পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমান বাস্তব উন্নয়নশীল বাংলাদেশে আলোচ্য সকল বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি বিষয়। বলতে গেলে সমস্যার বেষ্টনীর আরেক নাম হলো “পার্বত্য চট্টগ্রাম”।সম্ভবতঃ বাংলাদেশে প্রচার মাধ্যমগুলোতে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চবার এই ইস্যুটিই প্রধান শিরোনাম হবার গৌরব অর্জন করেছে।যে বিষয়টির সাথে রাষ্ট্রের অখন্ডতা জরিত।দেশ স্বাধীন হবার পর হতে আজ অবধী ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রধান, দেশের মস্ত মস্ত সুশীল মহোদয়রা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনা, পদক্ষেপ গ্রহন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন।কিন্তু আজ অবধী এই সমস্যার সমাধানতো হয়নি বরংচ ক্রমে ক্রমে তা আরো মারাত্বক আকার ধারণ করেছে।তবে হাঁ, সরকার প্রধান কর্তৃক দুইটি সিদ্ধান্ত সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।প্রথমটি হলো ১৯৭৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক পাহারে বাঙ্গালী পূর্নবাসন করা।যে সিদ্ধান্তের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখনো বাংলাদেশের অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।দ্বিতীয়টি হলো বর্তমান সরকার কর্তৃক ১৯৯৭ সালে জেএসএস নেতা শন্তু লারমার সাথে “শান্তি চুক্তি”তে আবদ্ধ হওয়া।যে চুক্তি বর্তমান পাহারের সসস্ত্র কার্যক্রম পর্যালোচনায় বিফল মনে হলেও সমসাময়িক সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করতে যুগান্তকারী অবদান রেখেছে।তবে আপাত দৃষ্টিতে দেশের সুশিলদের বক্তব্য ও প্রচার মাধ্যমের সংবাদ পর্যালোচনায় বলা যায় পার্বত্য বাঙ্গালীই পার্বত্য সমস্যার জন্য দায়ী।তাদের প্রচারিত ভাবমূর্তিতে দেশের সাধারণ মানুষ এই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে তিনটি প্রশ্ন সবচেয়ে মাথায় ঘুরপাক করায়।
প্রশ্ন তিনটি হলো, এখান থেকে নিরীহ বাঙ্গালীদের সরিয়ে নিলেই কি সমস্যা মিটে যাবে?শন্তু লারমার চাহিদা অনুযায়ী চুক্তির ধারা বাস্তবায়ন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? নাকি সেনা প্রত্যাহারই যতেষ্ট? আমি মনে করি এর কোনটিই না।কারণ, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মাথায় এখনো পার্বত্য সমস্যার নেপথ্যে যে রহস্য রয়েছে তা পৌছায়ীনি, আমরা পৌছাতে পারিনি।
প্রথম প্রশ্ন অনুযায়ী আপনি আজ পার্বত্য বাঙ্গালীদের এখান থেকে উচ্ছেদ করুন, কাল থেকে এখানে আর লাল সবুজের পতাকা উড়বে।উড়বে বৈদেশিক অপশক্তির ছত্র ছায়ায় বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র “জুমল্যান্ড” এর পতাকা।সংকুচিত হবে বাংলাদেশ সরারের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা।যেখানে সরকার চাইলেও কিছু করতে পারবে না।
তাছাড়া যেহতু চুক্তি অনুযায়ী জেএসএস তাদের সকল অস্ত্র জমা দিয়েছে।সুতরাং পাহরে আর অবৈধ অস্ত্র থাকবার কথা নয়!তবে কেন নিত্য অবৈধ অস্ত্রেরে ঝণঝনানি?আর এটা করছেই বা কারা?অস্ত্ররে ঝনঝনানি তো সরকার/সেনাবাহীনি/বাঙ্গালীদের সাথে নয়!চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়নের ফলে শন্তু লারমা ও তার সমমনাদের আরাম আয়েশ দেখে তারই রোশানলে পুরছে আরেকটি চুক্তি বিরোধী উপজাতীয় সসস্ত্র অপশক্তি।তাদের সাথেই হচ্ছে পাহারে ক্ষমতা দখলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্স।এতে সরকারের দোস কোথায়?বরংচ সরকার পার্বত্য সকল প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও শান্তি চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নে এখনো অনঢ়।
ইতোমধ্যেই সরকার শান্তি চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করে ফেলেছে।ধারার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।তাছাড়া, এহেন চুক্তির এত দ্রুত বাস্তবায়নে অগ্রগতি যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহিন।তবুও চোরের মায়ের বড়গলা।বরাবরই শন্তু লারমা মিথ্যাচার করছেন শান্তি চুক্তি নিয়ে।তবে হাঁ, আপনি যদি শন্তু লারমার বর্তমান ভাষ্য অনুযায়ী চুক্তির বাস্তবায়ন চান তবে আপনাকে নিশ্চিত মানচিত্র হারাতে হবে।জিম্মি হবে শন্তু লারমার অস্ত্রের মুখে পার্বত্য আপামর নিরীহ জনপদ।কেননা, শন্তু লারমার কাছে বর্তমানে যে পরিমান অত্যাধুনিক অবৈধ অস্ত্র মজুদ আছে তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছেও নেই।সুতরাং দেশের কতিপয় সুশিলদের কথাকে অবলম্বন করে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে দোসারোপ করে শন্তু লারমাকে ধোয়া তুলসি পাতা ভাবার কোন অবকাশ নেই।
