খাগড়াছড়ির দুর্গম দুল্যা কমল চরম চাকমা পাড়ায় দুইশ বিঘা জমিতে গাঁজার সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী। যার ওজন প্রায় ৪০ মে: টন ও বাজার মূল্য শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। শতাধিক সেনা, পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্য গাঁজা ধংসের অভিযান চালায়। খাগড়াছড়ি জেলায় এমন বিশাল গাঁজার চাষের সন্ধানের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দূর্গম ধইল্যা কমলচরণ কার্বারি পাড়া গ্রামে ৫০টি পরিবারের বসবাস। ছড়া, ঝিড়ি ও পাহাড় পেরিয়ে টানা দুই ঘন্টা পায়ে হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে দেখা গেল পুরো গ্রামটি যেন গাঁজার উপর ভাসছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় ৩৫টি গাঁজার ক্ষেত রয়েছে। সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক লে: কর্নেল মেহেদি হাসান নিজেই গাঁজা ধংসের সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই জোনের উপ অধিনায়ক মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এই অভিযান চলছে বলে নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি জোনের মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে ধইল্যা কমলচরণ কার্বারি পাড়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় দুইশ বিঘা জমিতে গাজা ক্ষেতের সন্ধান পায়। এক্ষেত্রে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।বিশাল গাঁজার চাষের সন্ধানের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মাটিরাঙা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন জানান, এলাকাটি খুবই দুর্গম হওয়ায় এ ভাবে বিশাল এলাকা জুড়ে গাঁজা চাষ করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ এ গাঁজা চাষের সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার বাহিনীর সূত্র জানায়, টহল দলটি ৩৫-৪০টি গাজা ক্ষেত সনাক্ত করে যার প্রতিটি জায়গায় ৩-৪ বিঘা জমিতে গাজা চাষ করা ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী এসব মাদক ব্যবসায়ী ও দৃষ্কৃতিকারীদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এইরকম জায়গায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদ বসবাস এলাকা হিসেবে বেছে নেয়।
আর এই ধরণের মাদক ব্যবসা থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় হয় আঞ্চলিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে। নিরাপত্তা বাহিনীর এই ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উল্লেখ, গত ২২ ডিসেম্বের খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত কলাবুনিয়া এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৭ বিঘা জমির গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করে দিয়েছে। যার বাজার মুল্য আনুমানিক প্রায় ৪ কোটি টাকা।
গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এইরকম জায়গায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদ বসবাস এলাকা হিসেবে বেছে নেয়। আর এই ধরনের মাদক ব্যবসা থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় হয় আঞ্চলিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে। এছাড়া সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের ধারণা, বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইনের ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো পাহাড়ে ভূমির অবাধ ব্যবহার করে মাদকের স্বর্গরাজ্য তৈরীর সুযোগ পাচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উল্লেখ্যে যে এর আগে ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে এই সেনা রিজিয়নের নেতৃত্বে উপজাতিদের তিন একর জমির গাজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
তিন একর জমিতে গাঁজা চাষ করলেন উপজাতি দুই ভাই

দুর্গম পাহাড়ে কৃষি চাষের বদলে জায়গা করে নিয়েছে গাঁজা চাষ। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে গাঁজা চাষের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কালাবুনিয়ার পাহাড়। একটি, দুটি কিংবা ১০টি গাঁজা গাছ নয়- তিন একর জমিতে গাঁজা চাষ করেছেন দুই ভাই।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মহালছড়ির বিজিতলা সাবজোন কমান্ডার মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল অভিযানে গিয়ে এ গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায়।
এ সময় চার কোটি টাকার প্রায় তিন একর গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। একই সঙ্গে গাঁজা চাষ করার অপরাধে অমল বিকাশ চাকমা ও টুলু চাকমা নামে দুই ভাইকে আটক করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, দুর্গম পাহাড়ি জনপদ মহালছড়ির কলাবুনিয়া এলাকায় সবার অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীদের দিয়ে গাঁজা চাষ করে আসছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। অভিযানকালে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তিন একর জমির প্রায় ১৫০০ গাঁজা গাছ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহালছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, তিন একর গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। আটক দুই গাঁজা চাষির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]