সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২০

উপজাতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় যেতে পারছেনা- ক্য শৈ হ্লা

সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় উপজাতি আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যা-অপহরণের ঘটনায় পুরো জেলাজুড়ে এক ধরণের ভীতি-আতঙ্ক বিরাজ করছে জানিয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজ এলাকায় যেতে পারছেনা। তিনি বলেন, অস্ত্রের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে বহু মানুষ, ব্যবসায়ীরা বান্দরবান থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। পর্যটকের আগমনও সীমিত হয়ে গিয়েছে। সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্ত্রাসীদের কালো ছায়া ভর করেছে দাবি করে তিনি বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কারনে সম্প্রীতির বান্দরবান বর্তমানে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

ক্য শৈ হ্লা বলেন, বান্দরবানের দূর্গম পাড়াবাসীদের ডেকে ডেকে চাঁদা চাইছে সন্ত্রাসীরা। চাঁদা নে দেওয়ায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পাড়ায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছ সন্ত্রাসীরা। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে চাঁদাবাজির কারণে থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন কাজ।

৫ জানুয়ারি রবিবার সকালে বান্দরবানে “অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা”র আহ্বান জানিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ক্য শৈ হ্লা অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে জানতে পেরে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে বিভিন্নজনকে হুমকি দিয়েছে। এসময় চাঁদা আদায় ও হুমকিদাতা হিসেবে তিনি জেএসএস, ইউপিডিএফ, মগবাহিনীসহ দলছুট অজ্ঞাত কয়েকটি বাহিনীর নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইতোপুর্বে বান্দরবানের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছিল, এবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমা বলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মারমা, পৌর কাউন্সিলর অজিত দাশ, রাজবিলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ক্য অং প্রুও, কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান সাবু খয়, রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅং প্রু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বান্দরবানে একের পর এক আওয়ামীলীগ নেতাদের অপহরণ ও হত্যা করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সেসময় নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারের পক্ষ হতে এসব ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করা হয়েছিলো।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]