মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

২০১৯ সালে খাগড়াছড়ি জেলা ছিলো ঘটনাবহুল


পাহাড়ের সালতামামি ২০১৯ প্রথম পর্ব : বছরের শুরুতেই ১৪ জানুয়ারি পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে মোহন কুমার ত্রিপুরা (৩৫) নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমনএন লারমা) এক নেতাকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল। এছাড়া মানিকছড়িতে ৩৮০ রাউন্ড ৬২ মিমি (চায়না) গুলির খোসা উদ্ধারের ঘটনার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়িতে। রামগড়ের দুই আলোচিত হত্যকাণ্ডের রায় ঘোষণা ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে গেল বছরের শেষ দিকে। বছরের শেষ দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানিকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি উত্তাল হয়ে উঠে।

গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য ঘরে ঘরে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার



কয়েকদিনের তীব্র শীতে অসহায় হয়ে পড়েছে পাহাড়ের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য ঘরে ঘরে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান। দিনব্যাপী আইন-শৃঙখলা রক্ষাসহ নানা দাফতরিক কাজ শেষে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে শীতার্ত মানুষের দরজায় দাঁড়াচ্ছেন কম্বল নিয়ে। পরম মমতায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবি মানুষের মাঝে। কুয়াশা ঢাকা কনকনে সীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সোয়া ৯টা পর্যন্ত গুইমারার দুর্গম পাহাড়ী পল্লী আমতলী পাড়া ও বড়পিলাকসহ আশেপাশের এলাকায় কম্বল বিতরণ করেন।

২০১৯ সালে বিএসএফের হাতে ৪৩ বাংলাদেশি নিহত



২০১৯ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৪৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৮ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ছিলো ১৪। এবছর তা বেড়ে ৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। আসক’র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, “নিহত ৪৩ বাংলাদেশির মধ্যে ৩৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকিদের নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।” এই প্রতিবেদনটি আজ (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। সংস্থাটির দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৪৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা কমে ৩১ এ দাঁড়ায়। ২০১৭ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ২৪ এ।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯

‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিতে ৬ এনজিওকে চিঠি

নামের আগে ও পরে ‘আদিবাসী’ শব্দ লেখা থাকলে তা বাদ দিতে ৬টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। নাম পরিবর্তন করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। ‘আদিবাসী’ নামে নিবন্ধনকৃত এনজিওগুলোর নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে’ শিরোনামে গত ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহকারি পরিচালক শীলু রায় স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩ (ক) অনুযায়ী এ দেশে আদিবাসী নামে কোনও জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়নি। তাছাড়া বৈশ্বিক আদিবাসী রাজনীতির অংশ হিসেবে এক শ্রেণির দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল আইএলও কনভেনশন ১৬৯-এ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার রয়েছে-যা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে যে অস্ত্র রয়েছে দেশের কোন কোন বাহিনীর কাছেও নেই


আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং অন্তঃকোন্দলকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চলছেই। পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ জিম্মি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাডারদের হাতে। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকা দিয়ে খুব সহজেই ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র আসছে। তাদের কাছে এমন সব অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অস্ত্র রয়েছে যা দেশের কোন কোন বাহিনীর কাছেও নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে এমন সংবাদ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক।পত্রিকাটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে ৪৪ কিলোমিটার পথ অরক্ষিত রয়েছে। বিশাল সীমান্ত এলাকা পাহারায় নেই কোন ‘পর্যবেক্ষণ পোস্ট’। এমনকি টহল দেয়ার জন্য পায়ে হাঁটা পথও নেই। দুর্গম জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিতে পারে না। তাই ওই সীমান্ত এলাকাটি থাকছে অরক্ষিত। কিছু সংখ্যক বর্ডার অভজারভেশন পোস্ট (বিওপি) থাকলেও সেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ফলে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবাধে অস্ত্র ও মাদক ঢুকছে পার্বত্য অঞ্চলে। টেকনাফে কড়াকড়ির পর মাদক ও অস্ত্র চেরাচালানে এ পথে ব্যবহার করছে মাদক চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীরা।

স্থায়ী শান্তির অন্বেষণে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন সময়ের দাবী