পৃথিবীর ইতিহাসে বঞ্চিত জনোগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সফল আন্দোলনের নজীর অসখ্য।সেই আন্দোলনরে ইতিহাস দেখলে আর পার্বত্য উপজাতীয় নেতাদের আন্দোলন দেখলে আপনি সহজেই কিছুটা হলেও তাদের রুপ বুঝতে পারবেন।
আর পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সেনা প্রত্যাহার!সত্যিকার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে সেনাবাহিনী আছে এমন মনে হয় না।বর্তমানে শুধু সেনাবাহিনী নয় পার্বত্য প্রশাসনকেই চুড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছে।প্রশাসন নিয়ন্ত্রনের চেয়ারে বসে আছে উপজাতীয় নেতারা।তাদের হুকুমেই চলছে প্রশাসন।এদিকে সেনাবাহিনী সরকারের কাছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আসল চিত্র যাতে না পৌছায় সেই কর্মেই যেন ব্যস্ত।প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা সমস্ত অপকর্ম করছে, আর তা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।তবে, হাঁ! যখন সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের গায়ের উপর এসে পরছে তখন তারা দায় সাড়ানোর মত কাজ করছে।তাই এমন সেনাবাহিনী থাকার আর না থাকা সমান কথা।তাছাড়া সেনাবাহিনী করবেই বা কি?সম্প্রতি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে চারজন সসস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসী ক্রস ফায়ার করে প্রথম আলো পত্রকিাসহ দেশ-বিদেশের সুশিল সমাজের কাছে যেভাবে সেনাবাহিনী উপস্থাপিত হয়েছিল তাতে করে সেনাবাহিনীর কি আর করার থাকে!
আমার এই লেখায় আমি পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে দুইটি সুপারিশ রাখছি।প্রথমতঃ সন্ত্রাস নির্মূল করা।দ্বিতীয়তঃ সকল বিদেশী দাতা সংস্থাকে পাহাঢ়ে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা।আমার উল্লেখিত দুটি বিষয়ই ওতোপ্রত ভাবে জরিত।
সুতরাং পরিশেষে বলবো পার্বত্য সমস্যা এখন আর আগের মতো অস্পষ্ট নয়।এই সমস্যা সচেতন মহলের কাছে অনেকটাই সুস্পষ্ট।বর্তমান পার্বত্য সমস্যার সাথে শান্তি চুক্তির কোন সম্পর্ক নেই, বরং তা চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধক।বর্তমান পরিস্থিতে লারমা বাবুর চাহিদা মাফিক চুক্তি বাস্তবায়ন করা হলে শান্তি চুক্তির আদর্শ ব্যহত হবে।উপকৃত হবে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আর চিরতরে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আপামর পার্বত্যবাসী তথা রাষ্ট্র।তাই সন্ত্রাস নির্মূল করা ছাড়া পার্বত্য সমস্যা সমাধানের বিকল্প কার্যকর ফর্মূলা আর নেই।
বর্তমানে পাহাড়ে সকল অপকর্মের মূলে রয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা।তারা নিত্য চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে।ঠিকাদারী কাজ, ফলজ বাগান হতে শুরু করে সামান্য একটি ডিমের জন্যেও চাঁদা দিতে হয় উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের।অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের হাড়ভাঙ্গা জালাতনে বর্তমান পার্বত্য অর্থনীতি ও জনপদ শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।এমতাবস্থায় পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান এবং সন্ত্রাস নির্মূল অতীব জরুরী।তবে হাঁ, এই সন্ত্রাস নির্মূলে পাহাড় সাময়িক উত্তেজিত হলেও এতে নিরীহ উপজাতী-বাঙ্গালী সহ রাষ্ট্রের বৃহৎ কল্যান নিহিত আছে।পাশাপাশি পাহাড়ে বৈদেশিক সকল এনজিও সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।কারন, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের মূল রসদ দাতা হলো এই সকল বিদেশী দাতা সংস্থা।দাতা সংস্থাগুলোর প্রত্যক্ষ সহায়তায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র আমদানী করছে।তাছাড়া পাহাড়ে সকল সাম্প্রদায়িক সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে বিদেশী দাতা সংস্থাগুলো।তাছাড়া এটা বর্তমানে দৃশ্যমান যে বিদেশী দাতা সংস্থারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব-তিমুরের ন্যায় আলাদা রাষ্ট্র “জুমল্যান্ড” গঠনের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে পাহাড়ে উন্নয়নের নামে নিজেদের অস্তিত্বের ভিত্তি শক্ত করছে।এছাড়াও বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত একপেশে এবং অস্বচ্ছ হয়ে আছে।সুতরাং তাদের উপর কড়া নজরদারি করলেই চলবে না বরং তাদের নিষিদ্ধ করা জরুরী।
লেখক: আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]