বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯

প্রাচীন কাল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল চট্টগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

দুনিয়াতে সাধারণত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে লোক কাহিনী প্রচার পায়। সম্ভবত চাকমারাই একমাত্র ব্যতিক্রম। যারা লোক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে, ইতিহাস পুনঃরচনা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের অনুপস্থিতি কি প্রমাণ করে সেটা সচেতন পাঠককুল সহজেই বিবেচনা করতে পারেন। নিচে ১৭৮৫, ১৮০৪, ১৮৫৭ এবং ১৯০৭ সালের ম্যাপ দেয়া হলো। দেখতে পারেন চট্টগ্রাম কোন দেশের অংশ ছিল? আর, পার্বত্য চট্টগ্রাম কখনো চট্টগ্রাম থেকে আলাদা হয়েছে কিনা? আরো দেখতে পারেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আশে পাশে কোন রাজত্বের উল্লেখ আছে? কোনো ইতিহাসের কোনো গ্রহনযোগ্য প্রমানাদিতেই চাকমা রাজ্যের উপস্থিতি, তাও আবার প্রাচীন বঙ্গ বা বাংলা সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ, যাযাবর শ্রেণীর কিছু উপজাতি তৎকালীন চট্টগ্রামের পূর্ব এবং উত্তর পূর্বের ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ে বাস করতো এমনটা অনেক লেখকের জবানীতে উঠে এসেছে। এরা জুম চাষের উপর নির্ভরশীল ছিল বলে, তারা স্বাভাবিকভাবেই এক স্থানে বেশিদিন থাকতো না। এই প্রকার জনগোষ্ঠীর নেতারা ছিল নরপতি। যাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল গোত্রের মানুষের উপরে, কোনো ভৌগোলিক এলাকার উপরে নয়।

বর্তমান কালের বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে প্রাচীন কালের বঙ্গ, সমতট, চন্দ্রদ্বীপ, গৌড়, পুন্ড্র, বরেন্দ্র, হরিকেল ইত্যাদি জনপদ পর্যন্ত ঐতিহাসিক প্রমাণাদি পাওয়া যায়। এই প্রমাণাদির মধ্যে লিখিত ইতিহাস যেমন রয়েছে, তেমনি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনও রয়েছে।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে ক্রমান্বয়ে উঠে আসে প্রতিবেশী আরাকান রাজ্য এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। ত্রিপুরা রাজত্বের বিস্তৃতি বোঝাতে খাগড়াছড়ির দিঘিনালার কিংবা কুমিল্লার ময়নামতির উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। আরাকান (রোসাঙ্গ) রাজ্য সভার কবি আলাওলের উদাহরণ ছাড়াও আরাকান রাজ্য বা বর্মীদের সাথে প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগের প্রচুর তথ্য ঐতিহাসিকগণ খুঁজে পেয়েছেন।
মোঘল আমলে চাকমা দলপতিদের কাছ থেকে খাজনা নেয়ার তথ্যও আছে। নেই শুধু তাদের রাজত্বের ইতিহাস আর প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন। যে মুদ্রা চট্টগ্রামের পূর্বে বা দক্ষিনে পাওয়া গেছে, বা যে রাজধানী রাঙ্গুনিয়া থেকে চন্দ্রঘোনা কিংবা রাঙামাটিতে স্থানান্তর করে হয়েছিল, সেগুলো যদি ৫ শতকের রাজত্বের নিদর্শন বলে চালানো হয়, তাহলে অবাক না হয়ে উপায় থাকে না।
যখন কেউ দাবী করে যে, তাদের পূর্ব পুরুষরা ৫ শতক ধরে রাজত্ব করেছে; এটা নিশ্চয় তাদেরই দায়িত্ব দেখানো যে, কোথায় রাজত্ব করেছে। আর যাই হোক, এটা যে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়, সেটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই।

দুনিয়াতে সাধারণত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে লোক কাহিনী প্রচার পায়। সম্ভবত চাকমারাই একমাত্র ব্যতিক্রম। যারা লোক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে, ইতিহাস পুনঃরচনা করছে।

লেখক: মেহের ইসলাম (কৃতজ্ঞতায়)


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]