পার্বত্য চট্টগ্রামে যত সমস্যা আছে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা। সেই সমস্যা নিরসনে সরকার বেশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করেছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬’ সরকারের একান্ত আন্তরিকতারই ফসল। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী এই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০১৬’-কে স্বাগত জানালেও উক্ত অধ্যাদেশের বেশ কিছু ধারা নিয়ে তারা শঙ্কিত।কারণ, বাঙালিদের ধারণা এই কমিশন গঠন করে সরকার পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার সদিচ্ছা দেখালেও যাদের দাবির প্রেক্ষিতে এগুলো করা হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। এ বিষয়ে গত ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘‘১৯৮৭ সালে পার্বত্যাঞ্চলের এসব দেশদ্রোহীরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলো পুরো বাংলাদেশ দু‘টি ভাগে ভাগ করার। এক ভাগের নাম বাংলাদেশ- যার রাজধানী ঢাকা। আর এক ভাগের নাম হবে ‘জুম্মল্যান্ড’- যার রাজধানী রাংগামাটি। এই দু’টি অংশ মিলে একটি ফেডারেল সরকার হবে। তখন আমরা রাজি হইনি। কিন্তু বর্তমান এই ভূমি আইন বাস্তবায়নের ফলে দেশদ্রোহীদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে’।

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

সংবিধান ও আইনের বাইরে পার্বত্য ভূমি কমিশনের কোনও কাজ হবে না: চেয়ারম্যান


সংবিধান ও আইনের বাইরে ভূমি কমিশনে কোনও কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন পার্বত্য ভূমি বিরোধ কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে আমার কাছে দিয়েছে। আমি সেগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেবো। সরকার আইন করে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দিলে আমরা সেভাবে কাজ করবো।’ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ভূমি কমিশনের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বিরোধিতা আর ঘেরাওয়ের মধ্যেই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর রাঙামাটিতে শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা। সোমবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রশাসনের আশ্বাসে পার্বত্য ভূমি কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ ও ঘেরা কর্মসূচি তুলে নিয়েছে রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের। তাদের বিরোধিতার কারণেই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা শুরু হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কমিশনের সভা শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা সভাস্থলের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। প্রধান সড়কটি অবরুদ্ধ থাকায় রাঙামাটি শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই কমিশন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো এবং দেশের সংবিধান ও আইনের বাইরে কিছু না করার ঘোষণা দেয়। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে চলে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেয়।

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য ভূমি কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি : স্মারকলিপি পেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শুনানিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়।কমিশনের একপেশে শুনানি বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন ও প্রধানমস্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানির প্রতিবাদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়িস্থ ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।

বান্দরবানে পার্বত্য ভূমি কমিশন সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬” সংশোধনের দাবিতে জেলা প্রশাসক,বান্দরবান পার্বত্য জেলার মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপিড়িত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যায়ে নব গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক চিন্তা,চেতনাকে ধারন করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী যে সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ল্যান্ড কমিশন গঠনের লক্ষ্যে যে আইন প্রণয়ন করা হয় যা ২০১৬ সালে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়।

বাংলাদেশেও নাগরিক উৎখাত 'পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন'

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন -২০০১ এর সংশোধনী বিল ২০১৬ সালে পাস হয়। এই কমিশন নিখুঁত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী বিতারনের নীলনকশা তৈরী করেছে। বাস্তুহারা মানুষের আর্তনাদ কতটা কষ্টের তা ঐ ব্যাক্তি ছাড়া কেউ জানে না। একটা স্বাধীন দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাচতে চায়। কেউই চায়না তার অধিকার খর্ব হউক। সেটা ভারতের বির্তকিত নাগরিক আইন হউক কিংবা বাংলাদেশের পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন! পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের যে বীজ বোপণ হচ্ছে তা প্রতিহত করা সকল সচেতন নাগরিকের কর্তব্য! সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে! মূলত একটা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে এ কমিশন কাজ করছে ! পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন একটা সম্প্রদায়কে বেশি সুবিধা দিয়ে অন্য সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাঙালিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। যেখানে বৈষম্য আছে, সেখানে কখনো শান্তি আসতে পারে না। সংশোধিত আইনে ভূমি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য।

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯

সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ভূমি কমিশন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসুচী

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ ও সংশোধনী আইন ২০১৬ এর অধীনে শুনানী বন্ধ রাখা এবং অবিলম্বে আইন সংশোধনের দাবিতে সোমবার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। রবিবার বিকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে কাল সোমবার তিন পার্বত্য জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান এবং ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের কার্যালয় ও সভার স্থল ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ এর সংশোধিত আইন অনুযায়ী (২৩) ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে প্রথমবারের মত কমিশনের শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত পাহাড়, শঙ্কিত বাঙালীদের কাল কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা

