২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির ১৮ বছর পূর্তি: বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার না করা পর্যন্ত শান্তি সুদূর পরাহত।পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে করুনালংকার ভিক্ষু শীঘ্রই সশস্ত্র আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। ভারতের মিজোরামে চাকমা যুবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে। সন্তু লারমার সহায়তায় নানাভাবে আরেকটি শান্তি বাহিনী গঠিত হচ্ছে। তাই, এ মুহুর্তে দেশবাসীর সজাগ থাকা একান্ত প্রয়োজন। এ মুহুর্তে শান্তিচুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন পাহাড়ে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৫০৯৩ বর্গমাইল বিস্তৃত সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, বিল-ঝিল-হ্রদ-পাহাড় বেষ্টিত দেশের এক দশমাংশ ভূমি। চেঙ্গী, মাইনী, কর্নফুলী, কাছালং বিধৌত এই পার্বত্যবাসী জনগন কেমন আছে? পাহাড়ে শান্তি, স্থিতি ও নিরাপত্তা আছে কি? এসব প্রশ্নে হাবুডুবু খাচ্ছে দেশের বিবেকবান জনতা।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বহু আশা-আকাঙ্ক্ষার ফসল ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। দীর্ঘদিনের সন্ত্রাসযুদ্ধ বন্ধ হবে, চাঁদাবাজী, নৈরাজ্য, গোলাবারুদের ধোঁয়া শেষ হবে, এই ছিল পার্বত্যবাসী উপজাতি ও বাঙালিদের একমাত্র আশা। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাহাড়ে আজো শান্তির সু-বাতাস প্রবাহিত হয়নি, জনগন শান্তির শ্বেতকপোতটির দেখা আজো পায়নি। কিন্তু কেন?
শান্তি কেন আসছে না ?
পাহাড়ে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসী তথা জুম্ম লিবারেশন আর্মি (শান্তিবাহিনী) সব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ আসলেই কি জমা দিয়েছিল? সন্তু লারমা বাহিনী কি প্রকৃত-ই বাংলাদেশ সরকারের কাছে সেদিন আত্মসমর্পন করেছিল? নাকি লোক দেখানো মহড়া হিসেবে সেদিন কোন নাটক হয়েছিল। সন্তু লারমারা ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ আত্মসমর্পন করে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও সমস্ত শান্তিবাহিনীর সদস্যকে নিয়ে একসাথে, এক নিয়মে এবং একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নাই। তাছাড়া, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকারের কাছে একটি সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী বিদ্রোহী বাহিনী (জুম্ম লিবারেশন ফ্রন্ট-শান্তিবাহিনী) আত্মসমর্পনের পর কি নিয়মনীতি প্রচলিত আছে। তা কিন্তু সন্তু লারমার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে।
পাহাড়ে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসী তথা জুম্ম লিবারেশন আর্মি (শান্তিবাহিনী) সব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ আসলেই কি জমা দিয়েছিল? সন্তু লারমা বাহিনী কি প্রকৃত-ই বাংলাদেশ সরকারের কাছে সেদিন আত্মসমর্পন করেছিল? নাকি লোক দেখানো মহড়া হিসেবে সেদিন কোন নাটক হয়েছিল। সন্তু লারমারা ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ আত্মসমর্পন করে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও সমস্ত শান্তিবাহিনীর সদস্যকে নিয়ে একসাথে, এক নিয়মে এবং একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নাই। তাছাড়া, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকারের কাছে একটি সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী বিদ্রোহী বাহিনী (জুম্ম লিবারেশন ফ্রন্ট-শান্তিবাহিনী) আত্মসমর্পনের পর কি নিয়মনীতি প্রচলিত আছে। তা কিন্তু সন্তু লারমার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে।
