প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে, ভারতের তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তিক প্রকাশিত ও ভারতের কিছু জনপ্রিয় মিডিয়াতে প্রচারিত, লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলার মানচিত্রকে বিকৃত ভাবে উপাস্থাপন করার রহস্য কি? তাহলে বাংলাদেশের মোট আয়োতনের ১ দশমাংশ অধিক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দারবান ও কক্সবাজার) ভুমির মালিক কে? ভারত সরকারের 'মিনিষ্ট্রি অফ পেট্রোলিয়াম এ্যাণ্ড ন্যাচার্যাল গ্যাস' এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, যা আনন্দবাজার গ্রুপের পত্রিকা The Telegraph-সহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র দেখানো হয়েছে যেটিতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেটে নেয়া হয়েছে। (১) পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে ভারতের অপকর্ম অনেক দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু যেই সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে রাষ্ট্রীয় ভ্রমনে রয়েছেন সেসময়ে মানচিত্রে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই উস্কানী কেন? এর জবাব বহু আগে দিয়ে গিয়েছেন মরহুম আহমদ ছফা। ছফা লিখেন; ''বাংলা ভাগ করার পেছনে এই পত্রিকাটির (আনন্দবাজার) ভূমিকা অনেক। আমরা যখন ভাষা আন্দোলন করছি, সমর সেনের ‘বাবু বৃত্তান্ত’ পড়ুন, তখন রায়ট লাগাবার জন্যে ইলিশের পেটে হিন্দু রমনীর মস্তক পাওয়া গেছে বলে সংবাদ লিখে আনন্দবাজার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং তসলিমাকে নিয়ে আনন্দবাজার যা করেছে গোটা দুনিয়ার কাছে আনন্দবাজার বাংলাদেশকে তুলে ধরল একটি সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী দেশ হিসেবে। কিন্তু কে মৌলবাদী, ভারত না বাংলাদেশ? মৌলবাদ উত্থান হচ্ছে ভারতে, বিজেপি এবার দিল্লির ক্ষমতায় আসছে।
''(২) ছফা কারণ আরো বিস্তারিত বলতে গিয়ে বলেন;
''দীঘদিন ধরে পশ্চিম বাংলার রাজনীতি এবং অর্থনীতি বাংলা ভাষার অনুকূলে নয়। পশ্চিম বাংলার অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে মাড়ওয়ারী এবং গুজরাটিরা। আর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হয় দিল্লি থেকে। এমনকি বামফ্রন্ট সরকারকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হয় হিন্দি বলয়ের স্বার্থকেই। এই হিন্দি বলয়ই ভারতবর্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে।...হিন্দির এত বড় এজেন্ট হচ্ছে আনন্দবাজার।...নানাভাবে ভারত ফাদ পেতে রাখছে। সেই ফাদে আমাদের পড়ার অপেক্ষা। আমরা যদি ভারত বর্ষের ফাদে পড়ি, পশ্চিম বাংলার লোকদের কর্তব্য হবে- আমাদের স্বাধীন অবস্থানকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করা। না হলে পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের অবস্থাও গয়া হবে। ......একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিশেবে বাংলাদেশ তার নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াক, রাজনৈতিক স্বার্থেই দিল্লির শাসকরা এবং তাদের প্রধান এজেন্ট আনন্দবাজার তা চায় না। ''
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশকে হ্যান্ডেল করার ক্যাপাসিটি ভারতের নেই।(৩) সেজন্য উস্কানী দিয়ে আলোচনার মোড় অন্যদিকে ঘুরানো হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। কি কি বিষয় নিয়ে চুক্তি হল,সেসব নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা যখন চলছে তখন এরকম বিতর্কিত উস্কানী স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার ফোকাসকে অন্যদিকে সরিয়ে নিবে,আনন্দবাজার গ্রুপ আসলে এটাই চায়,কেননা এটাই ভারতীয় স্ট্যাবলিষ্টমেন্টের চাওয়া।
নোটঃ
(১) ৮ই এপ্রিল ২০১৭ বাংলাদেশের অঙ্গহানি-করা মানচিত্রটি দেখতে, https://epaper.telegraphindia.com/…/15-0-08@04@2017-1001.ht…
(২) https://epaper.telegraphindia.com/details/250826-162045949.html
(৩) বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াক, দিল্লির শাসকরা এবং আনন্দবাজার তা চায় না-ছফা, http://www.muldharabd.com/?p=1515
(৪) ভারতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশের অর্ধেক মানচিত্র গায়েব , http://www.newsbangla.net/newsdetail/detail/41/298782
(৫) এমনটাই মনে করেন বাঙালী অরিজিন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুশতাক খান, দেখুন বিস্তারিত https://www.facebook.com/muldharabd/
(৬) http://www.chtlive24.com/2017/04/11/ভারতীয়-পত্রিকায়-বাংলাদেশ/
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি
সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]