কাল সোমবার ২৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের শুনানি শুরুর কর্মসূচী রয়েছে। ভূমি বিরোধ নিয়ে নিষ্পত্তি কমিশনের এ শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পাহাড়ে বাঙালীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনসমূহের অন্যতম পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি কমিশনের আগামীকালের শুনানি শুরুর বিষয়টি একপেশে বলে দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বর, বনরূপা ও বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে বাঙালীদের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ নবেম্বর রাঙ্গামাটির সার্কিট হাউসে এক বৈঠক অনুষ্ঠানের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল হক জানান দেন যে, আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর বিরোধ নিয়ে আবেদনসমূহের শুনানি শুরু হবে। বাঙালীদের পক্ষে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ৫ সদস্যের এ কমিশনে বাঙালীদের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। সুপ্রীমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এ বিচারপতি চেয়ারম্যান, সদস্য আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয়), জেলা পরিষদসমূহের চেয়ারম্যান (উপজাতীয়) সংশ্লিষ্ট তিন সার্কেলের তিন চীফ (উপজাতীয়)। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার বা তার প্রতিনিধি থাকবেন। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের অধিকার লাভ করবেন।

ভূমির অধিকার নিয়ে ফের উত্তপ্ত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম


গত ২৭ নভেম্বর রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের শুনানি করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙালিদের উপজাতীয় প্রাধান্যবিশিষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং কমিশন আইনের উপর আস্থা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি কমিশনে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত) এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তার প্রতিনিধি (সরকারের প্রতিনিধি, যিনি বাঙালি বা উপজাতীয় যে কেউ হতে পারেন)। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ লাভের অধিকারী। 

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের আগামী ২৩ ডিসেম্বরের শুনানি একপেশে দাবি করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পতি কমিশনের পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সংখানুপাতে নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানান। তারা বলেন, সংবিধান বিরোধী ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন জরিপের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈষ্যমমূলক আইন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইঞা, যুগ্ন আহবায়ক সাবেক মেয়র আলমগির কবির, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, আনিছুজ জামান ডালিম, নারী নেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ, আসাদুল্লাহ আসাদ, মাইন উদ্দিন।

পাহাড়ে ভূমি কমিশন আইন নিয়ে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, রাঙ্গামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। এই আইনে পাহাড় থেকে কোন বাঙ্গালি প্রতিনিধি না থাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষের সাথে আলোচনা না করে ভূমি কমিশন একপেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এভাবে কমিশনের কার্যক্রম চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা চত্ত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করে কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে এবং কমিশন আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত কমিশনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে, তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।

পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দারা ভূমিহীন হয়ে পড়বে : চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বান্দরবন


পার্বত্য ভূমি কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ ও বাঙালি প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বান্দরবানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এতে অংশ নেয়।মানবন্ধনে কাজী মুজিবুর রহমান বলেছেন- ভূমি কমিশন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে। বাঙালি প্রতিনিধিত্ব না থাকায় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আইনটি অসাংবিধানিক।

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানী : পাহাড়ীরা স্বাগত জানালেও উদ্বিগ্ন বাঙালীরা

 পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাই করে শুনানীর সিদ্ধান্তে পাহাড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ শুনানীকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে এ শুনানী শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পাহাড়ী নেতৃবৃন্দ এ শুনানীর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিরাজিত ভূমি সমস্যার সমাধানে আশাবাদী হলেও বাঙালি সম্প্রদায় বৈষম্যমূলক ভূমি কমিশনের আইনে শুনানী হলে তাদের বিশাল জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুনানীর প্রতিবাদে ২১ ডিসেম্বর(আজ) তিন পার্বত্য জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচী দিয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে প্রণীত হয় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। চুক্তির আলোকে হয়নি এমন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা ও কমিশন বর্জন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে সন্তু লারমার সাথে সুর মিলিয়ে সার্কেল চিফরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করলে কমিশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আইনটি বৈষ্যমমূলক ও সংবিধান বিরোধী এমন দাবী করে বাঙালি সংগঠনগুলোও হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচী দিয়ে আইনটি সংশোধনের দাবী জানিয়ে আসছে।

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন নিয়ে বাঙালিরা শঙ্কিত কেন?



