বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস বন্দুকযুদ্ধ, আতঙ্কে এলাকাছাড়ছেন গ্রামবাসী


রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট প্রসীত গ্রুপ (ইউপিডিএফ) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের মধ্যে (জেএসএস সংস্কার) বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আধাঘন্টা স্থায়ী এই বন্দুকযুদ্ধে উভয়পক্ষ কয়েক শত রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ইউপিডিএফ ও জেএসএস পরিচালিত ফেসবুক পেইজ ও আইডিতে উ্ভয়পক্ষ প্রতিপক্ষের একাধিক হতাহতের দাবী করলেও এখনো তার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ-জেএসএস (সংস্কার) মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। তাদের আশে পাশেই জেএসএস মুল দলের অবস্থান থাকলেও তারা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ও নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করছে। এ নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ এ আশঙ্কা এলাকাবাসীর। ইউপিডিএফ’র ভয়ে জনপ্রতিনিধিসহ জেএসএস এবং তাদের সমর্থিত বেশকয়েকটি পরিবার নিজেদের এলাকা থেকে পালিয়ে উপজেলা সদরে এসে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে অবস্থান নিয়েছে।


এদিকে ইউপিডিএফ’র ভয়ে বঙ্গলতলী ইউনিয়নের সদস্য বিবেকা রঞ্জন চাকমা, মহিলা সদস্য শেফালী চাকমা, রুপকারী ইউনিয়নের সদস্য বিজয় চাকমা পালিয়ে উপজেলা সদরে অবস্থান নিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বড় ঋষী চাকমাও ভয়ে রাঙামাটি শহরে অবস্থান করছেন।

এ ঘটনায় ওই উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মহিলা সদস্য শেফালী চাকমা জানান, আমি কোন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িতে নয়। অথচ সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমিও এলাকা ছেড়ে গেছি।

এ ব্যাপারে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোসি চাকমা জানান, বৈসাবি উৎসব উদযাপনের সময় ইউপিডিএফ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা উপজেলা সদর, রুপকারী ইউনিয়ন, বড়াদম, বঙ্গলতলী, করেঙ্গাতলী বারিবিন্দু ঘাট ও বাঘাইহাটের দুর্গম এলাকাগুলোতে জেএসএস সংস্কার গ্রুপের কর্মী-সমর্থকের উপর হানা দেয়, নির্যাতন চালায় এবং এলাকা ছাড়তে তাদের বাধ্য করা হয়। তাই অনেকে ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ইউপিডিএফ’র ভয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও পালিয়ে গেছেন।

জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানজীবি চাকমা বলেন, রাজনীতির মত পার্থক্য থাকতে পারে এজন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীদের এমন নির্যাতন কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। অভিলম্বে উদ্বাস্ত এসব পরিবারের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

তবে এ ঘটনায় ব্যাপারে জানতে উপজেলা ইউপিডিএফ শাখার নেতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, উপজেলা শহর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের পেট্রোল টিম শহরে অবস্থান নিয়েছে। তবে উপজেলা সদরের দূর্গম এলাকাগুলোতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের কাছে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে কেউ এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]