প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাননি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। সন্তু লারমা এক সময় শান্তিবাহিনী নামের বাংলাদেশ বিরোধী একটি সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্বে দিয়ে পাহাড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। দাবী করা হয়ে থাকে, তার এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীসহ ত্রিশ হাজার সাধারণ নিরীহ পাহাড়ি-বাঙালী নিহত হয়েছে। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দীর্ঘ দুই দশক আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও বাংলাদেশের কোনো জাতীয় দিবস তিনি পালন করেন না। এ নিয়ে রাঙামাটিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলেও তিনি এতে ভ্রুক্ষেপ করেন না। প্রতিবছরের মতো এ বছরও সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতে ব্যাপক ভাবমর্যাদার সাথে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। সকাল থেকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন সংগঠন শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেও সন্তু লারমা মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিতে যাননি। এ নিয়ে সকাল থেকে রাঙামাটিবাসী সামাজিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। আবু উবায়দা নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রশ্ন করা হয়, ”পাহাড়ের তিন সার্কেল চীফ, শন্তু লারমা, প্রসীত খিসা কখন, কোথায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছে? আমরা জানতে চাই। পাহাড়ে এবং দেশে সুশিল ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত অগ্নী পুরুষের অভাব নেই। তারা কেন এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না?”
অন্যদিকে সোহেল রেগান নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রশ্ন করা হয়, ”মন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগকারী সন্তু লারমা কোন শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছেন জাতি জানতে চাই?” রাঙামাটির ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এসব পোস্টে বিপুল সংখ্যক কমেন্ট করেও তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
এ প্রেক্ষিতে পার্বত্যনিউজ বিষয়টির অনুসন্ধান করে জানতে পারে এ বছরও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিতে শহীদ মিনারে যাননি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে পার্বত্যনিউজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়েছে। তবে সন্তু লারমা শহীদ মিনারে যাননি।
এদিকে জেএসএস এর সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, জাতীয় প্রোগ্রাম হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছি। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, সন্তু লারমার স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও শহীদদের সম্মান না জানানো হচ্ছে রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখানোর মতো। এ বিষয়ে সরকারের নজর কাড়ার জন্য সংসদে একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় দিবসে সন্তু লারমা শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান না কেন?
এবারো মহান বিজয় দিবসে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। অন্য কোনো জাতীয় দিবসেও তিনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান না। কিন্তু সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি কেন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে জান না- সে প্রশ্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিসহ সকল স্তরের মানুষের মুখে মুখেই।
অনেকেই প্রশ্ন রেখে বলেন, সন্তু লারমা বাংলাদেশ সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন, সরকারের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন অথচ শহীদ বেদিতে ফুল দিতে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার যত সমস্যা! তিনি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেন অথচ তিনি নিজ এলাকার ভোটার নন। তাহলে কি তিনি এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না? নাকি বাংলাদেশের ভিতর আরেকটি দেশ প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছেন? যদি তিনি সেই পাঁয়তারা করেই থাকেন তাহলে সরকারের পক্ষ থেকেই বা তার জন্য এত সুযোগ সুবিধা কেন?
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দীন জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ। সন্তু লারমা এ অঞ্চলে বসবাস করেন। তিনি সরকারের আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এখন কেউ যদি শহীদ বেদিতে শহীদদের সন্মান না জানায়, দেশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা না জানায় তাহলে এ ধরনের মানুষ এদেশের নাগরিক কিনা সে প্রশ্ন তো উঠবেই।
আ’লীগের এ নেতা আরো জানান, তিনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হতেন, এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হতেন তাহলে অবশ্যই শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু জানান, সন্তু লারমা কেন শহীদ বেদিতে যান না, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান না সে প্রশ্ন সকলের মুখে মুখেই আজকাল উচ্চারিত হচ্ছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কেন অংশ নেন না- তিনি ছাড়া এর উত্তর কেউ দিতে পারবে না।
এ বিষয়ে জানতে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজিব চাকমার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]