গত ২৭ নভেম্বর রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের শুনানি করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙালিরা উপজাতীয় প্রাধান্য বিশিষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং কমিশন আইনের উপর আস্থা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি কমিশনে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি; এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত) এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তার প্রতিনিধি (সরকারের প্রতিনিধি, যিনি বাঙালি বা উপজাতীয় যে কেউ হতে পারেন)। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন।

পার্বত্য ভূমি কমিশন বাস্তবায়ন, পাহাড়ে যুদ্ধের দামামা

বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে কেনা এই বাংলাদেশ।সেই স্বাধীন বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। ভুমিকমিশন ব্যাবস্হা বর্তমানে দেশি-বিদেশি অনেক মহল কে ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে প্রতিনিয়ত দেশের কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের কল্পনা জল্পনার শেষ নাই যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তির সুবাতাসে অশান্তির পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে, এই কমিশন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে বলে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, ধারণা করা হচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য। পাশাপাশি এই কমিশন এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন হলে একটি মহল বিশেষ সুবিধা ভোগ করে অপর একটি জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে রসাতলে ডুবানো হচ্ছে, সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রায় ৯৩০০০ ভুমি মালিকের আবেদন জমা পড়েছে, এই কমিশনের প্রেক্ষিতে এখানে কমিশন বাস্তবায়িত হলে পুরো বাঙালি জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া এই কমিশন একটি প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কমিশন কেননা এই কমিশনে কোন বাঙালি প্রতিনিধি রাখা হয় নাই, এই কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না, এই কমিশন যার পক্ষে রায় দিবে তার কাছে যতই বৈধ কাগজপত্র থাকুক না কেন জমি তাকে ছেড়ে দিতেই হবে এবং এই কমিশনের দ্বারা কোন ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে ৫৬% বাঙালি জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় পাহাড়ে শান্তির বিনিময় বেজে উঠবে যুদ্ধের দামামা।

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি, শুক্রবার জেলা সদরে মতবিনিময়, শনিবার মানববন্ধন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে শুক্রবার জেলা সদরে মতবিনিময় সভা ও শনিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এক জরুরী সভায় তিন পার্বত্য জেলার সকল পর্যায়ের নেতা কর্মী, ছাত্র, জনতা, মিডিয়া কর্মী, পরিবহন শ্রমিক ও প্রশাসনের সকলকে এ আন্দোলনের কর্মসূচীতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের, বাঘাইছড়ির সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি কাজী মজিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, এসএম মাসুম রানা, এডভোকেট মোহাম্মদ আলম খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের আহ্বায়ক সালমা আহমেদ মৌ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের মো. আতাউর রহমান, মো. মিজানুর রহমান আখন্দ, মুক্তিযোদ্ধা অনাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) তারুমিয়া প্রমুখ।

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি সংশয়, উদ্বেগ-আতঙ্কে আন্দোলনে নামছে বাঙালি সংগঠনগুলো



পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে দায়ের করা অভিযোগের শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর শুরু হতে পারে। কিন্তু শুনানী শুরু হওয়ার আগেই এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বোধ করছে পার্বত্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা বাঙালি নেতারা। এ আইন ও কমিশনকে বৈষম্যমূলক ও বাঙালি বিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে ইতোমধ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। একইসাথে তারা পাহাড়ি-বাঙালি সমতা বিধান করে এই কমিশন গঠন, আপিল করার সুযোগসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ বৃহত্তর আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন তারা। পার্বত্যনিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, ছাত্র পরিষদ ও মহিলা পরিষদের নেতারা এসব দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।

দীঘিনালায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধের দাবীতে সভা



দীঘিনালায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধ এবং ভূমি কমিশনের কমিটি সংশোধনের দাবীতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের সোনা মিয়ার দোকান এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় হাসিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো. মাসুম রানা প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুনসুর আলম হীরা এবং আল আমিন হাওলাদার।আলোচনা সভায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধ করাসহ ভূমি কমিশনের কমিটিতে সমানুপাতে পাহাড়ি বাঙ্গালী নেতৃত্ব রাখার দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা ২০১৯ - এর খসড়া চূড়ান্ত

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যত দ্রুত সম্ভব পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের পক্ষে মত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। এর দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি: প্রেক্ষাপট ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ২২ বছর পূর্তি হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তি করে।

ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মানবন্ধন করবে নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সকাল সাড়ে ১০ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম, হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন মহীম, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ নজরুল ইসলঅম, হুমায়ুন কবির, মাসুদ পারবেজ, মোঃ সোলাইমান ও মোরশেদা আক্তার।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

