সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯

‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিতে ৬ এনজিওকে চিঠি

নামের আগে ও পরে ‘আদিবাসী’ শব্দ লেখা থাকলে তা বাদ দিতে ৬টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। নাম পরিবর্তন করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। ‘আদিবাসী’ নামে নিবন্ধনকৃত এনজিওগুলোর নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে’ শিরোনামে গত ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহকারি পরিচালক শীলু রায় স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩ (ক) অনুযায়ী এ দেশে আদিবাসী নামে কোনও জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়নি। তাছাড়া বৈশ্বিক আদিবাসী রাজনীতির অংশ হিসেবে এক শ্রেণির দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল আইএলও কনভেনশন ১৬৯-এ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার রয়েছে-যা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আদিবাসী শব্দটি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতায় জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি। এ সব কারণে সকল আদিবাসী নামধারী এনজিওগুলোর নাম পরিবর্তন করা আবশ্যক। এ অবস্থায় যেসব সংস্থার নামের যে অংশের সঙ্গে ‘আদিবাসী বা ইনডিজিনাস’ রয়েছে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে অনুরোধ করা হলো।’

এ ছয়টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে তিনটির নাম জানা গেছে। এগুলো হচ্ছে আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থা, আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এডিও) ও আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘আদিবাসী’ বিষয়ে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠী উপজাতি ও অ-উপজাতি (বাঙালি) হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত। ২০১৫ সালেও একই বিষয়ে পরিপত্র জারি করে আদিবাসী শব্দটি অসাংবিধানিক হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়।

এ বিষয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম বলেন, বেসরকারি অন্তত ৬টি সংস্থার (এনজিও) নামের সঙ্গে আদিবাসী শব্দটি রয়েছে। তাদের চিঠি দিয়ে নাম পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তারা আবেদন না করলে তাদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হবে। তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইবো কেন তারা নাম পরিবর্তনের আবেদন করলো না। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সংবিধান, সরকারের সার্কুলারগুলো, সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত রয়েছে এ বিষয়ে। তাই আমরা নিয়মানুযায়ী তাদের কাছে জবাব চাইবো এবং পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]