বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

তিন বাঙ্গালী অপহরনের প্রতিবাদে পিবিসিবি‘র বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

২৪ ঘন্টা অতিক্রম করলেও সোমবার (১৬ এপ্রিল) অপহৃত মাটিরাঙ্গার তিন বাঙ্গালীর খোঁজ না পাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ (পিবিসিবি)‘এর মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখা। সমাবেশে বক্তারা এই অপহরনের সাথে পাহাড়ের স্বসস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে অভিযোগ করে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ৩ বাঙ্গালীকে জীবিত উদ্ধার করে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে ফিরিয়ে না দিলে পরবর্তীতে হরতাল ও অবরোধের মতো বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালীরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হলেও পার্বত্য এলাকায় উপজাতিয় সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজি,হত্যা,গুম,অগ্নিসংযোগ ও অপহরনের মতো অপরাধ ঘটানোর পরও তাদের যথাযথ বিচার না হওয়ায় বাঙ্গালীরা এক রকম পরাধীনতার মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছে।

ঘটনার সুত্রপাত সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, সোমবার ১৬ এপ্রিল দুপুর ১ টায় মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি এলাকায় গাছ কেনার উদ্দেশ্যে যান মাটিরাঙ্গা পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড নতুনপাড়ার বাসিন্দা মো: ছালে উদ্দিন (২৯) পিতা : খোরশেদ আলম ড্রাইভার, একই এলাকার মৃত-আবুল কাশেমের ছেলে ফার্নিচার দোকানদার ও কাঠ ব্যবসায়ী মহরম আলী (২৯), ও ৫নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মৃত মো: বেলায়েত এর ছেলে মো: বাহার ড্রাইভার (৩২) নামে মাটিরাঙ্গার তিন বাঙ্গালী। সেখানে গেলে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা উপজাতিয় স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে যায় তাদের। তারপর বিকাল ৩টার দিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে নতুন পাড়ার মোটরসাইকেল চালক আনোয়ারের কাছে ফোন করে মহরম আলী বলেছেন,সেখান থেকে পাঠানো বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানোর জন্যে। কথামতো আনোয়ার টাকা পাঠালে তা মাইসছড়ি থেকে ডাউনলোড না করে খাগড়াছড়ি থেকে কৌশলে ডাউনলোড করে নিয়ে যায় এক অপরিচিত চাকমা যুবক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও ঐ সন্ত্রাসী চক্রের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ছালে উদ্দিন ও মহরম আলীর ব্যবহৃত কালো রঙের প্লাটিনা নং চট্টমেট্রো-হ-১৪-৩৭৪৭। মোটরসাইকেলটিরও এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে আল্টিমেটামের বিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে সর্বাত্তক চেষ্টা করবেন বলে জানান। ততক্ষন পর্যন্ত সকলকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। বিক্ষোভ মিছিলে ও সমাবেশে খাগড়াছড়ি জেলার মুক্তিযোদ্ধা,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সহস্্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। এ সময় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এ ছাড়াও অপহৃতদের বিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। জিডি নং-৭১০-১৭/০৪/১৮ইং


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]