রাঙ্গামাটিতে যৌথ অভিযোনে শিক্ষক বেশধারী এক স্কুল শিক্ষক অস্ত্রসহ আটক

কাউখালি উপজেলার দুর্গম পানছড়িতে অভিযান চালিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তুরুন কান্তি চাকমাকে অস্ত্র সহ আটক করছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার মধ্য রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঘিলাছড়ি আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে তরুন চাকমা কে আটক করা হয়। এই সময় তার কাছ থেকে একটি দেশি অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে পুলিশ। আটককৃত তরুন কান্তি চাকমা (৫০) ঘাগড়া ইউনিয়নের হাফছড়ি এলাকার মৃত নাগর চান চাকমার ছেলে, তরুন কান্তি চাকমা ইউপিডিএফ মূল দলের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি পুলিশের। কাউখালি থানা পুলিশ জানায় গোপন সূত্রে খবর আসে ঘিলাছড়ি আনসার ক্যাম্পের পাশে কিছু সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। পরে ঐ এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্রীজের উপর অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় তখন পেছন দিক থেকে তারা করে তরুন কান্তি চাকমাকে আটক করে। এই সময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি দেশিয় তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভারত থেকে লাখ লাখ মুসলিম পালাতে পারে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। জেনেভায় শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, নতুন বৈষম্যমুলক নাগরিকত্ব আইন এবং কাশ্মীর পরিস্থিতির ফলে লাখ লাখ মুসলিম ভারত থেকে পালাতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেন, বড় ধরণের শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। "শুধু যে সম্ভাব্য শরণার্থী সঙ্কট নিয়েই যে আমরা উদ্বিগ্ন তা নয়, একই সাথে আমরা উদ্বিগ্ন যে এ নিয়ে দুই পারমানবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যতে পারে।" ইমরান খান বলেন, "পাকিস্তানের পক্ষে নতুন করে আর শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ।"

মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিকা

ভারত বিভাগের সময় পার্বত্য নেতৃত্ব পাকিস্তানের বিপক্ষে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংগ্রামের সময় ওই নেতৃত্বই আবার পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে, তবে সবাই না। মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য জনগণের এই পরিবর্তিত অবস্থান অনুভব করতে হলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিবর্তন সম্পর্কিত ধারণা থাকা প্রয়োজন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে মানবেন্দ্র নারায়ণ লার্মা এবং এ এস প্রু চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান অ্যাসেম্বলীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় অ্যাসেম্বলীতে নির্বাচিত হন। নিজেদের কাছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও উপজাতীয়রা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের অবস্থান নির্ণয়ে দ্রুত ও সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ ও রাজারা বিভিন্নমুখী অবস্থান গ্রহণ করেন। নেতৃবৃন্দের বিভিন্নমুখী অবস্থানের কারণে সাধারণ উপজাতীয় জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অপরদিকে, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগেরও রয়েছে এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। উপজাতীয় জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উৎসাহ দেখায়নি আওয়ামী নেতৃত্ব। এমনকি যুদ্ধের প্রথমদিকে অতি উৎসাহী কিছু উপজাতীয় যুবক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চাইলে আওয়ামী নেতৃত্ব তাদেরকে বিফল মনোরথ করেন।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

রাজাকারের তালিকায় চাকমা ও বোমাং সার্কেল চীফ

সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক ঘোষিত সারাদেশের রাজাকারদের তালিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা ও বোমাং সার্কেল চীফ এর নাম রয়েছে। কুখ্যাত রাজাকার ও তৎকালীন চাকমা সার্কেল চিফ ত্রিদিব রায়ের নাম এসেছে বেশ কয়েকবার। প্রত্যেকবারই তার নাম দেশের কুখ্যাত রাজাকারদের সাথে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। বোমাং সার্কেল চিফ অং শৈ প্র্রু চৌধুরীর নাম রয়েছে শীর্ষস্থানীয় রাজাকারদের তালিকায়। বান্দরবান থেকে রয়েছে এ তালিকায় অনু মা মাজিনি (Anu Ma Majini), রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থেকে একজনের নাম এসেছে। তিনি হলেন, ইপিসিএএফ শৈলেস্বর চাকমা। তবে এবারে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা ভিত্তিক রাজাকারের তালিকা প্রকাশিত হয়নি।

বিজয় দিবসে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে নব গঠিত সংগঠন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সার্কিট হাউজ এর হতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, পুস্পমাল্য অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও ২ নং ওয়াড কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন, মাটিরাংগা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান আনিছুজ জামান ডালিম, মো: সাদ্দাম হোসেন, মহিলা পরিষদের নেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ।

রাঙামাটিতে বিজয় দিবসে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মহান বিজয দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি শাখা। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮.০০টায় রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সংগঠনটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোঃ সোলায়মান, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হাবিবুর রহমান, অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ মাসুদ পারভেজ, মোরশেদা আক্তার, মোঃ হুমায়ন কবির, মোঃ আলমগীর, মোঃ জুবায়ের, মোঃ সুমন আহম্মেদ প্রমুখ। বার্তা প্রেরক মোঃ সোলায়মান সদস্য স্টিয়ারিং কমিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। 