বিশ্বের কোথাও আত্মসমর্পনকারী রাষ্ট্রদ্রোহী বিদ্রোহী সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পনের পর এতটা স্বাধীনতা, সুযোগ সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার করা হয় না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) পাকিস্তানী পূর্বাঞ্চল সেক্টরের সেনাবাহিনী প্রধান লে. জে. এ কে নিয়াজী আমাদের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রধান লে. জে. জগজিৎ সিং আরোবার কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। সেক্ষেত্রে নিয়াজী কে শুধুমাত্র জাতি সংঘ সনদ মোতাবেক আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মোতাবেক আচরণ করা হয়েছিল মাত্র। নিয়াজী আত্মসমর্পনের পর স্বদেশে ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত মিডিয়ার সাথে কোন কথা বলতে পারে নাই, পুনরায় অস্ত্র ধরার হুমকি দেয় নাই, সরকারের কোন সমালোচনা করতে পারে নাই।
কিন্তু একই ধাঁচে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০ হাজার বাঙালী হত্যাকারী, নিরীহ জনগনের উপর ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যা সংঘটিত, বহু সেনা-পুলিশ আনসার-বিডিআর এর ঘাতক সন্তু লারমা আত্মসমর্পনের পর কী আচরণ করছে? কথায় কথায় সন্তু বাবুরা পুণরায় অস্ত্র ধরার হুমকি দিচ্ছে। তারা ঢাকায় সুন্দরবন হোটেল, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তন, জাতীয় প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ তিন পার্বত্য জেলায় অবাধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু একই ধাঁচে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০ হাজার বাঙালী হত্যাকারী, নিরীহ জনগনের উপর ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যা সংঘটিত, বহু সেনা-পুলিশ আনসার-বিডিআর এর ঘাতক সন্তু লারমা আত্মসমর্পনের পর কী আচরণ করছে? কথায় কথায় সন্তু বাবুরা পুণরায় অস্ত্র ধরার হুমকি দিচ্ছে। তারা ঢাকায় সুন্দরবন হোটেল, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তন, জাতীয় প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ তিন পার্বত্য জেলায় অবাধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সন্তু বাবুরা নিজেদের বলছে আদিবাসী, জুম্ম জাতি, তাদের মুখপাত্র জুম্ম কন্ঠ, জুম্ম নিউজ বুলেটিন, রাডার, স্যাটেলাইট, তাদের বাহিনীর নাম জুম্ম লিবারেশন আর্মি বা শান্তিবাহিনী, এমন কি তারা চির পরিচিত, আমাদের মাতৃভূমির মানচিত্রের এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের নামকরণ পরিবর্তন করে নাম দিয়েছে- ‘জুম্মল্যান্ড’। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘জুম্ম’ জনগণকে জোর করে মুসলিম বানানোর ভূয়া অভিযোগ রটাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো তারা পাহাড়ে জাতিসংঘ শান্তিবাহিনী পাঠানোর লবিং করছে।
সেই সুযোগে উপজাতিদের দিয়ে পাহাড়ে গণভোট করিয়ে তাদের জুমল্যান্ড আদায় করে নিতে চায়। অথচ একটি আত্মসমর্পনকারী দলের নেতাও সদস্যদেরকে বিশ্বের কোথাও এতটা স্বাধীনতা দেয়া হয় না। সন্তু বাবু নিজে মন্ত্রীর সমমর্যাদায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি আঁকড়ে আছেন দীর্ঘ ১২ বছর এর বেশি। তার জনসংহতি সমিতির নেতারা ও আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদসহ পাহাড়ের প্রতিটি অফিস আদালতে সিংহভাগ সুবিধা ভোগ করছেন। আত্মসমর্পনকারী ২০০০ শান্তিবাহিনী সদস্যকে সরকার লোভনীয় পদে চাকুরী দিয়েছেন।
যারা আগরতলা/কলকাতায় শরণার্থী ছিল, সরকার তাদেরকেও পর্যাপ্ত রেশন, চাল-ডাল-তেল-টিন দিয়ে এবং চাকুরী দিয়ে পূনর্বাসন করেছেন। তারপরও কেন এত চক্রান্ত? গত ৯ আগষ্ট ২০১৪ এবং একাধিকবার সন্তু লারমা বলেছেন, পাহাড়ে ৪২ বছর যাবতই সামরিক শাসন চলছে, উপজাতীয়দের কোন মানবাধিকার নাকি নাই? তাই যদি হত গত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে সরকারী দল আওয়ামীলীগের হাই ভোল্টেজ নেতা দীপংকর তালুকদারকে হারিয়ে সন্তুলারমার দলের সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার রাঙামাটির সংসদ সদস্য কি করে হলো? তাহলে কি সন্তু বাবুরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর চাইতেও বেশি শক্তিশালী? অবশ্যই নয়।
বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রতিটি ভূমি কমিশন কেই তারা বানচাল করে দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির মালিক বাংলাদেশ, সন্তুু লারমারা নয়। অথচ- প্রায়ই দেখা যায়, ভূমি কমিশনের বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েও তারা বৈঠকে আসেন না। মাঝে মাঝে দেখা যায়- তারা বৈঠককে ওয়াক আউট করে চলে আসেন। সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী তিন পার্বত্য জেলার ভূমি কমিশনকে কার্যকরী করেছিলেন। কিন্তু, সন্তুুলারমাদের সাজেশন মতো না চলাতে তাকেও ভূমি কমিশনের আদালত/শুনানী করতে দেয়নি ঐ চক্র। যদিও প্রায় ৫ হাজার মামলা ঐ কমিশনের কাছে উপজাতি ও বাঙালিরা দরখাস্তের মাধ্যমে জমা দিয়েছিল। একগুয়েমি, হামবড়া, স্বেচ্ছাচারি মনোভাবের কারণে প্রতিটি পদক্ষেপই উপজাতীয় নেতারা বানচাল করে দিয়েছে। অথচ তারা কোন বিজয়ী দল নয়। একটি পরাজিত এবং আত্মসমর্পনকারী দলের কাছে এ ধরনের আচরন মোটেও সহ্য করা যায় না। অথচ বাংলাদেশের জনগন এর পরেও তাদের কাছে শান্তির প্রত্যাশা করছেন।
পাহাড়ে এখনো প্রতিটি উন্নয়ন কাজে জেএসএস শতকরা ২০ ভাগ এবং ইউপিডিএফ শতকরা ২০ ভাগ করে বলপূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে। নতুবা কোন ঠিকাদার কাজে হাত দিতে পারে না। অথচ সন্তু বাবুরা দেশী বিদেশী মিডিয়ার কাছে বলে বেড়ায়- “শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন হলেই নাকি পাহাড়ের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কী আজগুবি দাবী?
বিএনপি সরকারের ভুলের মাশুল দিচ্ছে পার্বত্যবাসী
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে জেএসএস নেতা সন্তু লারমাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসের দায়ে গ্রেফতার করা হলেও শান্তি স্থাপনের শর্ত দিয়ে সন্তু লারমাকে তিনি মুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়ার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ত্রিপুরার গোপন আস্তানায় ফিরে গিয়ে সন্তুলারমা আবারো জুমল্যান্ড আদায়ের গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে? বিএসএফ সীমান্তে হামলার জন্য শান্তিবাহিনীকে সর্বাত্মক সাপোর্ট দিয়ে যায়। শুধু বাংলাভাষীরাই নয়, উপজাতীয় নেতা উরিমোহন ত্রিপুরা, চাবাই মগ, চুনীলাল চাকমা, বঙ্কিম দেওয়ান, শান্তিময় দেওয়ান, কিনামোহন চাকমা, রেমন্ড লুমাই, মেজর পিওরসহ অনেক উপজাতি নেতাকে বাংলাদেশের পক্ষে থাকার জন্য দুলাগোষ্ঠী (দালাল) আখ্যা দিয়ে তাদেরকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল সন্তু লারমার নির্দেশে।
রাঙামাটির মুক্তিযোদ্ধা ও যুব ইউনিয়ন নেতা সাংবাদিক আব্দুল রশিদ, লংগদু উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ সরকারসহ হাজার হাজার বাঙালি নর-নারী-শিশু-কিশোর আবাল বৃদ্ধ বণিতা পাহাড়ে খুনী শান্তিবাহিনীর ব্রাশফায়ারে এবং আগুনে পুড়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দিয়েছে। ধান-ফসল-গরু-ছাগল তারা লুট করেছে। এরপরও সন্তু বাবুরা আমাদের বীর সেনাবাহিনী, পুলিশ আনসার ও বিডিআরদের সাথে গেরিলা যুদ্ধে পরাস্ত হতে বাধ্য হয়। এক এক করে তারা পালাতে শুরু করে, দল ছেড়ে সরকারের কাছে আত্মসমার্পন শুরু করে। শান্তি বাহিনীর শক্তি একেবারে শেষ হয়ে যাবার পথে এমনিতর করুণ অবস্থায়, শান্তিবাহিনীর অবস্থা যখন খুবই কাহিল, পরাজয় অবধারিত, ভারত সরকারও আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে দ্বিধা করছিল। ঠিক তখনই বিএনপি সরকার (১৯৯১-১৯৯৫) একটি ভূল সিদ্ধান্তের কারণে সন্তু লারমার কৌশলের কাছে হেরে যায়। সেটা ছিল তথাকথিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অথবা অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে নেয়া। যুদ্ধবিরতি বা অস্ত্রবিরতির কথা বলে ক্ষয়িষ্ণু প্রায় অবলুপ্ত লারমা বাহিনী দেশে বিদেশে বিএনপি সরকারের সাথে আলোচনার দাবী তুলে বেকায়দায় ফেলে দেয়। সেদিন যদি যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল অলির নির্দেশে (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান) অস্ত্রবিরতি না মেনে মুমুর্ষূ অবস্থায় লারমা বাহিনীকে পর্যুদস্ত করা হতো, তাহলে আর এই শান্তি চুক্তি করার দরকার হতো না।
তবে শান্তিচুক্তির পর এর বিরুদ্ধে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক লং মার্চ পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ও পাহাড়ের প্রকৃত চিত্র পেতে বিশ্ববাসীর অনেক সুবিধা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মহলও পার্বত্য চট্টগ্রাম এ উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসযুদ্ধ বিষয়ে সম্যক অবগত হতে পেরেছিল সেই লংমার্চ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
বর্তমান সরকারের করণীয় কি?
পাবর্ত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত প্রেক্ষাপট বর্তমান সরকারের কাছে অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে। যদিওবা আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা একটি ধারণা পোষণ করতো। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদিবাসী ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপুমনি ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিদেরকে ডেকে সরকারের প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করেছেন। এতে করে পার্বত্যবাসী শান্তিপ্রিয় বাঙালি এবং উপজাতীয় জনগোষ্ঠী বর্তমান সরকারের প্রতি বিশেষভাবে আস্থাভাজন। তথাকথিত শান্তিচুক্তি পূর্নবাস্তবায়নের আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যদি সবগুলি বেআইনী অস্ত্র-সস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার না করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তবে জনসংহতি সমিতির এবং ইউপিডিএফ’র বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পরে বহু পার্বত্যবাসীকে অকালে জীবন হারাতে হবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই।
পাবর্ত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত প্রেক্ষাপট বর্তমান সরকারের কাছে অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে। যদিওবা আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা একটি ধারণা পোষণ করতো। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদিবাসী ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপুমনি ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিদেরকে ডেকে সরকারের প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করেছেন। এতে করে পার্বত্যবাসী শান্তিপ্রিয় বাঙালি এবং উপজাতীয় জনগোষ্ঠী বর্তমান সরকারের প্রতি বিশেষভাবে আস্থাভাজন। তথাকথিত শান্তিচুক্তি পূর্নবাস্তবায়নের আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যদি সবগুলি বেআইনী অস্ত্র-সস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার না করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তবে জনসংহতি সমিতির এবং ইউপিডিএফ’র বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পরে বহু পার্বত্যবাসীকে অকালে জীবন হারাতে হবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মূল কনসেপ্ট তথা পাহাড়ে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া সন্তুলারমার হাতে সমগ্র ক্ষমতা ছেড়ে দিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়নের রূপই পাবে বলে আমাদের গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা আছে। বর্তমান সরকার সেই সুযোগ কোন পাহাড়ী দল বা উপদলকে দেবে না বলেই দেশবাসীর একান্ত বিশ্বাস। সন্তু লারমার অসহযোগ আন্দোলন কিংবা পুনরায় অস্ত্র ধরার হুমকিকে বাঙালি জাতি ভয় করে না।(লেখাটির বিষয়ে সকল মতামত পাঠকের একান্ত নিজের- কর্তৃপক্ষ।)
♦ লেখক: মনিরুজ্জামান মনির, মহাসচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি ।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]