় শকুন মেয়েটিকে থাবা দিয়েছিলো। সেই থাবাতেই মেয়েটি চিৎকার করেছিলো। বন্ধুটিকে মেয়েটির বাবা বললো "আমার মেয়ে বড় হওয়ার পর হতেই বাড়ির বাইরে থাকে। মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে চুরি করে বাড়িতে এসে আমাদের দেখে যায়। গতকাল ও বাড়িতে এসেছে এই সংবাদ কিভাবে যেন জানাজানি হয়েছে। পরিনামে আমি আর মেয়েটির সম্মান রক্ষা করতে পারলাম না। মেয়েটির চেহারা সুন্দর বলে ওদের দীর্ঘ দিনের টার্গেট ছিলো, যা গতকাল বাস্তবায়ন করেছে ওরা।"
এতো গেলো এক উপজাতীয় কলেজ পড়ুয়া সভ্য নারীর কাহিনী। বন্ধুটি জানালো, পাহাড়ে এমন শত শত উপজাতীয় নারী রয়েছে যারা নিত্য ধর্ষিত হচ্ছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক। কে করবে এই সন্ত্রাসীদের বিচার? ধর্ষক তারা, আবার বিচারকও তারা। যদি কোন পরিবার প্রতিবাদ করে তবে নেমে আসে সেই পরিবারে সন্ত্রাসীদের নির্মম অত্যাচার। সন্ত্রাসীদের এমন নির্মমতা মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া জীবন রক্ষায় ভিন্ন কোন উপায় পাহাড়ি সাধারন উপজাতিদের নেই। কোন মেয়ে যদি তাদের ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাক্য উচ্চারণ করে তবে তাকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়।" বন্ধুটির এই সমস্ত কথা শোনার পর আমার স্মৃতিতে আসলো রাঙ্গামাটির বিশাখা চাকমা, খাগড়াছড়ির ইতি চাকমার কথা। হয়তো এই দুই মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চেয়েছিলো। তাই সন্ত্রাসীরা তাদের হত্যা করেছিলো। এটা সত্যিকারার্থে পাহাড়ের নির্মম বাস্তবতা।
[বিঃ দ্রঃ নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে আমার বন্ধু এবং ভোক্তাভোগী পরিবারের নাম, এলাকার নাম গোপন করা হলো। ]
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]