খাগড়াছড়িতে নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বিজয় দিবস উদযাপন

খাগড়াছড়িতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতাকর্মীরা সকাল ৮টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সার্কিট হাউজ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি জেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, পুস্পমাল্য অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুজ্জামান ডালিম, মো: সাদ্দাম হোসেন, মহিলা পরিষদের নেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ।

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠক অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: দবিরুল ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ বাস্তবায়নে অগ্রগতি, পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা, শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সৃষ্ট পদ, কর্মরত শূন্য পদ, প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাত, প্রাথমিক শিক্ষা হতে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার এবং এর হ্রাসকল্পে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট চাষাবাদ যোগ্য ভূমির পরিমাণ, জুম চাষ যোগ্য ভূমির পরিমাণ ও জুম চাষ ছাড়াও মৌসুমি খাদ্য সংকট নিরসনকল্পে ভূট্টা জাতীয় খাদ্য শস্য চাষাবাদ নিয়ে আলোচনা হয়।

ভূমি কমিশন কার্যকরে বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠক করছে সরকার: বীর বাহাদুর

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধি প্রবিধি প্রণয়নে জনসংহতি সমিতিসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। কমিশনকে কার্যকর করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশেসিং, এমপি। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার কাঠামো। নির্বাচন কমিশন যখনই এসব দপ্তরের নির্বাচন দিবে তখনই নির্বাচন হবে।

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী নির্মূলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পার্বত্যমন্ত্রী



পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশেসিং এমপি বলেছেন, সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধি প্রবিধি প্রণয়নে জনসংহতি সমিতিসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। কমিশনকে কার্যকর করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার কাঠামো। নির্বাচন কমিশন যখনই এসব দপ্তরের নির্বাচন দিবে তখনই নির্বাচন হবে।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ : জাতিসংঘ



সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। এই আইনের প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল। এবার মোদী সরকারের এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতিসংঘ। এই আইন মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ বলে জতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। শুক্রবার জেনেভায় এই সাংবাদিক বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চরিত্রগতভাবে বৈষম্যমূলক। এই আইন নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আইন খতিয়ে দেখতে চলেছে। এই আইন পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটিও আদালত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

ভারতীয় ভিসার ‘ধর্মভিত্তিক বৈষম্যমূলক’ জরিমানা নীতিতে বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ



ভারতের ভিসা নীতিতে একটি বৈষম্যমূলক পরিবর্তন বাংলাদেশে গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে আনা ওই পরিবর্তনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানরা যদি ভারতে অবস্থান করে তাহলে সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দুদের থেকে ২০০ গুণ বেশি জরিমানা গুণতে হবে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই জরিমানার বিধানকে ‘ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আসন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা ইস্যুটি তুলবেন বলে জানিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফরের সময় প্রথম এই ইস্যুটি সামনে আসে। বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাইফ হাসান ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে অবস্থান করন। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশন অফিসকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখন তারা এফআরআরও সম্পর্কে কথা বলেন।

পাহাড়ে শান্তি চুক্তি হলেও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী বন্ধ হয়নি



পাহাড়ে শান্তি চুক্তি হলেও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি এখনো বন্ধ হয়নি। শান্তি ফেরাতে হলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১২ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি পৌরসভা মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ স্টিয়ারিং কমিটির সংবাদ সন্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন। সংগঠনটি নেতারা আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, খুন, গুম ও চাঁদাবাজির অভিশাপ থেকে পার্বত্যবাসী এখনো মুক্তি পায়নি। অশান্ত পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সদস্য মনিুজ্জামান মনির’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, সংগঠনটির সদস্য এ্যডভোকেট পারভেজ তালুকদার, হবিবুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, রূপ কুমার চাকমা, আলমগীর কবির প্রমূখ।

পার্বত্য ভূমি কমিশন বাতিল ও অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের দাবি

বান্দরবানে সমাবেশ-মানববন্ধনে “পার্বত্য ভূমি কমিশন বাতিল ও অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের দাবি”।পাহাড়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ ও পার্বত্য ভূমি কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলা বান্দরবান শহরের প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’-এর আয়োজনে ওই মানববন্ধন সমাবেশে পার্বত্য বান্দরবান জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ নিরীহ সাধারণ মানুষও এ মানববন্ধনে অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবুর রহমান, আলীকদম উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার শিরীন, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) তারু মিয়াসহ অনেকে।

আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িবহরে হামলা



ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশের বিরুদ্ধে আসাম রাজ্যে চলমান সহিংসতা এবং কারফিউর পটভূমিতে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাই-কমিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গুয়াহাটিতে বৃহস্পতিবারের মিছিল এবং বিক্ষুব্ধ লোকজনের মধ্য থেকে কিছু লোক মিশনের দুটো সাইনপোস্ট ভাংচুর করে যা চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় ত্রিশ গজ দূরত্বে অবস্থিত। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানানো জানতে পেরেছে যে, বুধবার ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময় নিরাপত্তা-বহরে হামলা চালায় নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী উত্তেজিত জনতা। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

পাহাড়ে সাধারণ পাহাড়ী ও বাঙ্গালীরা অস্তিত্বহীন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ



“পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” পাহাড়ি-বাঙ্গালীসহ সকল সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪ সংগঠনের চাঁদাবাজি, রাহাজানিতে পাহাড়ের কেউ রেহায় পাচ্ছে না এবং তাদের হানাহানি হত্যাযজ্ঞে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্ষণে ক্ষণে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে অভিযোগ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এসব অবৈধ চাঁদাবাজি ও হত্যাকান্ডে ঘটনায় সাধারণ বাঙ্গালী ও পাহাড়িরা বলির পাঠা হতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তাই তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করাসহ সবুজ পাহাড়কে রক্তে রঞ্জিত করতে যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তার প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ জুম্মল্যান্ডের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী জানান সংগঠটির পক্ষ থেকে

‘পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’



খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সকল বাঙালি আঞ্চলিক সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বের) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর কথা জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান কখনও সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

‘পাহাড়ে বাঙালিরা সন্ত্রাসীদের টার্গেট, পাহাড়িরা বলির পাঁঠা’



পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী হলো সন্ত্রাসীদের টার্গেট আর পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ বলির পাঁঠা। গোষ্ঠীভেদে নির্যাতনের মাত্রা কমবেশী হলেও একটি বিশেষ গোত্র ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নবগঠিত সংগঠন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শান্তিবাহিনীরা আত্মসমর্পণ করলেও কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এবং চাঁদাবাজির টাকায় তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার দিন দিন আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর এই চাঁদাবাজির টাকার লোভে জনসংহতি সমিতি ভেঙ্গে একের পর এক মোট চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে।

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্যমন্ত্রীকে সহযোগিতার আশ্বাস -পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ



পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রতি নিয়ে বান্দরবানে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে বান্দরবানে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন- ১৯৯৭সালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ করা হলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে এখনো পাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। পাশাপাশি চাঁদাবাজির টাকায় অস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। একটি জনসংহতি সমিতি ভেঙ্গে বর্তমানে চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে। পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা দেশপ্রেমিক নিরাপত্তা বাহিনীর নামেও নানা রকম ষড়যন্ত্র ও অপবাদ দিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে তৎপর রয়েছে।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পাহাড়ের রাজনীতিতে ঐক্য অনৈক্য ও ষড়যন্ত্র!

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সমতল হতে ভিন্ন এতে কোন সন্দেহ নেই। ভৌগোলিক অবস্থান ও কৌশলগত কারণে এতোদাঞ্চলের রাজনীতি অন্তর্জাতিক রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। অন্তর্জাতিক আগ্রাসনবাদীদের সৃষ্টি এই অঞ্চলে বহুযুগ ধরেই নিবদ্ধ রয়েছে। আর এসব কারণেই আমেরিকান ব্লক ও চিনা ব্লকের সহযোগিতায় বেশ কিছু বামপন্থী ও চরমপন্থী দল এখানে সক্রিয়। বরাবরের মতো আঞ্চলিক সংগঠন গুলোর আধিপত্য লক্ষ করা যায় এখানে।উপজাতি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে মূলত বিভিন্ন বৈষম্য ও প্রবঞ্চনা নিয়ে এই সংগঠন গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতিগত বিদ্বেষ এখানে চরমভাবে পরিলক্ষিত হয়। উপজাতি জনগোষ্ঠীকে সামগ্রিক ভাবে বিচার করতে গেলে দেখা যায় মোট তেরো হতে চৌদ্দটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মিলে একটি বৃহৎ উপজাতি জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তবে তাদের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভাস ভিন্ন ভিন্ন। অার এসব কারণে তাদের মধ্যে প্রায়শই অান্তঃগোষ্ঠিয় বিবাদ লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি ও একটি দুর্লভ চিঠি



ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালের ঘটনাবহুল ডিসেম্বরের প্রতিটি দিনই বাঙালির জন্যে যেমন একই দিকে স্বজন হারানোর বেদনার, তেমনি বিজয়ের অপেক্ষার। ০৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দিনটি তারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ, এ দিন বেলা ১১টায় ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ মারফত ঘোষণা করা হয়, ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষের ঐক্যবদ্ধ বিদ্রোহ এবং সেই সংগ্রামের সাফল্য এটা ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট করে তুলেছে যে, তথাকথিত মাতৃরাষ্ট্র পাকিস্তান বাংলাদেশের মানুষকে স্বীয় নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে সম্পূর্ণ অসমর্থ।’

অমর্ত্য সেনের নোবেল বক্তৃতা

প্রথম বাঙালি নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথম ভারতীয়ও বটে। ১৯১৩ সালে তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর, বাঙালিকে দ্বিতীয় নোবেলের জন্য ৮৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে, প্রথম ভারতীয় হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পান অমর্ত্য সেন। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর স্টকহলমের নোবেল ব্যাঙ্কোয়েটে অমর্ত্য সেন যে ইংরেজি বক্তৃতা দেন, তার বঙ্গানুবাদ নতুন করে প্রকাশ করা হল— চতুর্থ নোবেলজয়ী বাঙালি (ত়ৃতীয় জন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুস) অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তির দিনে। আজ থেকে দুই সহস্রাব্দ আগে কবি হোরেস বলেছিলেন, ‘যথা সময়ে মূর্খামি প্রদর্শন বেশ জরুরি কাজ।’ কবির কথা শিরোধার্য করে এই ‘যথা সময়ে’ আমি ‘মূর্খামি’ (silliness)-র সপক্ষে কিছু বলতে চাই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বক্তৃতা

নোবেল বিজয়ীর তালিকায় তিনি শুধু প্রথম বাঙালি বা প্রথম ভারতীয়ই নন, তিনি প্রথম এশীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিকবিতাগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকাশ হয় ১৯১০ সালে। বছর দুয়েক পর, এই বইয়ের বেশ কিছু কবিতা এবং এর বাইরেরও অনেকগুলি কবিতার অনুবাদ নিয়ে প্রকাশিত হয় ইংরেজি গ্রন্থ ‘সং অফারিংস’ (Song Offerings)। এই বইয়ের জন্যই ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পান রবীন্দ্রনাথ। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর স্টকহলমের নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি। টেলিগ্রামে লিখে পাঠানো তাঁর বার্তা সেখানে পাঠ করা হয়। তিনি লিখেছিলেন— “সুইডিশ অ্যাকাডেমির অনুভবের কাছে আমি আমার কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করছি। তাঁরা দূরকে নিকট করেছেন এবং এক অপরিচিতকে ভ্রাতৃত্বে বরণ করে নিয়েছেন।” ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ সুইডেন যান। ২৬ মে স্টকহলমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমিতে নোবেল সম্মানকে স্মরণ এবং গ্রহণ করে তিনি দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। সেই বক্তৃতার একাংশের অনুবাদ এখানে প্রকাশ করা হল— তাঁরই উত্তরসূরী বাঙালি অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তির দিনে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যা স্বীকার করুন : ৭ নোবেলজয়ীর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ নৃশংস অপরাধের বিচারে আর কিছুক্ষণের মধ্যে হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। এ আদালতে তিনি তার দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করছেন। এ জন্য সারা বিশ্ব থেকে তার দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ চালানো অপরাধ প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিতে অং সান সুচির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাতজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তারা হলেন ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইরানের শিরিন এবাদি, ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লাইবেরিয়ার লিমাহ গোউই, ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইয়েমেনের তাওয়াক্কাল কারমান, ১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেদারল্যান্ডের মেইরিড মাগুয়েরে, ১৯৯২ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গুয়েতেমালার রিগোবার্তা মেনচু তুম, ১৯৯৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী জোডি উইলিয়ামস এবং ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থী। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ চাই

‘নিরবতা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলেছে , গণহত্যায় রক্তস্রোত,রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ চাই : আইসিজের প্রথম শুনানীতে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ চেয়েছে গাম্বিয়া। মিয়ানমারে বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের গণহত্যার সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে মামলা করা দেশটি একইসাথে রোহিঙ্গাদের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, নিপীড়ন, জীবিকা ধ্বংস ও নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক এ আদালতের কাছে অন্তবর্তীকালীন পদক্ষেপ চেয়েছে। গাম্বিয়া বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে।